বাংলদেশে হিন্দুদের জীবন সম্পত্তি রক্ষা করতে পারছেন না ইউনূস সায়েব,নির্যাতন বন্ধ হোক অবিলম্বে
নয়া ঠাহর ,শিলচর ,গুয়াহাটি : গু য়াহাটি, ৩০ নভেম্বর:: বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে মুহম্মদ ইউনুস সরকার ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু বাঙালি ও বৌদ্ধধর্মীয়দের ওপর অমানবিক ভাবে নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। হত্যা, হিংসা, মন্দির ভাঙচুর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রায় নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। "নর্থ ইস্ট হিন্দু বাঙালি ইউনাইটেড ফোরাম" সহ সারা অসম বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশন, কার্বি আংলঙ বাঙালি সমাজ, নাগাল্যান্ড লিঙ্গুইস্টিক মাইনোরিটিজ ফোরাম, বিটিআর বাঙালি যুবছাত্র ফেডারেশন, বৃহত্তর বরপেটা রোড বাঙালি সমাজ, বঙ্গীয় অসমিয়া সমাজ, কো-অর্ডিনেশন ওয়েলফেয়ার কমিটি, ত্রিপুরা, হিন্দু সুরক্ষী দল গুয়াহাটি, ইত্যাদি অরাজনৈতিক সংগঠন গুলি একত্রিত ভাবে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছে। প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মীরা সমদল করে বাংলাদেশ অ্যাসিস্টেন্ট হাই কমিশনার অফিস ঘেরাও করেন। পরে চারজন প্রতিনিধি দীপক দে, চিত্তরঞ্জন পাল, শুভ্রাংশু দেব ও হরেন দাস প্রমুখেরা অ্যাসিস্টেন্ট হাই কমিশনার রুহুল আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁর হাতে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেডারেশনের সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ কে দুই টুকরো করে আলাদা একটি হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদেরও বাংলাদেশে সংঘটিত অমানবিক ঘটনায় বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন। যদি কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে ভারতীয় সেনা নামাতে চায়, তাহলে একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধের মতো উত্তর পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার যুবক প্রাণ দিতে প্রস্তুত থাকবে।
ফোরামের মুখ্য আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, রংপুর, রাজশাহী, যশোর, খুলনা ও চট্টগ্রাম নিয়ে একটি স্যাটেলাইট হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।সে দেশের হিন্দু সংখ্যালঘু লোক বিনিময় প্রথার মাধ্যমে চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে। তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্করের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির জন্য বাংলাদেশ আজ এক জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর মতো সেনা অভিযান চালিয়ে সমুচিত শিক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তি দাবি করে বলে, চিন্ময় দাসকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দেশদ্রোহি সাজানো হয়েছে। আট দফা দাবির মধ্যে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও সংখ্যালঘু কমিশন দাবি করা বাংলাদেশে দেশদ্রোহী কাজ নয়। ওদিকে, মুহম্মদ ইউনুস ক্ষমতায় আসার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করার যে হুঙ্কার দিয়েছেন, তার যোগ্য প্রতিত্তোর দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চিত্তরঞ্জন পাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নর্থ ইস্ট হিন্দু বাঙালি ইউনাইটেড ফোরামের পক্ষ থেকে এই স্মারকলিপির প্রতিলিপি জেনেভাস্থিত জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল সহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও প্রেরণ করা হয়েছে।
দাবিগুলো হচ্ছে, দেশব্যপী হিন্দু সংখ্যালঘু সহ বৌদ্ধধর্মীয় মানুষের ওপর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া হিংসার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট ভয়ের বাতাবরণ স্বাভাবিক করা, অপরাধ সংঘটিত করা ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা, প্রভু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া, স্থায়ী সমাধানের জন্য বাংলাদেশ কে দুভাগ করে হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করা, ১৯৭১ সালের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কুটনৈতিক কার্যকলাপ সক্রিয় করা, জাতিসংঘে চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশের ওপর স্যাংশন দেওয়া। সমুদ্রে প্রায় চারশো যুবক অংশ গ্রহণ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই