Header Ads

নিজের মেয়ে কে চক্রান্ত করে "হত্যা "করে মেরুদণ্ডহীন বাঙালি রা আজ বিচার চাইছে

অমল গুপ্ত ,কোলকাতা :  আগামী ৯সেপ্টেম্বর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ  এ ডাক্তার হত্যা একমাস পূর্ণ হবে। এই নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে   রবি বার   রাত দখল  ,ভোর দখলের ডাক  দিয়েছ বিভিন্ন মহিলা সংগঠন।  গত ১৪ আগস্ট রাত দখলের ডাক  সারা বিশ্বে পৌঁছিয়ে  গিয়েছিল  সেই সংগঠন  আবার রবিবার  রাত দখলের ডাক দিয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আমেরিকা , রাশিয়া, ব্রিটেন, জাপান, সিঙ্গাপুর  সহ ৮ ১০ টি বিদেশি রাষ্ট্র বিচারের দাবিতে রাত দখল করবে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি সমাজ  পথে নামবে। আজ যাদের লজ্জা থাকার জায়গা নেই। সারা বিশ্ব দেখছে কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অধীনে কর্মরত জুনিয়র পড়ুয়া ডাক্তার কে রক্ষা করতে পারল না ।তাদেরই  চক্র  নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল।এই হত্যা ধামা চাপা দিতে কলকাতা পুলিশে র ন্যাক্কারজনক  কর্মকান্ড বিশ্ব বাসী দেখলো। এই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে বাঁচাতে নতুন করে পদোন্নতি দেবার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকাণ্ড ও সারা পৃথিবী দেখলো।   মর্গ থেকে   লাশের  ব্যবসা  করা ,পাশ কে ফেল করানো    সেক্স র‍্যাকে ট ,মাদক   চক্র   দালাল চক্র     কমিশন চক্র   চালাতেন দুর্নীতির নায়ক সন্দীপ ঘোষ।    সরকারের   ঘনিষ্ট  এই সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ইডি অভিযান চালিয়ে  বহু দুর্নীতির সন্ধান পেল।বিলাসবহুল রিসোর্ট সহ বহু সম্পত্তির খোঁজে  পায়। রোগীর খাট ,  ভেজাল  ইনজেকশন  সিরিঞ্জ  ,ভেজাল ঔষধ   ভেজাল সামগ্রী  ইত্যাদি বায়ো কেমিক্যাল বর্জ্য  বিদেশে পাচার করা হত বলে  ডাক্তার     পড়ুয়া দের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।  আর জি  করের ঘটনা থেকে যে সব গোপন তথ্য সামনে আসছে  তাতে বোঝা যাচ্ছে  গত ১৫ বছর থেকে যে সব ডাক্তার  পাশ করে চেম্বার করে রুগীদের টাকা লুটের খালায় মেতেছে। তাদের ১০০ শতাংশ বিশ্বাস করা যাবে না। মুর্শিদাবাদ জেলার  বহরমপুর  শহর এর প্রধান রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে  তথা কথিত  ল্যাবরেটরি  খুলে বসেছে।    তাকথিত ল্যাবরেটরি   তথাকথিত ডাক্তার যারা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের মত কলেজ থেকে পাশ করে    জোর প্র্যাকটিস শুরু করেছে।ভাল ব্যবসা ভুয়ো ডাক্তার   ৫০০ ,১০০০ টাকা ভিজিট।   দেশে ভুয়ো জাল  ঔষধ  ভরে গেছে। নির্বাচনী বন্ড   এ মোটা অঙ্ক দিয়ে অসাধু ঔষধ  ব্যবসায়ীরা l  ভেজাল  ঔষধের দাম তিনচার গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গরীব বয়স্ক রুগীদের     মেরে ফেলছে। জুনিয়র ডাক্তাররা  মেরুদন্ড র প্রতীকী নিয়ে লালবাজারের পুলিশ অফিসারদের দিয়ে আসে। এখন  প্রতীয়মান হচ্ছে।সমস্ত বাঙালির মেরুদন্ড আছে তো?  এই বাঙালি কি ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন,  নেতাজি  র বংশধর ? তাদের দেহে  রক্ত আছে তো? এই মেরুদন্ড হীন সততা ,মূল্যবোধ না থাকা বাঙালি কি বিবেকানন্দ নেতাজি  র নাম নেওয়ার অধিকার আছে?    মানব সেবার মত সেবা করার  মহৎ সেবা করার শপথ গ্রহণ  করার পর ডাক্তারদের  এই চিকিৎসা সেবায় আসতে হয়। তার আগে মোটেই নয়।  মানুষের রোগের সেবা করবো টাকা কড়ি নেবো না এমন শপথ কি ডাক্তারদের নিতে হয়। তারা কি জানেন একাংশ স্বাস্থ্য কর্মীদের চক্রান্তের বলি নিহত জুনিয়র ডাক্তার পড়ুয়া ছিলেন মেধাবী ছাত্রী আজকাল  কোনরকমে উৎকোচ দিয়ে ডাক্তারদের হাতের লেখা বোঝা যায়না।ওই ডাক্তারের  হাতের লেখা ছিল মুক্ত r মত ঝক ঝকে।গরীব রুগীদের কাছ থেকে আড়াই শো টাকা করে  ভিজিট নিতেন। ৩১ বছরের   সোধপুরের  বাসিন্দা ডাক্তার নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন  ।মাধ্যমিক ৯০ শতাংশ  উচ্চ মাধ্যমিকে ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। আমি স্বর্ণ পদক পেয়ে গরীবের সেবা করতে চাই বলে  ডায়েরির পাতায় লিখে গেছেন। আর তার ডাক্তার  হওয়া হল না।তার আত্মার শান্তির লক্ষ্যে  বিচারের দাবিতে সারা বিশ্ব প্রার্থনা করছে। তার জাগছে।




 



  



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.