Header Ads

ইন্দিরা জয় সিংহ হলেন বাঙালি করুণা নন্দী জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে লড়লেন

এই ভদ্রমহিলাকে চেনেন ? 

গতকাল, সুপ্রিম কোর্টে ইন্দিরা জয়সিংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে যিনি কপিলবাবুকে প্রায় তবলার মতো বাজালেন, ইনিই সেই সিনিয়র অ্যাডভোকেট  - করুণা নন্দী। ইনি বাঙালি হলেও প্রবাসী। জন্ম ভোপালে আর পড়াশুনো দিল্লিতে কাজেই, ওনার বাংলাটা আমার থেকেও ঢের খারাপ !
দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স থেকে ইকোনমিক্সে গ্রাজুয়েশন, তারপর সোজা বিলেত। কেমব্রিজ থেকে ল-ডিগ্রি পাবার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা এবং আমেরিকার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ল-তে মাস্টার্স। শুনলে আশ্চর্য হতে হয় যে বিলেত, আমেরিকা এবং ইন্ডিয়া - তিনিটি দেশেই ল প্র্যাক্টিস করার লাইসেন্স ওনার আছে (এমন কৃতিত্ব এই মুহূর্তে ভারতে আর কারোর আছে কিনা আমার জানা নেই)।
এমন দুর্দান্ত অ্যাডভোকেট কন্যার বাবা-মায়ের পরিচয়টাও একটু শুনে যান। ওনার বাবা ডক্টর সমীরণ নন্দী আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়েছেন কিন্তু আমেরিকাতে সেটল না করে দেশে ফিরে এসে অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্স-এ ডাক্তারি করেছেন। ১৯৮৫ সালে উনি পদ্মশ্রীও পেয়েছেন। আর ওনার মাতৃদেবী ? উনি পড়েছেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সে। পেডিগ্রি কাকে বলে !
অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী দারুন ইন্টারেষ্টিং সব কেস সুপ্রিম কোর্টে জিতেছেন, যার মধ্যে বিভিন্ন ওমেনস রাইট এবং এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত জটিল মামলাগুলোও আছে। আদালতে যুক্তির পর যুক্তি সাজিয়ে, ভীষণ আক্রমণাত্মক সওয়াল-জবাব করার জন্য উনি বিখ্যাত।  
২০১২তে দিল্লির নির্ভয়া কেসের পর জাস্টিস ভার্মা কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অ্যান্টি-রে*প আইনটিকে সংশোধন করার জন্য। তখনকার আইনের ফাঁক-ফোকড়গুলো খুঁজে খুঁজে, সেই সংশোধন সম্পর্কিত আইনের পরিবর্তনটি যারা লিখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট করুণা নন্দী।  
‎‎
যারা সুপ্রিম কোর্টের আগের হিয়ারিংগুলোয় কপিলবাবুর সুচতুর ব্যাটিং দেখে এবং নির্যাতিতা ও ডাক্তারদের পক্ষ থেকে তেমন আক্রমণত্মক সওয়াল-জবাব না দেখে হতাশ হয়েছিলেন, মেক নো মিস্টেক - ঝাঁসি রেজিমেন্ট সুপ্রিম কোর্টের দখল নিয়েছেন। 

ইন্দিরা-করুণা যুগলবন্দীতে সুপ্রিম কোর্টে শচীন-সৌরভের ঝোড়ো ব্যাটিং দেখার জন্য তৈরী থাকুন !

--- ©️ আশাভরী সেন
সংগৃহীত ওয়াটসআপ থেকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.