বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ পয়লা বৈশাখ বাঙালি হিন্দুদের শিরদাঁড়া সোজা রাখার শপথ নিতে হবে
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি : ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ । বাংলদেশে ১০ কোটি থেকে আজ সেদেশে বাঙালি হিন্দু দু কোটি ও নেই। লাগাতার নির্যাতন অত্যাচারের বলি হয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেল মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই করে নিতে পারেনি। হতভাগ্য বাঙালি হিন্দু , আজ ভারতে নিজের জন্মভিটা তে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে। তাদের মেরুদন্ড দুর্বল হয়ে গেছে।রাজ্যের বিশিষ্ট সংবাদিক অতীন দাশ বাঙালির "ঐক্য চেতনা পুনর্নির্মাণ হোক নববর্ষের শপথ ও সংকল্প "শীর্ষক প্রতিবেদনে প্রথমে ই লিখেছেন "ওয়াকফ আইন সংশোধনী র সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই,অথচ ইসলাম বিপন্ন বলে মানুষ কে খে পিয়ে তোলা হচ্ছে।" লিখেছেন ওয়াকফ সম্পত্তির রাজস্ব সাধারণ গরিব সহায় সম্বলহীন মানুষের উপকৃত হওয়ার কথা।সার্বিকভাবে সমাজের উন্নয়নে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সদ্ব্যবহার হওয়ার কথা কিন্তু বেশিরভাগ ওয়াকফ সম্পত্তির মালিকানা সম্পন্ন ধনী মানুষের এক্তিয়ার ভুক্ত। বেনামী জমিদারি ,বাগানের মালিকানা ,বহুতল প্রাসাদ ভাড়া দিয়ে আমিরি জীবনযাত্রা ।সমাজের উচ্চকোটির লোকদের নিয়ে গড়ে উঠেছে "এলিট হাউসিং কম্পপলেক্স "অথচ ভূমিহীন গৃহহীন , ফুটপাথ বাসী বহু কষ্টে বস্তিতে জীবন যাপন কারী।তাদের কথা ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালক রা ভাবার প্রয়োজন করেন না।,.।" পশ্চিম বঙ্গের কয়েকটি জেলার সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে মূলত বাঙালি হিন্দুরা টার্গেট হলেন।অধিকাংশ গরীব সহজ সরল মুসলিম দের মধ্যে ৯৯ শতাংশ জানে না ওয়াকফ বিল কি , আইনে কি আছে। বাইরের ভারত বিরোধী অপশক্তি এই গরীব শ্রমজীবী মানুষ গুলোকে আন্দোলনের পথে নামিয়েছে । চাল, ডাল তেলের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রাম করা গরীব মুসলিম মানুষ গুলি ঘরে খাবারের অভাব আছে বলেই দোকান পাট মল লুট পাট করছে। তাদের ভাল শিক্ষা নেই তাদের সার্বিক কল্যাণের কথা এলিট ক্লাসের ধনী সম্পন্ন রা একবার ও ভাবেন না। ওয়াকফ বোর্ড গুলির অধীন থাকা সম্পত্তি ৫৪ লাখ একর থেকে বেড়ে বেড়ে আজ ৯ লাখের বেশি একরে দাঁড়িয়েছে।এই বিশাল সম্পত্তি ঠিক মত ব্যবহার হত বিলি বন্টন হত তবে দেশের মুসলিমরা আর গরীব থাকতেন না। এই বিশাল ওয়াকফ সম্পত্তি ঠিকমত দেখভাল করার জন্যে এডিট করার জন্যে দুজন মুসলিম মহিলা ,দুজন হিন্দু প্রতিনিধি সিয়া সুন্নি ও ওবিসি মুসলিমদের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি দেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে । আন্দোলনকারীদের অধিকাংশ নিরক্ষর গরীব মুসলিম জানেন না কেন আন্দোলন কেন তাদের পথে নামানো হয়েছে। তবে একটি শব্দ ভালভাবে জেনে গেছেন " জেহাদ" । তবে শব্দটি শুনেছেন। কিন্তু অর্থ জানা নেই। ওয়াকফ বোর্ডে রাজস্ব সংক্রান্ত সংশোধনী যা টাকা পয়সা জমি জমা সম্পত্তি সম্পর্কিত। এই টাকা পয়সা জমি সম্পত্তি থকমত বিলি বন্টন হচ্ছে কিনা ,"আল্লাকে উৎসর্গিত সম্পত্তি "বলে দাবি করা হচ্ছে সেই সম্পত্তির পরিচালকদের ভারত সরকারের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে কিনা। আমাদের জাতীয় পতাকা কি তাদের নয় ?ভারত মাতা কি তাদের নয়? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার বলছেন এই বিপুল সম্পত্তির ভাগীদার কেবল মুসলিম। হিন্দু নয়। তাদের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। তবে কেন আন্দোলনকারীরা এই দেশের নাগরিক হয়েও এই দেশের সম্পত্তি ধ্বংস করছে। সংবিধানের নামে ।মন্তগুপ্তির শপথ নেওয়া মন্ত্রী র পর্যন্ত আন্দোলন কে মদত দিচ্ছে উস্কানি দিচ্ছেন? তারা কি ভারত সরকারকে মানেন না? বাংলদেশে র হিন্দুরা স্বাধীনতা। আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন। ৩০ লাখ প্রাণ দিয়েছেন।৪ লাখ হিন্দু মহিলা ধর্ষনের শিকার হয়েছে।নিজের দেশে জন্মভূমিতে এসেও ও কি আবার প্রাণ দিতে হবে? প্রতিরোধ আন্দোলন করার ক্ষমতা সাহস না থাকলে দুর্বল মেরুদন্ড হলে প্রাণ তো দিতেই হবে। বাঙালি হিন্দুদের। ঈশ্বর নয় আল্লায় একমাত্র বাঁচাতে পারে হিন্দুদের।
কোন মন্তব্য নেই