Header Ads

তৃনমূল আওয়ামী লীগ শক্তিশালী ভাবে গড়ে উঠুক

তৃণমূলে আওয়ামী লীগের তিনস্তরের নেতৃত্ব গড়ে উঠুক
© ফকির ইলিয়াস
........................................... 
মহান বিজয়ের মাস চলছে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে
বিজয়ের নেতৃত্ব দানকারী দল।
সেই দলকে আজ কোনঠাসা 
করে রাখার পাঁয়তারা করছে বর্তমান দখলদার সরকার।দলটির নেতারা প্রাণভয়ে, কেউ
দেশ ছেড়েছেন।কেউ জেলে আছেন। কেউ আত্মগোপনে আছেন।
দলের সভাপতি বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। রাজনীতিতে দেশত্যাগ খুবই মামুলি বিষয়।
দখলদার দ্বারা আক্রান্ত হলে কোনো ক্ষমতাসীন,কিংবা অন্য
কোনো রাজনীতিক দেশ ত্যাগ করতেই পারেন।
কিন্তু শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর, আজ আমরা কি দেখছি? 
কী সব হচ্ছে বাংলাদশে? 
রাষ্ট্রটিকে খুবলে খাওয়ার জন্য
খুলে দেয়া হয়েছে। মব ভায়োলেন্স চলছে প্রতিদিন,প্রতিরাত। গুপ্তহত্যা, গুম চলছে৷ সনাতনী সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের উপর অমানবিক
নির্যাতন চলছে, রাষ্ট্রীয় মদতে।
এর জন্যে কি বিজয় অর্জিত হয়েছিল? 
আওয়ামী লীগ তো ক্ষমতায়
নেই।  তাহলে শান্তির কথা, 'বৈষম্যবিরোধ' এর কথা বলে
বাংলাদেশে এসব কি চালাচ্ছেন
পিস নোবেল লরিয়েট?? 
নাকি তার উদ্দেশ্য অন্য কিছু? 
  মেনে নিচ্ছি, আওয়ামী লীগ ভুল করেছিল!  কিন্তু গেল চারমাসে বাংলাদেশে মব 
কি/লিং এর সংখ্যা কত? 
এর সঠিক জবাব কি? 
আমরা জানি, আওয়ামী লীগ
রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে একাই যায়!
আর হারলে, গোটা বাংলাদেশ
হারে! 
  ০৫ আগস্ট ২০২৪ মুক্তিযুদ্ধের
বাংলাদেশের পরাজয় ঘটেছে! 
তা সেদিন সকালেই আমি বলেছিলাম।
এর থেকে উত্তরণের পথ কি? 
বিজয়ের বাংলাদেশ কি হেরে যাবে? 
প্রশ্ন এখন একটাই।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, বর্তমান
সচল রাজনৈতিক দলগুলোই
লীগ ঠেকাতে মরিয়া! 
লীগের সহযোগী ১৪ দলের নেতারাও জেলে। 
এই সময়ে তৃণমূলে আওয়ামী লীগের হাল ধরবে কে? 
এর উত্তর খুঁজতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় যাদের দায়িত্ব দেয়া হবে, তাদেরকেই জেলে ঢুকানো হবে! 
তা হতেই পারে।
তাই বলে আওয়ামী লীগ তো
প্রায় পাঁচকোটি সমর্থক নিয়ে
হারিয়ে যাবে না। যেতে পারে না।
অন্যান্য দলের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার
থাকলে আওয়ামী লীগেরও
থাকবে। থাকতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তো পাবলিকের আই ওয়াশ করা যাবে না। যায় না। 
এই সময়ে আওয়ামী লীগের 
তৃণমূলের নেতৃত্বকে শক্তিশালী
হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনটি স্তরের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে, সেই একাত্তরের কায়দায়।
আমি একাত্তর সালে দেখেছি,
মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, ত্যাগী ভূমিপুত্ররা।
তারা কাতারবন্দী ছিলেন জানবাজি রেখে।
একটি স্তরকে হয়রানি করা হলে, অন্য স্তর এগিয়ে এসে নেতৃত্ব হাতে নিয়েছেন।
সময়টা একাত্তরের মতোই।
এই লড়াইয়ে না জিতে উপায় নাই।
কতিপয় দখলদারের হাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জন নি:শেষ হয়ে যেতে পারে না। 
তাই বলি, প্রিয় প্রজন্ম আপনারা বিবেচনা করুন।
সময়কে মিলিয়ে দেখুন।এই
দেশ সকল ধর্ম বর্ণ জাতি গোত্রের মানুষের।
একাত্তরের শহিদের রক্তে অর্জিত মূল্যবোধ ম্যাটিকুলাস 
প্ল্যানের কাছে হারবে না।
হারতে পারে না।  🇧🇩
🌿

নিউইয়র্ক / ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.