Header Ads

নেতাজি র শিলং সফর অসমের রাজনীতি নিয়ে নেতাজি ভূমিকা

লেখাটি ডিআরডিও র এক বিজ্ঞানী পাঠিয়েছেন। রেফারেন্স নেই যদিও। এত তথ্য ফ্যাক্টচেক করা সম্ভব নয়। রচনাশৈলী পড়ে মনে হয়, হয় শৈলেশ দে, অথবা নারায়ণ স্যানালের লেখা। যাহোক, অত্যন্ত স্পর্শকাতর দুর্মূল্য লেখাটি পাঠাবার লোভ সামলাতে পারলাম না।।

_______

নেতাজীকে হত্যা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার গোয়েন্দা লাগিয়ে ছিল, নাম ইনস্পেক্টর শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস। ইংরেজের প্রভুভক্ত অফিসার।  সুযোগ পেয়ে শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাস নেতাজিকে হত্যার জন্য গুলি চালাল কিন্তু সেই গুলি নেতাজির গাড়ীর চালককে বিদ্ধ করে। সেখানেই সেই মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ’রানি ঝাঁসি রেজিমেন্ট’-এর সদস্যা নীরা আর্য।জয়রঞ্জনকে তিনি দ্বিতীয় সুযোগ দেননি। চোখের পলকে নীরা আর্য শ্রীকান্ত জয়রঞ্জনের পেটে বেয়নেট চালিয়ে তাকে হত্যা করে। 

গল্পটা এত সরল হয়েই থেকে যেত যদি না জানা যেত যে শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন ছিলেন নীরা আর্যের স্বামী। হ্যাঁ, নেতাজি ও দেশের জন্যে নিজের স্বামীকে হত্যা করতেও দ্বিধা বোধ করেননি নীরা আর্য। এই ঘটনার পর নেতাজি নীরাকে অভিহিত করেছিলেন ‘নাগিনী’ নামে।

নীরা আর্য ১৯০২ সালের ৫ মার্চ ভারতের তৎকালীন ইউনাইটেড প্রদেশের অধুনা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা শেঠ ছাজ্জুমল ছিলেন সে সময়ের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। তাঁর পিতার ব্যবসার মূল কেন্দ্র ছিল কলকাতা। তাই কলকাতাতে তাঁর পড়াশোনা শুরু হয়েছিল। নীরা আর্য হিন্দি, ইংরেজি, বাংলার পাশাপাশি আরও অনেক ভাষায় দক্ষ ছিলেন। সম্ভবত ব্যবসায়িক স্বার্থেই শেঠ  ছাজ্জুমল মেয়ের বিয়ে দেন  ব্রিটিশ ভারতের সিআইডি ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত জয়রঞ্জন দাসের সাথে৷ নীরা ছিলেন চরম জাতীয়তাবাদী। বিয়ের আগে বাবাকে লুকিয়ে দাদা বসন্তকুমারের সাথে যোগ দিয়েছিলেন নানা আন্দোলনে। ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য ছিল। নীরার মনে হয়েছিল বাবার কথা শুনে বিয়েটা তিনি না করলেই পারতেন। তাহলে বাঙালি যুবক যুবতীদের মতো দেশের আহ্বানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতেন। তবুও বাবার মুখ চেয়ে করে চলেছিলেন ব্রিটিশভক্ত স্বামীর সংসার। বেশ কিছু বছর সংসার করার পর, নীরা শুনেছিলেন তাঁর দাদা বসন্তকুমার যোগ দিয়েছেন আজাদ হিন্দ ফৌজে। এরপরেই দুঃসহ সংসারের বেড়ি পা থেকে খুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতার যুদ্ধে। যোগ দিয়েছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি রেজিমেন্টে। 
আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম মহিলা গুপ্তচর৷ আজাদ হিন্দ ফৌজের ঝাঁসি রেজিমেন্টের নেতৃত্বে ছিলেন লক্ষ্ণী সেহগল। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশদ্ভুত মহিলা সেচ্ছাসেবকদের নিয়ে ১৯৪৩ সালে গড়ে উঠেছিল এই রেজিমেন্ট। ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল সিঙ্গাপুর, রেঙ্গুন ও ব্যাঙ্ককে। রেজিমেন্টের ক্যাডেটদের শিখতে হতো সমস্ত ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র ও বেয়নেট চালানো, মাইন পাতা, গ্রেনেড ছোঁড়া ও মার্শাল আর্ট। উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য ক্যাডেটদের পাঠানো হতো বার্মার জঙ্গলে। আজাদ হিন্দ ফৌজের ছিল শক্তিশালী গোয়েন্দা বিভাগ। সেই বিভাগে ছিলেন ঝাঁসি রেজিমেন্টের ক্যাডেটরাও। যাঁর সূচনা হয়েছিল নীরা আর্যকে দিয়েই।  তিনি ছাড়া গোয়েন্দা বিভাগে ছিলেন সরস্বতী রাজামণি, মান্যবতী আর্য্য, দুর্গা মল্ল গোর্খা ও আরও অনেক বীরাঙ্গনা। 

 
নীরা আর্য তাঁর আত্মকথায় লিখেছেন তাঁরা চুল ছেঁটে ছেলেদের পোশাক পরে, বিভিন্ন কাজের অছিলায় ব্রিটিশ অফিসারদের বাড়ি ও সেনাশিবিরে প্রবেশ করতেন তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। এরপর তথ্যগুলি পাঠানো হতো নেতাজির কাছে। কখনও কখনও তাঁদেরকে দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতবদল করা হতো। বলে দেওয়া হত কোনও ভাবেই যেন নথিগুলি ব্রিটিশদের হাতে না যায়। ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমে নথিগুলি পুড়িয়ে দিতে হবে, তারপর পিস্তল চালিয়ে করতে হবে আত্মহত্যা। কঠোরভাবে এই আদেশ মেনে চলতেন ঝাঁসি রেজিমেন্টের গোয়েন্দারা। 
একদিন সামান্য অসতর্ক হওয়ায় ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন দুর্গা মল্ল গোরখা। আত্মহত্যা করার সুযোগটুকুও পাননি। নেতাজির হদিশ পাওয়ার জন্য, দুর্গার ওপর অমানুষিক অত্যাচার শুরু করেছিল ব্রিটিশরা। তাদের কবল থেকে দুর্গাকে উদ্ধার করার জন্য এক দুঃসাহসী অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নীরা আর্য ও সরস্বতী রাজামণি। বৃহন্নলা সেজে তাঁরা ঢুকে পড়েছিলেন সেই ব্রিটিশ শিবিরে, যেখানে বন্দি করে রাখা হয়েছিল দুর্গাকে। নেচে গেয়ে ব্রিটিশ অফিসারদের বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন দুই বীরাঙ্গনা। সুযোগ বুঝে অফিসারদের সুরার গ্লাসে মিশিয়ে দিয়েছিলেন আফিম। অফিসারেরা নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর, বন্দি দুর্গাকে শিকল মুক্ত করে তাঁরা নিয়ে এসেছিলেন সেনাছাউনির বাইরে। তিনজনকে দেখে ফেলেছিল এক সেনা। গুলি চালিয়ে দিয়েছিল। গুলি লেগেছিল সরস্বতী রাজামণির পায়ে। রক্তাক্ত সরস্বতীকে নিয়ে নীরা ও দুর্গা হারিয়ে গিয়েছিলেন বিপদসঙ্কুল অরণ্যের গভীরে। তাঁরা জানতেন কিছুক্ষণ পরেই অরণ্যজুড়ে শুরু হবে চিরুনি তল্লাসি। তাই ঘন অরণ্যের মধ্যে থাকা একটি উঁচু গাছে উঠে পড়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টা পরে কানে ভেসে এসেছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জঙ্গল তোলপাড় করার আওয়াজ কিন্তু গুলি খাওয়া এক নারী যে তাঁর দুই সঙ্গীকে নিয়ে উঁচু গাছের ঘন পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারেন, সেটা কল্পনাও করতে পারেনি ব্রিটিশরা। তাই একসময় হতাশ হয়ে ফিরে গিয়েছিল ছাউনিতে। গাছের ওপর নীরাদের কেটেছিল তিনদিন৷ এই তিনদিন তাঁরা না খেয়েছিলেন। ঘুমিয়ে নিতেন পালা করে। তবে নীরা ও দুর্গার সবথেকে বেশি চিন্তা ছিল সরস্বতীকে নিয়ে। কারণ তাঁর পায়ের ক্ষত ক্রমশ বিষিয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে তিনদিন পর গাছ থেকে নেমে পড়েছিলেন তাঁরা। দুর্গম অরণ্যে ছিল পথ হারানোর সম্ভাবনা। কিন্তু তাঁদের তিনজনেরই নেওয়া ছিল অরণ্যযুদ্ধের প্রশিক্ষণ। তাই তাঁরা জানতেন অরণ্যে পথ হারালে কীভাবে হারানো পথ খুঁজে নিতে হয়। কয়েকদিন পর তিন বীরাঙ্গনা এসে পৌঁছেছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের গোপন ক্যাম্পে। ঝর্নার জল ও বুনো ফল ছাড়া এই ক'দিন কিছুই পেটে পড়েনি তাঁদের। ক্যাম্পে ফেরার পর শুরু হয়েছিল সরস্বতীর চিকিৎসা। সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন সরস্বতী। এই দুঃসাহসী অভিযানের জন্য নীরা ও সরস্বতীকে পুরস্কৃত করেছিলেন নেতাজি। সরস্বতী রাজামণি হয়েছিলেন ঝাঁসি বাহিনীর 'লেফটেন্যান্ট' ও নীরা আর্য "ক্যাপ্টেন"৷

মিত্রশক্তির হাতে ধরা পড়েছিলেন আজাদ হিন্দ ফৌজের হাজার হাজার সেনানী। তাঁদের একটি বড় অংশকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ভারতে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে লালকেল্লায় শুরু হয়েছিল সেনানীদের বিচার। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নীরা আর্য্যও। লাল কেল্লায় বিচার চলেছিল ১৯৪৫ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৪৬ সালের মে মাস পর্যন্ত। বেশিরভাগ সেনানী মুক্তি পেলেও মুক্তি পাননি নীরা। ব্রিটিশ বাহিনীর বিশ্বস্ত অফিসার শ্রীকান্ত জয়শঙ্কর দাসকে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল নীরাকে৷ হয়েছিল দ্বীপান্তরের সাজাও৷ জেলে বন্দীদশায় তাঁকে অকথ্য শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল৷ অকথ্য মানে অকথ্যই৷ সহ্য করতে পেরেছিলেন বোধহয় দেশের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা আর নেতাজীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির জন্য৷

কলকাতা থেকে আন্দামানের সেলুলার জেলে নিয়ে যাওয়ার পর, নীরা আর্য্যকে রাখা হয়েছিল ছোট্ট একটি কুঠুরিতে। পাশের কুঠরিগুলিতে ছিলেন মহিলা রাজনৈতিক বন্দিরা। তাঁরা ছিলেন মুক্ত। কিন্তু বন্য জন্তুর মতোই প্রথম দিন কুঠুরিতে বেঁধে রাখা হয়েছিল নীরাকে। গলায় বাঁধা ছিল চেন। হাতে পায়ে পরানো ছিল শেকল লাগানো বেড়ি। নীরাকে কিছু খেতে দেওয়া হয়নি প্রথম দিন। মাদুর কম্বলও দেওয়া হয়নি প্রথমে। কুঠুরির কনকনে ঠান্ডা মেঝেতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন পরিশ্রান্ত নীরা। মাঝরাতে এক প্রহরী কুঠুরিতে ঢুকে গায়ের ওপর দুটো কম্বল ছুড়ে দিয়ে গিয়েছিল। 

সকাল বেলায় জুটেছিল প্রথম খাবার। খেতে দেওয়া হয়েছিল ফুটন্ত খিচুড়ি। এরপর একজন কামারকে সঙ্গে নিয়ে কুঠরিতে ঢুকেছিলেন ব্রিটিশ জেলার। কামার কাটতে শুরু করেছিল হাতের বেড়ি। হাতের চামড়া কেটে ঊঠে এসেছিল। নীরা বুঝতে পারছিলেন, ইচ্ছে করেই তাঁকে আঘাত করছে প্রভুভক্ত ভারতীয় কামার। তবুও যন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন দাঁতে দাঁত চেপে। কিন্তু পায়ের বেড়ি কাটতে গিয়ে, পায়ের হাড়ে হাতুড়ি মারতে শুরু করেছিল কামার। চিৎকার করে উঠেছিলেন নীরা, "তুমি কি অন্ধ, পায়ে হাতুড়ি মারছ কেন?" কামার  বলেছিল, "পায়ে কেন, দরকার হলে তোমার বুকেও হাতুড়ি মারতে পারি। তুমি কিছুই করতে পারবে না।" রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নীরা বলেছিলেন, "আমি জানি আমি তোমাদের ক্রীতদাস। তোমরা যা খুশি করতে পারো আমাকে নিয়ে।" এরপর একদলা থুতু কামারের মুখে ছুঁড়ে দিয়ে নীরা বলেছিলেন, "মেয়েদের সম্মান করতে শেখো"৷

ঘটনাটি উপভোগ করছিলেন জেলার। এগিয়ে এসে বলেছিলেন, "নেতাজি কোথায় সেটা বলে দাও। আমরা তোমায় ছেড়ে দেব।" ভাবলেশহীন মুখে নীরা বলেছিলেন,"সারা বিশ্ব জানে নেতাজি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।" উত্তেজিত জেলার বলেছিলেন, "তুমি মিথ্যে কথা বলছ। সুভাষ বোস এখনও জীবিত।" মাথা উঁচু করে নীরা সগর্বে বলেছিলেন, " হ্যাঁ নেতাজি বেঁচে আছেন, আমার বুকে।" ক্রোধে উন্মত্ত জেলার বলেছিলেন, "সুভাষ বোস যদি তোমার বুকে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আমরা তাকে বের করে আনব।" এরপর জেলার নীরাকে অমানুষিকভাবে মারতে শুরু করেছিলেন। ছিঁড়ে দিয়েছিলেন জামা৷ এরপর যে বর্বরোচিত অত্যাচার করেছিল ব্রিটিশ জেলার তা কল্পনাতীত। মধ্যযুগীয় অত্যাচার তার কাছে কিছুই নয়। 'ব্রেস্ট রিপার' দিয়ে উপড়ে ফেলা হয়েছিল নীরার স্তন, কদর্যতা-পাশবিকতায় হার মেনেছিল মানুষের সামান্যতম বোধ তবুও নীরার মনে ডানা মেলত একটাই স্বপ্ন, স্বাধীন ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে সুর্যোদয় দেখবেন।  নীরা আন্দামানে আসার একবছর পর, স্বাধীন হয়েছিল ভারত। মুক্তি পেয়েছিলেন নীরা। কিন্তু তাঁর আত্মত্যাগের সম্মান দেয়নি দেশ। অভিমানে সাধারণের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন অসাধারণ নীরা। বহু দশক পরে, নীরা আর্যকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল হায়দ্রাবাদের ফলকনুমা এলাকায়। স্বাধীন ভারতে ফুল বেচে পেট চালাতেন তিনি। থাকতেন বস্তির এক চালাঘরে। বস্তির লোকেরা তাঁকে ডাকতেন "পেডাম্মা" বলে৷ 

পরবর্তীকালে তাঁর পরিচয় জানার পর, তাঁকে সরকারি পেনসন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন নীরা। সকলের অলক্ষ্যে, ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই, হায়দ্রাবাদের উসমানিয়া হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছিলেন ৯৬ বছরের বীরাঙ্গনা নীরা আর্য৷ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হয়নি তাঁর। জোটেনি গান স্যালুট। সহৃদয় পড়শীরাই তাঁর শেষকৃত্য করেছিলেন। তারাই দিয়েছিলেন ফুলের মালা, ফেলেছিলেন দু'ফোঁটা চোখের জল। মৃত্যুর কয়েক বছর আগে, যে কুঁড়েঘরে নীরা থাকতেন, সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ সেটি দাঁড়িয়ে ছিল সরকারি জমির ওপর। সেদিনই নীরা বুঝতে পেরেছিলেন, যে মাটির জন্য তিনি রক্ত ঝরিয়েছিলেন, সেই মাটিও তাঁর নিজের ছিল  না৷ 
এখন নীরা আর্যর নামে একটি পুরস্কার দেওয়া হয়৷ নীরা আর্যর নামে সিনেমা হবে কিন্তু মনে রাখবার মানুষ কই !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.