
নয়া ঠাহর, ২৬ ফেব্রুয়ারি, প্রতিবেদন :ভালবাসার স্বর্ণ জয়ন্তী উৎসব হবে ।পলাশ মহুয়া ঘেরা ঝাড়খণ্ড এর পলাশ মহুয়ার দেশ পালামৌ র মিরা ল গ্রামে আগামী২০৩০ সালে । আজকের ঝাড়খণ্ড সাবেক বিহার ।ঝাড়খণ্ড জেলার পূর্ব রেলের অধীন মিরাল গ্রামে ১৯৮০ সালে এই প্রতিবেদক নিজের ক্যামেরায় তুলে ছিল ছোট্ট এক পলাশ রাঙানো কন্যা ,বয়স আর কত হবে ৫,৭বছর। বাবা গৌরী প্রসাদ কানুনগো মিরা ল গ্রাম স্টেশনের স্টেশন মাস্টার।এক বোহেমিয়ান প্রকৃতি প্রেমী। গাছ ফুলপাখি, জঙ্গল পলাশ মহুয়া রাঙানো আকাশ ছিল যার প্রাণ। স্টেশন ছেড়ে বার বার এক বাঁশের ঝুপড়ি তে ছুটে যেতেন রেলের কুলি কামিনদের সঙ্গে এক সঙ্গে বসে এক কাপ দুধে র চা। তাতেই আমার বড় বাবুর আনন্দ । এক কালে স্বাধীনতা সংগ্রামী চট্টগ্রামের অভিজাত পরিবারের সন্তান কানুনগো পারিবার থেকে এসেছিলেন আমার বড় বাবু। দেখতাম অশীতিপর ধপধপে ফরসা মায়ের পায়ের জুতো মোজা পড়িযে দিতে। জনবিরল প্রত্যন্ত গ্রাম মিরা ল গ্রাম স্টেশন থেকে ইঞ্জিন চড়ে আমরা গারাওয়া রোড স্টেশন গিয়ে ছোট্ট বাজার যেতাম সঙ্গে আমার বৌদি নন্দিতা ,আর ছোট্ট গুরি যা । বাজার থেকে সবুজ প্যাকেট দার্জিলিং চা , আর কিছু সামগ্রী নিয়ে সেই রেন ইঞ্জিন a করে ফিরতাম। বড়বাবু স্টেশন a ব্যস্ত হয়ে পড়তেন বৌদি সংসারের নানা কাজে।আর আমি বেঙ্গল পেপার মিলের বাঁশ ,কাঠ সরবরাহের কাজে অফুরন্ত সময় কাটাতাম আমার ঐ ছোট্ট গুরি যার সঙ্গে। হাত ধরে ছুটে ছুটে যেতাম পলাশ মহুয়া গাছের তলে জলাশয়ে কাদা মাটিতে একদিন হরিণের পায়ের ছাপ দেখে কি আনন্দ, কি আনন্দ আজও স্মৃতি সজীব মধুর ভালবাসাও সজীব মধ্যগ্রাম গিয়ে সেই মধুর স্মৃতি কে নবিকরণ করে এলাম। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবের মাথায় জল ঢালবে ভক্তরা শিবরাত্রি ,আজ কান্দি জেল রোডের পার্কের একমাত্র পলাশ গাছ , কান্দি শহরে আর মাত্র দুটি গাছ আছে।ছবি তুললাম টাটকা পলাশ ফুল দিয়ে ভালবাসার বেদিমুলে শ্রদ্ধা অর্পণ স্মৃতি তর্পণ। এই পলাশ, মহুয়া আমাদের ভালবাসার সাক্ষী।
( কান্দি পার্কে আজকে তোলা টাটকা পলাশ ফুল , রেল ইঞ্জিন a বসে ছোট্ট গুড়িযা ,বড়বাবু স্টেশন মাস্টার স্বাক্ষর করে গেছেন ১৯৮০ সালে প্রতিবেদকের তোলা ছবি ৪৫ বছর আগের। সেই ছোট্ট গুরি যা আজ কলকাতা অভিজাত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা ছন্দ্র শ্রী কানুনগো যিনি কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক অমল গুপ্তের "জল জঙ্গলের আত্মকথা" গ্রন্থ প্রকাশ অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজ করেন।।।
কোন মন্তব্য নেই