অমল গুপ্ত কান্দি জেল রোড ,,কোলকাতা - 54দিন হল আজও অভয়া বিচার পেল না। সিবিআই না সুপ্রিম কোর্ট প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তি দিতে পারলেন না। দুমাস হতে চলল।গত 9আগস্ট কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরকারি নিরাপত্তার ঘেরা টপে জুনিয়র ডাক্তার 31 বছরের অভযা কে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। শরীরে শতাধিক দাঁতের কামরের চিহ্ন। ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়, যৌনাঙ্গ রক্তাত্ব , দুষ্কৃতীরা 150গ্রাম বীর্য ফেলে গেছে। একজন নয় ।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এই ভয়ংকর প্রতিবেদন প্রমাণ করে একজন নয় একাধিক অসুর 31 বছরের শরীর তাকে ছিঁড়ে খেয়েছে এই হত্যার প্রমাণ লোপাটের সব চেষ্টা চলছে।। পুলিশ মাত্রাএকজন কে গ্রেফতার করে দায়িত্ব শেষ করেছে।আজও বাকি 8,10 জনঅসুর ধরা পায়নি ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ ,সিবিআই সুপ্রিমকোর্ট নির্বিকার ।মানুষের আবেগকে মূল্য দিচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্ট হাত গুটিয়ে বসে আছে। আবার শুনানি। এবার শারদীয় উৎসব হবে তবে মা দুর্গার পুজো হবে না।রাতভর সড়ক দখল করা মহিলাদের জোরালো দাবী আন্দোলন চলবে। নিহত পড়ুয়া ডাক্তার আজকের অধিকাংশ ডাক্তারদের মত অসাধু ছিলেন না। গরীবদের রক্ত খেগো ডাক্তার ছিলেন না। বড় বড় তথাকথিত ডিগ্রি ঝোলানো সাইনবোর্ড ঝোলানো ডাক্তার নয় । সেই জুনিয়র ডাক্তার মাত্র 2,50টাকা করে ভিজিট নিয়ে চিকিৎসা করতেন।প্রেসক্রিপশন এ ডাক্তারদের লেখা কেউ বুঝতে পারবে না।নিহত ডাক্তার হতে মুক্তর মত লিখতেন। হাসপাতালে রুগীর মাথায় হাত বুলিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করতেন। জুনিয়র ডাক্তার প্রেম করতেন এক সিনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে ,আগামী 13 নভেম্বর বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছিল । 24পরগনার সোদ পুরের আদি বাসিন্দা। বাবা সামান্য কাজ করেন। শোকার্ত মা বাবা বিচারের আশায় বসে আছেন।আজ 2অক্টোবর গান্ধীজির জন্ম দিনে মহালয়ার ভরে মহিলারা ঘাটে নদ নদীতে জ্বলন্ত প্রদীপ ভাসিয়ে অভয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে অবিলম্বে বিচার চাইছেন। ভোরের আগমনী বার্তার সময় কলকাতার রাস্তায় ঢাক বাজে শঙ্খ বাজে এবার অন্য রকম মহালয়া।রাজ্যের অধিকাংশ নয় প্রায় 100শতাংশ হাসপতালে থ্রেট কালচার চলছে। ডাক্তার দের পাশ ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারদের নিরাপত্তা নেই। জুনিয়র ডাক্তার র সেই একই দাবিতে পথে নেমেছে। রাত ভোর মহিলাদের প্রতিবাদ আন্দোলনের মাঝে শাসক দলের নেতারা গণ্ডগোল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কলকাতা টালিগঞ্জ এক মহিলা কাউন্সিলর দের বাহিনী মহিলা প্রতিবাদ কারীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ এসেছে। শুধু কলকাতা পশ্চিমবঙ্গে নয় প্রতিবাদে সামিল হয়েছে আমেরিকা ব্রিটেন,জার্মান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি রাষ্ট্রের বাঙালিরা। আর জি কর কান্ড শুনানি চলছে তাতে অধ্যাপক সহ 40জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে হুমকি চলেছে।প্রমাণ পাওয়া গেছে। 59 জনের মধ্যে 40জনের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার প্রমাণ পাওয়া গেছে।সার্বিক ভাবে রাজ্যের সব ডাক্তার।হুমকি সংস্কৃতির শিকার।সৎ ভাবে একজন ডাক্তার হতে পারেনি। কলকাতার রাস্তায় মহিলারা মেরুদন্ড রপ্রতীকী চিহ্ন আঁকেন। যে মেরুদন্ড খানা বাঙালিরা হারিয়ে বসেছে।নিজেদের মেয়ে ,বোন কে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল প্রতিবাদ করার সাহস হল না।নিজেদের শিরদাঁড়া সোজা করতে পারল না। থ্রেট কালচার এর বলি স্বর্ণ পদক পাওয়ার আশা জাগানো অভযা ,মাধ্যমিকে 90 উচ্চ মাধ্যমিকে 80শতাংশ মার্ক পেয়েছিলেন। স্বপ্ন দেখতেন স্বর্ণ পদক লাভ করে ডাক্তারি করে গরীব মানুষের সেবা করার। আমেরিকা, ব্রিটেন কলকাতায় প্রতিবাদের ছবি
কোন মন্তব্য নেই