চোখ বুজে থাকার পাপেই গেল মেয়ে'
চোখ বুজে থাকার পাপেই গেল মেয়ে'
ডাক্তারের হাত জড়িয়ে ধরে কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের অপারেশন থিয়েটারের প্রৌঢ় কর্মী হাউহাউ করে কেঁদেছিলেন।
আমাদের চোখ বুজে থাকার পাপেই কি আমার মেয়েটা চলে গেল।
সিজার করে সুস্থ সন্তানের জম্ম দিয়ে তাঁর তরতাজা মেয়ে আচমকাই মারা গিয়েছিল। বাড়ির লোককে বলার মতো কোনও মুক্তি ছিল না ডাক্তারের কাছে।
কিন্তু এই মৃত্যুর সঙ্গে চোখ বুজে থাকার পাপের রোগটা কী?
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর ওই হাসপাতালের একাধিক স্ত্রী-রোগ চিকিৎসক দলবদ্ধ ভাবে স্বাস্থ্যকর্তাদের জানিয়েছেন মাসের পর মাস সে ওষুধ সরবরাহ হচ্ছে, তার মান ভয়াবহ। চোখের সামনে তাঁরা দেখছেন আচমকাই রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তার পর কোনও কিছু বোঝার সুযোগ না দিয়েই মৃত্যু। তাঁরা স্বাস্থ্যকর্তাদের জানান কোনও একটি জায়গায় নয় বিভিন্ন হাসপাতালে বেশ কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে।
তাঁদের অনুমান কোনও ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এমন বিপর্যয়।
স্বস্থ্য ভবন এ নিয়ে বৈঠক ডাকে।
তদন্ত কমিটিও হয়।
এক চিকিৎসক বলেন আমার ডাক্তাররা অনেকই দলবদ্ধ হয়ে অভিযোগ করেছিলাম অক্সিটোসিনের মান নিয়ে। প্রসবের ক্ষেত্রে জরায়ু সংকোচনের জন্য অক্সিটোসিন অত্যন্ত জরুরি ওষুধ। স্বাভাবিক প্রসবে এই ইনজেকশন ইন্ট্রামাস্কুলার দেওয়া হয়। আর সিজারের ক্ষেত্রে দেওয়া হয় ইন্ট্রভেনাস। দেখেছিলাম সিজারের ক্ষেত্রেই সমস্যা বেশি হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই