Header Ads

ডলুতে তিন লাখ চাগাছ কেটে ফেলার আগে শ্রমিক দের মতামত নেওয়া উচিত ছিল


নয়া ঠাহর ,শিলচর
ডলুতে তিন লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলার আগে  শ্রমিকদের মতামত নেবার দরকার না পড়লে  শিলচরে উড়াল সেতুর ব্যাপারে জনগনের মতামত নেবার প্রয়োজন কেন 
 - প্রশ্ন তুলল বিডিএফ।

শিলচর শহরে যানজটের সমস্যা ক্রমে ক্রমে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে শহরে উড়াল সেতু তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করার দাবিতে সোচ্চার হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

বিডিএফ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে এদিন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে উড়াল সেতু ছাড়া এই যানজট সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। তিনি বলেন নিত্যদিন এই সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন জনগন, প্রচুর মূল্যবান সময় অপচয় হচ্ছে। কিন্তু উড়াল সেতু নিয়ে বর্তমান সরকারের কোন হেলদোল নেই। এখনও নাগরিকদের মতামত নেওয়া চলছে। প্রদীপ বাবু বলেন ২০২২ সালে শিলচরে কেবিনেট বৈঠকের দিন শিলচরে দুইটি উড়াল সেতু তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জনসমক্ষে ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিন্তু আজ অব্দি এই কাজ শুরু তো হয়ই নি,উল্টে দুবছর পর আবার এনিয়ে নাগরিকদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন এসব নাটক মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। প্রদীপ বাবু বলেন যদি সব প্রকল্প শুরুর আগে জনগণের মতামতই নিতে হয় তবে ডলু চা বাগানে এয়ারপোর্ট তৈরির নামে যে লক্ষ লক্ষ চা গাছ উপড়ে ফেলা হল তখন সরকার কার মতামত নিয়েছিল ? তিনি বলেন  গৌহাটিতে যে একের পর এক উড়াল সেতু তৈরি হচ্ছে কটার ব্যাপারে জনগনের মতামত নেওয়া হয়েছে ? 

প্রদীপ দত্তরায় এদিন বলেন যে তাঁর সন্দেহ এসব অজুহাতে সরকার এই প্রকল্পকে ঝুলিয়ে রাখতে চাইছে এবং এই ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী নির্বাচন বৈতরণী পার হতে চাইছে। তিনি বলেন শিলচরের সচেতন জনগন এসব কোন অবস্থায় মেনে নেবেন না। যেহেতু ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে তাই অবিলম্বে এই কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রদীপ বাবু এদিন বলেন যে বৃহত্তর স্বার্থে স্থানীয় জনগণ একাজে কখনই বাঁধা দেবেন না,বরং সহযোগিতা করবেন এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও অবিলম্বে এনিয়ে তৎপর হতে আহ্বান জানিয়েছেন।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বলেন যে সামনে বর্ষার মরশুম আসছে। আবার ধ্বসের কবলে পড়ে মধ্যে মধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে বরাক উপত্যকা।তাই এই উপত্যকার বিকল্প রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিহনে এর কোন সমাধান নেই। প্রস্তাবিত চন্দ্রনাথপুর লঙ্কা রেল লাইনের কাজ অতি সত্বর শুরু করা জরুরি অথচ পুরো প্রক্রিয়াই ঢিমেতালে চলছে। রেলওয়ে সূত্রে প্রকাশ যে সমীক্ষার কাজ শেষ করতেই এই বছর পেরিয়ে যাবে। তিনি বলেন যে যদি সরকারের সদিচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই এই কাজ তরান্বিত হতে পারে। দেশের বহু দুর্গম এলাকায় অবিশ্বাস্য গতিতে কাজ চালিয়ে খুব অল্প সময়ে রেললাইন তৈরি করেছে ভারতীয় রেল। তাই সরকার এবং বিভাগ চাইলে অতি সত্বর শেষ হতে পারে এই রেললাইনের কাজও। এই লাইন যেহেতু সমতল আশ্রিত হবে তাই ট্যানেল তৈরির মতো কঠিন ও সময়সাপেক্ষ কাজও করতে হবে না। তিনি এদিন বরাকের সমস্ত সচেতন মহলকে এই রেললাইনের দাবিতে একজোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.