পশ্চিম বঙ্গের জেলাগুলিকে টাইট করার পর কলকাতাকে থমকে দেব হুংকার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি ১১ এপ্রিল: ওয়াকফ বিল মানব না হুশিয়ারি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দীকুল্লা চৌধুরী কলকাতার টিভি কে ১০ এপ্রিল বলেন "আগে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিকে টাইট করে দেবো :প্রতি জেলাতে ২০০০ করে ক্যাডার নামিয়ে দেওয়া হবে।তারপর কলকাতাকে স্তব্ধ করে দেবো ।"এমন মন্তব্য বিরোধী নেতার নয় মন্ত্রগুপ্তির শপথ নেওয়া মন্ত্রীর এই উস্কানিমূলক মন্তব্য ।এর আগে ভয়তপুরের বিধায়ক হুমায়ন কবির মন্তব্য করেছিলেন" মুর্শিদাবাদ জেলার ৭০ শতাংশ মুসলিম, মাত্র ৩০ শতাংশ হিন্দুকে ভাগীরথীর জলে ডুবিয়ে দিতে দুঘন্টা সময় লাগবে না।" এত বড় সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের পরেও মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বিস্ময়কর ভাবে চুপ। পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ বোর্ডের সংশোধনী নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।গরীব মুসলিম শ্রমজীবী মানুষ ওয়াকফ সম্পত্তি জানেনা না। এই গরীব শ্রেণী বিশাল এই সম্পত্তির ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়না।নির্দিষ্ট উচ্চ শ্রেণীর ব্যক্তিরা এই সম্পত্তির ভাগ পায়। এই বিশাল সম্পত্তির উপর যাতে গরীব মুসলিম সমাজের সবার অধিকার থাকে টা নিশ্চিত করতে এই সং শ ধনী । এই সম্পত্তি মুসলিম দের থেকে কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি। বরং এই সম্পত্তি যাতে নিয়ন্ত্রিত এক কমিটির হাতে থাকে ।মুসলিম দুই মহিলা প্রতিনিধি ,মুসলিম সিয়া সুন্নি ওবিসি থেকে একজন প্রতিনিধি।এবং দুজন অমুসলিম প্রতিনিধি এই কমিটিতে রাখা হবে।মাত্র দুজন হিন্দু প্রতিনিধি থাকবেন। তাতেই দেশে আগুন জ্বলছে।নেই প্রতিনিধি র সম্পত্তির উপর কোনো অধিকার থাকবে না।কেবল নিয়ন্ত্রতি ভাবে বিপুল সম্পত্তি ব্যবহার করা হবে।সমা না ধিকার থাকবে মুসলিমদের। গরীব মুসলিম সম্পত্তির অধিকার পাবে। হিন্দুদের সম্পত্তি দানের কথা নেই। এই ভারতে রেলওয়ে এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সম্পত্তি র পর ওয়াকফ সম্পত্তি। সব সম্পত্তি ভারতের নিজস্ব সম্পত্তি রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকবে। ১৯৫৪ সালে ১৯ মে ওয়াকফ সম্পত্তি বলবৎ হয়। লেখক অসিত চক্রবর্তী গত ১১ এপ্রিল দৈনিক jugasankha সংবাদ পত্রে বিস্তৃত লিখেছেন। তিনি জানান ভারতের প্রজাতন্ত্র র পঞ্চম বছরে এই সম্পত্তি বলবৎ হয়।তখন ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ছিল মাত্র৫২ হাজার একর জমি।আজ সম্পত্তি দাঁড়িয়েছে ৯'৪০ লাখ একর । ২০১৪ সালে কংগ্রেস দলের ইউ পি এ আমলে সংবিধানের ৪০ ধারা জুড়ে ওয়াকফ বোর্ড কে যেকোন জমির উপর অধিকার দেওয়া হয়। এই সংশোধনী ওয়াকফ বিল মুসলিমদের বিরুদ্ধে নয়।বরঞ্চ গরীব দুঃস্থ মুসলিম সম্প্রদায় কে এই বিশাল সম্পত্তির ভাগীদার করা হয়েছে তাও মানছেন না আসাউদ্দিন ওয়াই সি মত উচ্চ শিক্ষিত সাংসদ বিলটিকে টুকরো টুকরো করে সংসদে ছিঁড়ে ফেলেন। এন আর সি আইন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের একাংশ মুসলিম রেলওয়ে স্টেশন গুলি ভাঙচুর করে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভেঙেছে ।আজ আবার দেশের জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ মানুষ দেশে গণ্ডগোল পাকিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করছে। পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন এই সংশোধন বিধি লাগু করা হবে না তারপরেও রাজ্যে হিংসার আগুন জ্বলছে।
কোন মন্তব্য নেই