হিন্দু - মুসলিম সম্প্রয়াদিক সম্প্রীতির আবহে এতকাল বাস করে এসেছি
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড ,মুর্শিদাবাদ: আমরা মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব ঘটেনি কোনোদিন। আমাদের এককালের মাটির বাড়ির খরের ছাদ খড় দিয়ে নতুন করে ছাউনী দেওয়া ,বাড়ির বাগানে বেড়া দেওয়া বাড়ির ছোট খাট যে কোনো কাজ পাশে স্থায়ী ভাবে বাস করা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া চলতো না।, ভাবতে পারতাম না। আমরা নিজের গ্রাম আন্দু লিয়া যাবার পথে তেঁতুল বুনো গাছের ছায়াঘন মাজারে অজান্তে কপালে হাত তুলে প্রণাম করা চিরাচরিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। আমাদের গ্রাম দেবতা তেঁতুল তলার ছায়ায় হিন্দু মুসলিম সবাই শান্তির খোঁজে একটু বসি।আবাহকাল থেকে আমাদের অভ্যাসে পরিণত। কান্দি জেল রোডের গুলুদা পূর ভোট একবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।আমরা তখন বিদ্যালয়ের ছাত্র পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে প্রচার চালিয়ে ছিলাম।আমাদের গুলু মাস্টার জিততে পারেন নি।কিন্তু সম্প্রীতির অভাব ঘটেনি। পবিত্র ঈদ উৎসবে গুলুদার বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে যেতাম । গুলু মাস্টার চলে গেছেন তাদের ভাইয়ের হানুর টি স্টল আজও আছে। কলকাতার বাবুদের মুসলমানি বিরিয়ানি না হলে চলে না। কলকাতার মেরুদণ্ডহীন বাবুদের বিরিয়ানি ,মদ, মাংস প্রধান খাদ্য।সেই মূলমান সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের জেলাতে খুঁজে খুঁজে বার করে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করে মন্দির বাড়ি লুটপাট করে। মূর্তি গড়া বামপন্থী দলের বাবা আর পুত্র নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে। বিগ্রেড ময়দানে পন্থীদের বিশাল সমাবেশে পিতাপুত্রের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া হলনা।মুসলমান জেহাদি রা তাদের হত্যা করেছে। বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরাধী মুসলিমের নাম নিলেন না সিপিএম দলের সম্পাদক মহম্মদ সেলিম রা। নাম নিলে মুসলিমদের ভোট পাবেনা। বাংলদেশে হিন্দুদের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা নেই। ভারত সরকার এক প্রকার আত্মসমর্পণ করেছে ক্ষুদ্র বাংলদেশে র কাছে। ভারতের ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ আজও বিনা বিচার জেল খাটছেন চট্রগ্রামে জেলে।তাকে ছাড়িয়ে আনার সাহস দেখাতে পারছে না হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।আমরা কোনোদিন ভাবতে পারতাম না পাশের বাড়ি আশপাশের মুসলিম মানুষ আমাদের হিন্দুদের মন্দির অপবিত্র করবে, আমাদের মা বোনের ইজ্জত লুটার চেষ্টা করবে। ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।আমরা দেড়শো দুশো বছরের বাসিন্দা। কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের প্রাণের কবি। আমাদের বাপ ঠাকুরদা হিন্দু পরিবারের মেয়ে এনে নজরুলের সংসারকে ভরিয়ে তুলেছিলেন।নজরুলের শ্যামা সঙ্গীত আমাদের প্রাণে লহর তলে।কবি জসীমউদ্দীন ,বাঙালির প্রাণের কবি। কোনদিন হিন্দু মুসলিম বিভাজন টেনে চলিনি। আজ ভাবতে হচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক আমরা হিন্দু মুসলিম সব জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার আছে ।সংবিধান আমাদের অভিভাবক।সেই সংবিধানের নামে শপথ গ্রহণ করে রাজ্যের মন্ত্রী কলকাতাকে জ্যাম করে সফলতা দেখালেন । জেলা গুলিকে টাইট করলেন।বিধানসভার শতাধিক হিন্দু বিধায়ক চুপ থাকলেন। আমাদের মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানা টানি করলেও চুপ। কারণ ৩৪ শতাংশ ভোটারের মদতে আবার সরকার গড়তে হবে।তাদের কে তো আগলে রাখতেই হবে।আর এক মন্ত্রী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের পৌরপতির চেয়ারে বসে হিন্দুদের অপমান করছেন।কলকাতার মেরুদণ্ডহীন হিন্দু বাঙালিরা চুপ। একজন তৃনমূল রাজপুত্র হুংকার দিলেন পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করলে কপালে মাঝখানে গুলি করা হবে। তবে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙ্গা, মা বোনেদের ইজ্জত লুট করলে কপালে মাঝে কি গুলি করা যাবে ? সেই হুংকার দিয়েছেন কিনা জানা যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই