Header Ads

বাংলাদেশে মৌলবাদীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্মারক পত্র দাখিল



বাংলাদেশ রাষ্ট্রে মৌলবাদীদের দ্বারা সৃষ্ট চলমান হিংসা,সন্ত্রাস, বর্বরতা,ধর্মমতীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিত্যনৈমিত্তিক চরম আক্রমন,তাদের ভিটে-মাটিতে অগ্নিসংযোগ, হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে শান্তি ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার,মান-সম্ভ্রম,জীবন-জীবিকা,সম্পদ-সম্পত্তির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবার দাবীতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মারফৎ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি প্রদান করলো ‘আমরা বাঙালী’ রাজনৈতিক সংগঠন। এছাড়াও সংগঠনের তরফে কলকাতার বেকবাগান মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ‘আমরা বাঙালী’—র কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব অনিতা চন্দ,অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ ও আমরা বাঙালী’র প্রবীণ নেতা নরেশ চন্দ্র রায় এঁদের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
     সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন, ২০২৪ সালের গত আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানাবিধ হিংসাত্মক ঘটনাক্রম চলছে। সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যম মারফৎ আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে তদারকি উপদেষ্টামণ্ডলী সরকার পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরেও সন্ত্রাসমূলক পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি— বরং দীর্ঘ চারমাস ধরে সেখানকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিরীহ বাঙালীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে মৌলবাদী শক্তিরা।হিংস্র দুর্বৃত্তের দল সংগঠিতভাবে সাধারণ নিরপরাধ বাঙালীদের ঘর-বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে,পুড়িয়ে সন্ত্রাস ও পাশবিক নির্যাতন নিপীড়নের ভয়াবহ বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। এই সন্ত্রাসের কবল থেকে শিশু,বৃদ্ধ, মহিলা আইনজীবী, সাংবাদিক, শিল্পীর মতন প্রগতিশীল বাঙালীরাও রেহাই পাননি!! এসবের পরেও তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিষ্ক্রিয়তার চরম নিন্দা করছি আমরা। গোটা বাঙালী জাতির কাছে আমাদের অনুরোধ, ধর্মমতীয় বিভেদের ভাবনা মনের ভেতরে তৈরী হতে দেবেন না। সন্ত্রাসবাদীদের একটিই পরিচয় তারা সন্ত্রাসবাদী,তারা দুষ্কৃতী। অতীতের দেশভাগ সহ বিভিন্ন সময়ে বাঙালী জাতির আভ্যন্তরীণ ঐক্যকে বিনষ্ট করতে ধর্মীয় প্রাচীর টেনে, বাঙালী জাতির মধ্যে ধর্মীয়  ভাবাবেগের রাজনীতি করে রক্তক্ষয়ী ভ্রাতৃঘাতী সংঘর্ষ বাধানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, শুধু মাত্র ধর্মের জিগির তুলে বাঙালী বাঙালীকে কাটছে! নির্দ্ধিধায় খুন করছে! কবে বোধোদয় হবে বাঙালীর? দেশভাগ,দাঙ্গার ক্ষত আজও বহে বেড়াচ্ছে বাঙালী। এই ‘দাঙ্গা’ বাঁধিয়ে ছিল কারা ?? ধর্মের জিগির তুলে এই দাঙ্গা বাঁধিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করে অন্তরালে বসে থেকেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের তাবেদার কিছু পশ্চিমি ধূর্ত রাজনীতিক, ফ্যাসিস্ট-শোষক দেশীয় পুঁজিপতি। আজ আবার একই ভাবে বাঙালীকে ধর্মান্ধতায় উন্মত্ত করে, দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চালাচ্ছে অন্তরালে থাকা সেই ফ্যাসিস্ট শোষকরাই। বাঙালী জাতিসত্ত্বা বিনষ্টকারী সকল মৌলবাদী অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। এমতাবস্থায় আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে আমরা দাবী রেখেছি— বাংলাদেশের প্রত্যেক বাঙালীর বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
    এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সচিব তথা প্রবীণ নেতা বকুল চন্দ্র রায়,কেন্দ্রীয় অর্থসচিব মোহনলাল অধিকারী, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সচিব অনিতা চন্দ,অসম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ,বিকাশ বিশ্বাস,বাপী পাল, অরূপ মজুমদার, মিন্টু বিশ্বাস, প্রতিমা দাশ, মমতা ঘোষাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.