Header Ads

নিজের গৌরব নিজেকেই তুলে ধরতে হবে

🚩নিজের গৌরব নিজেকেই তুলে ধরতে হবে!

যখন কেউ হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে, তখন দীর্ঘশ্বাস ফেলে হতাশ হয়, কিন্তু যখন বিশ্ববিখ্যাত কেউ এই ধর্মের মহিমায় আকৃষ্ট হয়, তখন হিন্দুরা নিজেরাই সেটিকে প্রচার করতে ভুলে যায়।

👉🏼 বিখ্যাত অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস হিন্দুধর্ম গ্রহণ করলেন, সন্তানদের হিন্দু দেব-দেবীর নামে নাম রাখলেন—তখন কি হিন্দুরা গর্ব করেছিল?

👉🏼 স্টিভ জবস তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছেন ভারতের এক আশ্রমে। তার স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস তার শেষ ইচ্ছা পূরণে কুম্ভ মেলায় এসে দীক্ষা নিলেন, নিজের নাম রাখলেন কমলা—এটি কি আমরা যথাযথভাবে তুলে ধরেছি?

👉🏼 বিটলস ব্যান্ডের জর্জ হ্যারিসন হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে নিজের সম্পত্তি বিলিয়ে দিলেন কৃষ্ণ ভাবনামৃত প্রচারের জন্য—তখন কি আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলাম?

👉🏼 হলিউড অভিনেতা উইল স্মিথ বলেছেন, শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা তার জীবনের কঠিন সময়ে মানসিক শান্তি দিয়েছে—কিন্তু আমরা কি এটিকে প্রচার করেছি?

👉🏼 ক্রিস মার্টিন (Coldplay) কুম্ভ মেলায় যোগ দেন, "হরে কৃষ্ণ" গেয়ে প্রশংসা করেন—কিন্তু আমরা কি এটাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি?

👉🏼 নোবেল বিজয়ী নিকোলা টেসলা তার গবেষণায় উপনিষদের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন—কিন্তু আমরা কি তার এই দৃষ্টিভঙ্গিকে যথাযথভাবে সামনে এনেছি?

👉🏼 প্রখ্যাত বিজ্ঞানী কার্ল সাগান বলেছেন, হিন্দু ধর্মের কসমোলজি আধুনিক বিজ্ঞানকেও বিস্মিত করে, বিগ ব্যাং তত্ত্বের বহু আগেই ঋষিরা এই ধারণা দিয়েছিলেন—তবে আমরা কি এটিকে প্রচার করেছি?

👉🏼 ওপেনহাইমার, যিনি আধুনিক পরমাণু বোমার জনক, তিনি ভগবদ্গীতা-কে তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দর্শন বলে উল্লেখ করেছেন—এটি কি আমরা যথাযথভাবে তুলে ধরেছি?

👉🏼 আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড কোম্পানির উত্তরাধিকারী আলফ্রেড ফোর্ড, যিনি বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করে অম্বরীশ দাস হন, তিনি ভারতের মন্দির নির্মাণে কোটি কোটি টাকা দান করেছেন—কিন্তু আমরা কি এ নিয়ে গর্ববোধ করেছি?

👉🏼 হেনরি ডেভিড থোরো – আমেরিকার বিখ্যাত দার্শনিক, যিনি বলেছেন, "আমি প্রতিদিন সকালে উপনিষদ পড়ি, এটি আমার আত্মাকে উচ্চতায় নিয়ে যায়।"

👉🏼 আর্নল্ড টয়নবি – প্রখ্যাত ব্রিটিশ ঐতিহাসিক, যিনি বলেছেন, "মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে হিন্দুধর্মের জ্ঞানের ওপর।"

👉🏼 আইনস্টাইন – হিন্দুধর্মের দর্শন ও বেদের জ্ঞান সম্পর্কে গভীর আগ্রহী ছিলেন এবং বলেছিলেন, "যদি কোনো ধর্ম বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় করতে পারে, তবে তা হিন্দুধর্ম।"

👉🏼 জন আর্চিবল্ড হুইলার – কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, যিনি বলেছেন, "বৈদিক দর্শন এবং কোয়ান্টাম তত্ত্বের মধ্যে গভীর সংযোগ রয়েছে।"

👉🏼 মার্ক টোয়েন – প্রখ্যাত লেখক, যিনি বলেছেন, "ভারত মানবজাতির জননী, আমাদের ভাষা, গণিত, এবং দর্শনের আদি উৎস।"

👉🏼 লিও টলস্টয় – বিশ্বখ্যাত রুশ সাহিত্যিক, যিনি হিন্দুধর্ম ও গীতার দর্শনে অনুপ্রাণিত হয়ে বহু লেখা লিখেছেন।

👉🏼 ডেভিড ফ্রাউলি – মার্কিন শিক্ষাবিদ ও লেখক, যিনি বলেছেন, "হিন্দুধর্ম মানব সভ্যতার সবচেয়ে গভীর ও বিজ্ঞানভিত্তিক দর্শন।"

হিন্দুধর্মের জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন এবং আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতি এত বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের আকর্ষণ থাকার পরও, হিন্দুরাই নিজেদের গৌরবের কথা প্রচার করতে সংকোচবোধ করে!

আপনার ধর্মের প্রতি সম্মান এবং ভালোবাসা অন্য কেউ আপনাকে করিয়ে দেবে না। আপনি যদি নিজেই গর্বিত না হন, তবে আপনার গৌরব অন্য কেউ তুলে ধরবে কেন?

🚩 এই ধর্ম শুধু প্রার্থনার নয়, এটি জ্ঞানের, বিজ্ঞানের, আত্মোপলব্ধির ও শান্তির ধর্ম। গর্ব করুন!!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.