Header Ads

বাংলা ভাষা শহীদ নিয়েও সাম্প্রদায়িকতা ,বরাকের শহীদদের স্বীকৃতি নেই

নয়া ঠাহর  : অমল গুপ্ত ,কোলকাতা:  ২০  ফেব্রুয়ারি

১৯৫২ সালে ২২শে ফেব্রুয়ারি  তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান বাংলা ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের নাম  শেষ দুজনের নাম পাওয়া যায় নি। তবে বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে কি? 
অসমে ১১ জন শহীদ সেই বাংলা ভাষার জন্যে পুলিশের গুলি খেলেও   ভাষিক সংখ্যা লঘু বলেই কি স্বীকৃতি পেলেন না এমন অভিযোগ  কি উড়িয়ে   দেওয়া যাবে?
(১) রফিক উদ্দিন আহমেদ।
 (২) আবুল বরকত।
 (৩) আবদুল জব্বার।
 (৪) শফিউর রহমান।
 (৫) আবদুস সালাম।
 (৬) আবদুল আউয়াল।
 (৭) আহিউল্লাহ।
 বর্তমান ভারতের ১৯৬১ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি মাসে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের নাম- 

 (১) কমলা ভট্টাচার্য।
 (২) কানাইলাল নিয়োগী।
 (৩) সুনীল সরকার।
 (৪) শচীন্দ্র চন্দ্র পাল।
 (৫) বীরেন্দ্র সূত্রধর।
 (৬) তরণীমোহন দেবনাথ।
 (৭) সুকোমল পুরকায়স্থ।
 (৮) চণ্ডীচরণ সূত্রধর।
 (৯) সতেন্দ্র দেব।
 (১০) হিতেশ বিশ্বাস।
 (১১) কুমুদ রঞ্জন দাস।  পূর্ব পাকিস্তানের  বাংলা ভাষার শহীদদের সারা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে।  কিন্তু ভারতের অঙ্গ রাজ্যে অসমের বরাক উপত্যকার ,১১ জন শহীদ আজও স্বীকৃতি পেল না। এই গুলিচালনার   বিচার আজও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। পাকিস্থানে  ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়   আর অসমের শিলচর রেল ওয়ে স্টেশন কাছে  গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।  এক ছাত্রী কমলা ভট্টাচার্য গুলিতে ও হত হন। শিলচর রেল ওয়ে স্টেশন কে শহীদ স্টেশন নামে নামকরণের দাবি আজও পূরণ হল না  এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার হল না। মেহরত্রা কমিশন   এর ফাইল  কোথায় হারিয়ে গেল। কংগ্রেস বিজেপি সরকারের প্রতিশ্রুতি আশ্বাস সব বরাক ব্রহ্মপুত্রের জলে ভেসে গেছে।  পশ্চিমবঙ্গের মানুষ  বাংলা ভাষী হলেও সন্তান সন্ততি   হিন্দি, ইংরাজি ভাষাতে কথা বলতে ভালো পায়। ইংরাজি ভাষা জানা  তাদের পারিবারের   অহংকার  মর্যাদা বলে ভাবেন।  সার্বিক ভাবে পশ্চিম বিঙ্গের বাঙালিরা   বড় দুর্বল প্রকৃতির  তাদের  মেরুদন্ড বা শিরদাঁড়া সোজা নয়। বাংলদেশে হিন্দু বাঙালিদের উপর  লাগাতার অত্যাচার  চলছে প্রতিবাদ করার  সাহস নেই।  সবক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ বাঙালি মুসলিম চুপ। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সময় সক্রিয় হয়ে মাঠে নামে । শাসক দলকে জেতাতে প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করে। কলকাতার প্রিয়  খাদ্য বিরিয়ানি মদ মাংস । লাল  কাপড়ে বাঁধা হাঁড়িতে বিরিয়ানি  এখন বাঙালিদের প্রধান খাদ্য। অসমের,  পশ্চিমবঙ্গে মদের ফোয়ারা  সরকারি কোষাগার ভর্তি হয়ে।  বাংলাভাষার প্রধান কন্ঠ প্রতুল মুখোপাধ্যায় চলে গেলেন। হিন্দি ইংরাজি ভাষার দাপটে প্রতুল । মুখটাপাধ্য় প্রধান কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন।তার আমি বাংলায় গান  গাই  বিশ্বে    বাঙালিদের কাছে সমাদর পেলেও কেউ বাংলা বলতে চাইনা।বাংলা অবক্ষয় ডুবে গেছে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে ২২ ফেব্রুয়ারি  শনিবার  সাংবাদিক অমল গুপ্তের জল জঙ্গলের আত্মকথা নামে এক পরিবেশ বিধায়ক এক গ্রন্থ উন্মোচন করা হবে।সেই মঞ্চে বাংলা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো  হবে।  ভারতের অঙ্গ রাজ্য অসমের  বরাক উপত্যকার শিলচর  শহরে  ১১ জন বাঙালি যুবক যুবতী  মাতৃ ভাষা বাংলা রক্ষার দাবিতে প্রাণ আহুতি     দিয়ে ছিলেন। ভারতে প্রথম বাংলা ভাষা শহীদ   , এক বাঙালি কিশোরী কমলা ভট্টাচার্য্য।

















কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.