একটা হৃদয় বিদারক ছবি বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিল,ভারত আজ পাল্টা জবাব দেবেন
নয়া ঠাহর , অমল গুপ্ত ,কোলকাতা: এতদিন জানতাম জঙ্গি সন্ত্রাসবাদী যাদের কোনো ধর্ম নেই। জাত নেই এখন দেখলাম হিন্দু ধর্মের মানুষকে শেষ করা সন্ত্রাসবাদীদের প্রধান ধর্ম। গতকাল জম্বু কাশ্মীরে পোহেলগ্রামে যে মর্মান্তিক হত্যা কান্ড সংগঠিত হল তাতে প্রমাণিত হল ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের প্রধান লক্ষ্য হিন্দুদের খতম করা।মুর্শিদাবাদ জেলার ঘটনা সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেই হিন্দুদের টার্গেট করে মন্দির ভাংচুর ঘরবাড়ি লুটপাট হত্যা কাণ্ড চালানো হয়।ওয়াকফ নিয়ে সারা দেশ চুপ থাকলেও ব্যতিক্রম ছিল মুর্শিদাবাদ।এই জেলার একাংশ জনপ্রিনিধি উস্কানি মূলক ভাষণ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে। গতকাল কাশ্মিরের নিহত কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর মরদেহ আটকে বসে আছেন।পত্নী। সারা বিশ্ব এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিন্দা করেছে। সদ্য বিধবা পত্নীর হাতে শাখা পলা কপালে সিঁদুর। মুর্শিদাবাদ। জেলাতে গলায় কন্ঠ মালা হাতে শাখা ,কপালে সিঁদুর দেখে মহিলাদের আক্রমণ করা হয়।৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মিরের অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছিল।দিনকে দিন পর্যটক সংখ্যা বাড়ছিল। আমি যখন পোহেলগ্রাম ছিলাম ডাল লেক নয় ঝিলাম নদীতে কাশ্মিরের গরীব মানুষের হাউস বোটে ছিলাম পরিবার নিয়ে রাতে পাহারাতে থাকতেন বোর্টের মালিক আর তাদের পত্নীর।বেশ মনে আছে তারা আমাদের যত্ন করে খাবার খাইয়ে বলতেন "আপনারা আমাদের লক্ষ্মী । তাই দুটি পয়সা আসে ব্যবসা চলছে। সেখানে ভয়ে কেউ আসতে চান না।"আজ থেকে বছর দশেক আগে কথা বলছি।সঙ্গে আমার পত্নী সান্তনা ও তাদের বোন ছিল।সান্তনা মারা গেছেন। এখন পরিস্থিতি অনেক ভাল। পাক মদত পুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীর ভাল থাকুক চান না। গতকালের ঘটনা কাশ্মিরের পর্যটন শিল্প বড় মার খেলো। সারা বিশ্ব চাইছে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর বাতিল করে দেশে ফিরেই কড়া পক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি চালাচ্ছে বলে সংবাদ সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে।আমেরিকা রাশিয়া সহ বহু বিদেশি রাষ্ট্র ইতমধ্যে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ কাশ্মিরের পোহেলগ্রামের ঘটনায় নিন্দা করে বলেন পাকিস্থানের সেনা প্রধান কয়েকদিন আগে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন।তার কয়েকদিন বাদে এই ঘটনা ঘটল।এর উপযুক্ত জবাব ভারত দেবে বলে অঙ্গীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী।কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আজ ই সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করার অঙ্গীকার করেন।এই ঘটনায় ১৫০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পাক মদত পুষ্ট জঙ্গিরা পর্যটকদের প্যান্ট খুলিয়ে হিন্দু কিনা নিশ্চিত হওয়ার পর ব্লাঙ্ক পয়েন্ট হত্যা করা হয়।এক মুসলিম শ্রমিক পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে গুলি খান। মোট ২৭ জন নিহত হন।অসমের দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য নির্দেশ মেনে কলমা পড়ে বেঁচে যান। জুনিয়র সুইজারল্যান্ড বলে পরিচিত বৈষ্ণস্বর উপত্যকা তে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ২৬ হাজার চাকরি ছাড়া অনশনরত শিক্ষক বা ২৬ জন পর্যটক হত্যার প্রতিবাদে ২ মিনিট নিরবতা পালন করেন।
কোন মন্তব্য নেই