বাগানে ফুল ফোটাচ্ছেন নলকূপ মিস্ত্রি
বাগানে ফুল ফোটাচ্ছেন নলকূপ মিস্ত্রির পুত্র
রাত শেষ হওয়ার আগেই চম্পাহাটির রায়পুর গ্ৰামের ছোট্ট বাড়ি থেকে নলকূপ বসানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে এখনও বেরিয়ে পড়েন প্রদীপ বিশ্বাস।
কোনও দিন কাজ জোটে। কখনও জোটে না। প্রবল আর্থিক সঙ্কটেই তাঁর ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফুটবলের প্রতি ভালবাসা কমেনি।
দীপেন্দু বিশ্বাস তখন ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল তারকা। আই এম বিজনেস সঙ্গেও তুলনা শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর। সেই দীপন্দুকে দেখেই নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন প্রদীপ। ঠিক করলেন যদি ছেলে হয় নাম রাখবেন দীপেন্দু শেখাবেন ফুটবল। সোমবার রিতে যুবভারতীতে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ময়দানের নতুন দীপেন্দুর গোলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সমতা ফেরানোর পরে চোখ জলে ভরে উঠেছিল প্রদীপের। ফিরে গিয়েছিলেন অতীতের সেই দু:সহ দিনগুলোতে। আনন্দবাজারকে সবুজ - মেরুনের নতুন তারা দীপেন্দুর বাবা বলছিলেন অগ্ৰণী ক্লাবে খেলতাম। কিন্তু অর্থের অভাবে দু'বেলা খাওয়া জুটত না। বাধ্য হয়েই ফুটবল ছেড়ে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করি। খেলাও দেখতাম দীপেন্দু বিশ্বাস তখন মোহনবাগানের হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন। আমি ভক্ত হয়ে গেলাম। মনে মনে ঠিক করি বিয়ের পরে যদি ছেলে হয় নাম রাখব দীপেন্দু।
কোন মন্তব্য নেই