নয়া ঠাহর অমল গুপ্ত , ,কোলকাতা : শাসক দলের সমর্থক কলকাতা সহ বীরভূম জেলার মানুষ বেজায় খুশি। তাদের জেল ফেরত "গরু, বালি " পাচার কারী নেতা ছাড়া পেয়েছে।উলুধ্বনি, শঙ্খ বাজিয়ে লাল কার্পেট সম্বর্ধনা জানানো হয়। সরকারের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তো আরও বেশি খুশি। এবিপি আনন্দ তো কুণালের ঘোর সমর্থক ,তো তাদের খুশিতে সাক্ষাৎকার নিয়ে বসে। এই চ্যানেল প্রতিদিন কুণাল ঘোষ কে দেখাবেই দেখাবে।নতুবা চ্যানেল চলবে না। লজ্জা লাগে এবিপি চ্যানেল খুললেই কুণাল , ৫০ টি বেশি দূর্নীতি মামলা থাকা অভিযুক্ত বিরুদ্ধে হাজার হাজার অভিযোগ বাংলাতে অনুবাদ করার মানুষ পায়নি অজুহাতে ভারতের বিশিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই নেতাকে ছেড়ে দিল বিশ্বাস করা যায়! মানুষ বিশ্বাস করবে ? রাজ্যে সব ক্ষেত্রে দূর্নীতি আর দূর্নীতি ।রাজ্যে মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষ নেই ।রাজ্যের বাঙালি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেনা তাদের মেরুদন্ড বড়ই দুর্বল।নিজের পরিবারের মেয়েকে চক্রান্ত করে হত্যা করা হল।পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, সিনেমা , শিল্পী ,জনপ্রতিনিধি এম এল এ, সাংসদ,অধিকাংশ নিজের চাকরী বাঁচানোর তাগিদে গর্তে লুকিয়ে থাকলেন। নিজেকে বিশাল নেতা ভেবে এক মহিলা সংসদে উত্তাল করছেন।একজন তো জোকারের ভূমিকা গ্রহণ করেছে। যার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একজন তো মিটার কি জল মাপার যন্ত্র কি জানা নেই। অনুব্রত মণ্ডল কে রেড কার্পেটে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে। যার কোনো শিক্ষা নেই।শুধু চারি আর চুরি। তাকেই সম্বর্ধনা। আর একাংশ সাংবাদিক টিভি চ্যানেল গুলি ঝাঁপিয়ে পড়েছে।এবিপি আনন্দ টিভি এগিয়ে আছেন। অনুব্রত বলেন" সারদার আর পশ্চিমবঙ্গের শুভেচ্ছা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরলেন।" মাত্রা একজন সাংসদ পদত্যাগ করে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁর মেরুদন্ড আছে। । মুর্শিদাবাদের গর্ব বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী জিয়া গঞ্জএর অরিজিৎ সিংহ, বহরমপুরে শ্রেয়া ঘোষাল বাঁকুড়ার আত্রিয়া সিনহা রাজ্যের দুর্দিনে গান গেয়ে মানসিক শান্তি দিচ্ছে। রাজ্যে সব মেডিক্যাল কলেজ আর সব বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীন সব কলেজ থ্রেট কালচার আছে ।সঙ্গে মাদক, সেক্স তো আছেই ।শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে নরকে গেছে। ভারত মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ উত্তর বঙ্গ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বিশেষ করে মেডিক্যাল কলেজ ইয়াবা বলে হলুদ রঙের এক নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ঢুকছে। বাংলাদেশে ৭০ শতাংশ এই টেবিলের শিকার। পশ্চিম বঙ্গে অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রী এই ট্যাবলেট নেয় বলে বিভিন্ন সূত্রে অভিযোগ।ট্যাবলেট টি পাতলা কাগজে রেখে টা জ্বালিয়ে ধোঁয়া নেওয়া হয়।এছাড়া এক ইনজেকশন নেওয়া হয়। সবাই থ্রেট কালচারের শিকার।রাজ্যের এক মন্ত্রী দাবী করলেন কোনো থ্রেট কালচার নেই।পশ্চিমবঙ্গে প্রাইভেট বি ইডি কলেজ গুলিতে প্র্যাকটিক্যাল নামে লাখ টাকা তোলা নেওয়া হয়। দুটি করে খাতা শিক্ষক কেবল নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে দরদাম করা হয়।দরদাম করা এক অফিসার আজ জেলে আছে। এছাড়া কলেজ গুলিতে ভর্তি করিয়ে দেবার নামে লাখ লাখ টাকা তোলা হয়।ছাত্র নেতাদের ফান্ড ফুলে ফেঁপে ওঠে।বড় বড় জলসা হয়। রাতভর জলসা নিয়ন্ত্রণ নেই। শিক্ষার কোনো পরিবেশ নেই।আথিক সামর্থ্য থাকা অভিভাবক বা তাদের সন্তানদের বাইরের রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কলকাতা ফাঁকা।এবার কলকাতার বাবুদের সিংহভাগ পুজোয় বাইরে চলে যাবার টিকিট কেটে ফেলেছে। কলকাতায় থাকলে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে প্রতিবাদী মিছিল করা থেকে বেঁচে যাবে।কি দরকার নোংরা ধুল রাস্তা হাঁটা।
কোন মন্তব্য নেই