হারিয়ে যাচ্ছে পাখি
হারিয়ে যাচ্ছে পাখি
বুলবুল পাখি, ময়না -টিয়ে আয় না, যা না গান শুনিয়ে। কোন গাছে কোথায় বাসা তোদের? ছোট্ট কি বাচ্চা আছে তোদের? দিবি কি আমায় দু'টো তাদের? আজ এই শব্দগুলি সবই বইয়ের পাতায় সাজানো-গোছানো কতিপয় অলঙ্কার মাত্র না। বাড়ির সামনের সেই উঁচু, লম্বা সারি সারি তালগাছগুলি ক্রমবর্ধমান জনবসতির কারণে আজ আর নেই ফলস্বরূপ বাবুই পাখির মতো শিল্পী পাখি, ও তার শিল্পকলা এই প্রজন্মের কাছে আজ বড়ই অদৃশ্য। অপরাহ্নের আলোয় বাড়ির উঠোনে বেল গাছটায় এক ঝাঁক চড়ুই পাখি এসে আশ্রয় নিত। নিত্য আসা যাওয়া যেন রুটিন হয়ে গিয়েছিল। তাদের উপস্থিতি কিচিরমিচির আওয়াজ নিজেদের মধ্যে দুষ্টুমি -ঝগড়া আবার ভোর হলেই আওয়াজ করে উড়ে চলে যাওয়ার যে শব্দ, তা যেন হৃদয় মাঝে আলাদা ভাল লাগার ও ভালোবাসার অনুভূতির সৃষ্টি করতো। আজ তাদের সত্যিই খুব মনে পড়ে সেই পাখিদের কথা। হয়তো তাদের আশ্রয়স্থল পাল্টেছে। কেননা বেলগাছটি থাকলেও কোনও অজানা কারণে তাদের সেই কলতান আজ আর শোনা যায় না। এই ভাবে কত পাখি আজ পরিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মনে পড়ে সেই ছোটবেলায় বইয়ের পাতায় পড়া টুনটুনি পাখির গল্প। সেও আজ বিলুপ্তির পথে।
কোন মন্তব্য নেই