সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার, হাতে গোলাপ ফুল , জাতীয় পতাকা , প্রতীকী মেরুদন্ড ছবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা আজ লালবাজার অভিযান
নয়া ঠাহর ,কোলকাতা ; শেষ পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার।পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তাররা হাজারে হাজারে আজ পুলিশ সদরদপ্তর লালবাজার ঘেরাও ।পুলিশ কমিশনার এর পদত্যাগ দাবি করে এই কর্মসূচি। অবরোধ আটকাতে লালবাজারে নয় ফুট উচ্চতা লোহার ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছে।রাজ্যে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের শিরদাঁড়া ভেঙে পড়েছে। সেই মেরুদন্ডের প্রতীকী ছবি আর লাল গোলাপ নিয়ে ডাক্তার আন্দোলনকারীরা পথে নামে। পুলিশ কমিশনারের কুশ পুতুল পুড়িয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন ডাক্তারর।আজ পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।গত ১৪ আগস্ট রাতে সাত হাজার বহিরাগত দুষ্কৃতি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভাংচুর করলো লাখ লাখ টাকার ঔষধ বিনষ্ট করেছে।তখন কলকাতা পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে ছিল।কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জুনিয়র ডাক্তার রা আজ অভিযোগ করেন। জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার কে দশ মিনিট টাইম বেঁধে দেন ।তারমধ্যে ব্যারিকেড ভাঙতে হবে। তারা কয়েকজন পুলিশ সুপারের কাছে যাবে। দশ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ডাক্তারের অনড় অবস্থান। অচলাবস্থা কাটছে না। রাত পর্যন্ত সব ধর্না দিচ্ছে। ১৫ দিন পর প্রধান অপরাধী সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ডাক্তারি পড়ুয়া দের উৎকোচ দিয়ে পাশ ফেল করানো মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার লাশ নিয়ে ব্যবসা করার মত দূর্নীতি জড়িত ছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ২৪ দিন পার হলেও ডাক্তার খুন হত্যার বিচার হয়নি। একাধিক ব্যক্তি এই ধর্ষণ কান্ড জড়িত ছিল বলে ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন।আজ লোহার ব্যারিকেড পুলিশ তুলে দেয় ।২২ জন ডাক্তার কলকাতা পুলিশ কমিশনার এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আলোচনা করবেন। আন্দোলনকারীদের নৈতিক জয় হল। পুলিশ কর্ডন করে ডাক্তারদের কমিশনার কাছে নিয়ে যান। হাতে শিরদাঁড়ার প্রতীকী নিয়ে লালবাজার অভিযানে নামেন।রাজ্যে পুলিশের শিরদাঁড়া নেই। থাকলে আর জি কর হাসপতালে বাইরের দুষ্কৃতী র যখন আক্রমণ করে তখন পুলিশ বাহিনী হাত গুটিয়ে বসে ছিল। ভয়ে লুকিয়ে পড়ে ছিল। শিরদাঁড়া থাকলে এমন হত না।তাই প্রতীকী শিরদাঁড়া নিয়ে মিছিল।পুলিশ বাসের ব্যাবস্থা করেছিল আন্দোলনকারীরা সেই বসে চাপে নি। কলকাতা পুলিশ কমিশনার ডাক্তারদের অভিযোগ পেয়ে কিন্তু পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলেন নি।পুলিশের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেন।
কোন মন্তব্য নেই