কলকাতা প্রেস ক্লাবে পরিবেশ বিষয়ক গ্রন্থ "জল জঙ্গলের আত্মকথা" উন্মোচিত :
নয়া ঠাহর, ছন্দশ্রী কানুনগো, কলকাতাঃ ২২শে ফেব্রুয়ারী
কলকাতা প্রেস ক্লাবে আজ বাংলা ভাষার শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হল। তাঁদের সম্মানার্থে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আজকে অসমের বরিষ্ঠ সাংবাদিক অমলগুপ্তের লেখা পরিবেশ বিষয়ক গ্রন্থ "জল জঙ্গলের আত্মকথা" গ্রন্থটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচন করেন রাজ্যের বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য। বিশিষ্ট সঙ্গীতকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের যুগান্তকারী গান - 'আমি বাংলায় গান গাই...' শীর্ষক গানে কন্ঠ দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন শ্রী দেবকিশোর চক্রবর্তী। এই গ্রন্থের লেখক সাংবাদিক অমল গুপ্ত নিজে গ্রন্থটি সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করেন। তিনি সরাসরি কলকাতার দৈনন্দিন জীবনচর্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। এই অনুষ্ঠানে লেখক বলেন - কলকাতার মানুষের পরিবেশ সচেতনতার অভাব ও বনসৃজনের অনীহার কারণে আসছে ভয়ঙ্কর দিন ও তীব্র জলকষ্ট। সাংবাদিক গৌতম চ্যাটার্জী লেখকের সঙ্গে তাঁর সাংবাদিক জীবনের সখ্যতার বিষয়ে শ্রোতাদের অবহিত করেন। সুদূর শিলং থেকে আসা সাংবাদিক ননীগোপাল ঘোষ জানান- তাঁর সাংবাদিকতা জীবনের শুরু অমল গুপ্তের হাত ধরেই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের প্রচ্ছদ শিল্পী শ্রী অরূপ গুপ্ত। তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সবাইকে অবগত করান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য। তিনি দেবকিশোর বাবু এবং শম্পি পুরকায়স্থের উদ্যোগে আয়োজিত ভদ্রেশ্বর গ্রন্থমেলার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তাঁর উপরোধেই সুমন বাবুর আজ এই অনুষ্ঠানে আসা। লেখক অমল গুপ্তের উদ্বেগের ভাগীদার হয়ে তিনি কলকাতাবাসীকে পুনঃপুনঃ সতর্কবার্তা দেন। 'কলকাতাকে আমার পছন্দ নয় ' লেখকের এই অকপট স্বীকারোক্তিটিকে লুফে নিয়ে তিনি জানান- সর্বসমক্ষে এই রকম স্পষ্ট ও সততাপূর্ণ অভিমত দেওয়া সহজ কথা নয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক দেবকিশোর চক্রবর্তী। তিনি অমল গুপ্তের জলজ জঙ্গল জীবনের রঙীনঅভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানশেষে এক বিবৃতি দিয়ে ছন্দশ্রী কানুনগো বলেন - ভাষাশহীদ কেবল একুশের আন্দোলনেই নয়, এপার বাংলার একাদশ ভাষাসৈনিকও রক্ত ঝরিয়েচিলেন অসমের শিলচর শহরে। প্রকৃতিপ্রেমী গৌরীপ্রসাদ কানুনগোর কন্যা, শিক্ষিকা ছন্দশ্রী কানুনগো আরো বলেন, বাংলা ভাষার প্রতি অবহেলা- উপেক্ষা আজকের প্রজন্মের মনে ক্রমশঃ শিকড় ছড়াচ্ছে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ভিডিওগ্রাফি করেন সাংবাদিক- ফটোগ্রাফার কিরণ মুখার্জি।
কোন মন্তব্য নেই