সারা দেশে বাঙালিদের নানা ভাবে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া চলছে
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি : সারা দেশে বাঙালিদের কোণঠাসা করার গভীর চক্রান্ত চলছে। অসমের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির নামে গবেষণাগার পরীক্ষা চলছে।বাঙালিকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অসমে এন আর সি তালিকা থেকে প্রথমে ,৪০ লাখ কে বাদ দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ আনন্দের সঙ্গে জানালেন ৪০ লাখ "ঘুষপেটিয়া "কে তারালাম। পরে টা হলনা । পরে আবার ১৯ লাখের নাম বাদ পড়ল।সিংহ ভাগ বাঙালির নাম কাটা গেল। ৫৫ হাজার সরকারি কর্মী নিয়োগ করে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয় করে অসমে এন আর সি হল। এই প্রক্রিয়া চলার সময় ৩৬ লাখ বাঙালির আধার কার্ড বাতিল হল। দেশের রেজিস্টার জেনারেল আজ পর্যন্ত নোটিফিকেশন জারি করল না১৯ লাখ ভাগ্য ঝুলে থাকলো। তৃনমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বিস্তারিত সংসদে জানান । তাদেরর, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার সহ নাগরিকের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। রাজ্যে ৭০ লাখ মত বাঙালি হিন্দু বড়ই দুর্বল, মনে হয় না এই বাঙালি র রক্তে নেতাজি ক্ষুধিরামরা আছেন।, এই বাঙালি একদিন বিশ্ব জয় করেছিল। অসমে বরাক উপত্যকা র বাঙালি হিন্দুদের অবস্থা আরো শোচনীয় খারাপ। কলকাতার বাঙালিদের অবস্থা মোটেই ভোল নয় বড় জটিল। অসমে বৃহৎ সংখ্যক বাঙালি একজন মন্ত্রী নেই। সারা অসম বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন আগামী ২০২৬ বছরের আগে বাঙালিদের জন্যে স্যাটালাইট কাউন্সিল স্ট্যাটাস দাবি করেছে। পূরণ হবে কিনা । বরাকের প্রাক্তন সাংসদ রাজদীপ রায় , কংগ্রেস বিধায়ক কমলক্ষ্ম পুরস্কায়স্থ , , বিজেপি প্রাক্তন বিধায়ক শিলাদিত্য দেব প্রমুখ যারা বাঙালির জন্যে সরব ছিলেন।হাতে লালি পপ ধরিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।এক" নিরামিষ" নিরীহ মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ্য ছিলেন তাকে দিল্লী পাঠিয়ে দেওয়া হল। গৌতম রায় দের মত নেতা একদিন ক্ষমতা দেখিয়েছে আজ লেজুড় বৃত্তি করে দিনযাপন করেন ,গৌতম রায় দের একদিন ক্ষমতা ছিল ,আজ কার্যত বাঙালি নেতাশূন্য । রাজ্যের বাঙালি সংগঠন এর নেতারা একটি পা দিসপুর রেখে নেতা গিরি করেন। বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস মধ্যে অন্যতম মাছ।সেই মাছের বাজারের হাত দেওয়া হল। নয়া দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে বা সি আর পার্ক বড় মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। দেশে কোথাও বাঙালি ভালভাবে বেঁচে নেই। "তাদের মেরুদন্ড খানা হারিয়ে গেছে"। কবি শঙ্খ ঘোষের লাইন চুরি কলাম। হিন্দু মুসলিম বলা হলেও হিন্দুদের মধ্যে বহু ভাগ। একজোট দেখা যায়না। বাঙালি যুব ছাত্র ফেডারেশন নিজেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি বলে দাবি করেছেন দীপক দে । বাঙালি দের ডি ভোটার মুক্ত দেখতে চান ।কোচ রাজবংশী আর নেপালিদের বিদেশি ট্রাইব্যুনাল থেকে মুক্ত করার ঘোষণা করেছে অসম সরকার।অথচ বাঙালিদের ক্ষেত্রে করা হলনা বলে অভিযোগ করেছেন দে। বেশি সরব হলে বিজেপি সরকার তাকে বসিয়ে পকেট খরচ দেবে । এক অজানা কারণে চিত্ত পাল চুপ ,।অন্যদের যেমন বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বরাক উপত্যকার ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের নেতা প্রদীপ দত্ত রায় বরাবর বাঙালিদের দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার ,এবার তাকেও বসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে।করিমগঞ্জ পুলিশ তার নামে নোটিশ পাঠিয়েছে। তবে প্রদীপ দত্ত আর রায় একজন ঝানু রাজনীতিবিদ সহজে কাবু করা সম্ভব হবে না। অসমে বাঙালিদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করবে তাকেই বসিয়ে দেওয়া হবে।মাথা তুলতে দেওয়া হবে না। এবার ব্যতিক্রম হচ্ছেন তৃনমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব।তিনি সংসদে অসমের বাঙালিদের নিয়ে সোচ্চার।ভাল ইংরাজি বলেন।দেশ বাসী দেখলো বাঙালিদের দাবি দাওয়া তুলে ধরার নেতা এখনো আছে। হয়ত বা মমতা দিদি সুস্মিতা কে সরিয়ে নিতে পারেন। এমন এক রাজ্যের প্রতিনিধি সেই রাজ্যে গনতান্ত্রিক বাতাবরণ নেই। চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। কখন কোথা থেকে আঘাত আসে বলা যায় না। সুস্মিতা "তুমি সাবধানে সতর্ক থাকো।" ভাল সুস্থ থাকো। সুস্মিতার থেকেও ভোল বক্তা ছিলেন বিজেপির ডাক্তার রাজদীপ রায় ।তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঙালি দেশে মাথা তুলতে পারছে না অসম তার থেকে ব্যতিক্রম হয় কি করে?
কোন মন্তব্য নেই