Header Ads

বাংলাদেশে হাসিনা দেশ ছাড়ার পর 210টি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে

হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে মোট ২০১০ টি সাম্প্রদায়িক হামলা 

মমতাউত্তর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে গাছের গায়ে পোস্টার মেরে আগাম ঘোষণা করে সংখ্যালঘু পরিবারের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতী'রা। গত কাল মেয়েটির পরিবার থানা ও প্রশাসনিকে বিষয়টি জানানোর পরে ২৪ ঘন্ট‌া পেরিয়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সকলেই জানিয়েছেন - অভিযোগ পেয়েছেন বিষয়টি তাঁরা দেখছেন।
    ৩০টি সংখ্যালঘু পরিবারকে নিয়ে গ্ৰামটির একটি বাড়ির সামনে কয়েকটি গাছে ২ সেপ্টেম্বর পোস্টার লাগানো হয় - ৭ দিনের মধ্যে এই বাড়ির একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আতঙ্কিত পরিবার পর দিনই পুলিশে অভিযোগ করে। দুষ্কৃতীদের পান্ডা‍-সহ কয়েক জনের নামও পুলিশকে দেয়। কিন্তু পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। কাল বিকেলে টিউশন নিয়ে ফেরার পথে বাড়িটির এক কিশোরী কন্যাকে আহরণ করে ওই দুষ্কৃতীরা। এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারগুলি আতঙ্কে। গত ১৫ দিনে সংখ্যালঘু কিশোরীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যাকে নির্যাতনের নতুন পন্থা বলা হচ্ছে।
   আজই পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বোয়ালখালিতে যুগ যুগ ধরে আদি বাসিন্দা চাকমাদের প্রায় ১০০টি বাড়িঘর ও দোকান জ্বালানি তাদের উংখাত করে দিয়েছে সমতল থেকে এসে বেআইনি ভাবে বসতি গড়া এক দল লোক। আতঙ্কিত জনজাতির মানুষেরা অদূরে দিঘিনালা ক্যান্টনমেন্টে যান সাহায্যের জন্য। তাঁদের অভিযোগ সেনাবাহিনী তো সাহায্য করেইনি বরং হামলাকারীদের পক্ষেই কথা বলে। জনজাতি অধিকার আন্দোলনের নেতা সুহাস চাকমা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা ও অন্য জনজাতিগুলির উপরে আক্রমণ নেমে এসেছে। তাঁদের উংখাত করতে চাইছে দুষ্কৃতীরা কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তী সরকারের দিক থেকে তা রোখার উদ্যোগ নেই।
    অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে তাকে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার আখ্যা দিচ্ছেন। তবে আজই বাংলাদেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বৃহত্তর সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চাকায় সাংবাদিক বৈঠক করে আগস্টের ৪ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত পক্ষকালে হওয়া এই সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনার একটি হিসাব প্রকাশ করেছে।
   তাতে দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক হামলায় ১৭০৫ টি সংখ্যালঘু পরিবারের লোকেরা হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪টি আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। 
  সংখ্যালঘুদের ৯১৫টি বাড়িঘর হামলা - ভাঙচুর লুট ও অগ্নিসংযোগ ৯৫৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ২১ টি জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি বসতবাড়ি দখলের ঘটনা ঘটেছে। ৬১টি উপাসনালয়ে হামলা ও আগুন লাগানো হয়েছে বা চেষ্টা হয়েছে। ৯ জন সংখ্যালঘু খুন হয়েছেন ৪ জন নারী গণধর্ষণে শিকার হয়েছেন। রিপোর্টে বাংলাদেশের জেলাওয়াড়ি ঘটনার বিবরণও দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে খুলনায় হামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গণধর্ষণের সব কটি ঘটনা এই জেলায় ঘটেছে।
    দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের এক জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রও নানা জায়গায় হওয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনার যে হাসাব প্রকাশ করেছে তা এই সংগঠনের প্রকাশ করা হাসাবের কাছাকাছি। বহু সংখ্যালঘু মানুষ আতঙ্ক চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসছেন। অনেক ধরা পড়েছেন।  রাতে সীমান্ত পেরোতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক জন সংখ্যালঘু তরুণ। তবে হাসীনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে ভারতের হাই কমিশন ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া বৈধ পথে ভারতে আসার সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে সংখ্যালঘুদের একাংশের অভিযোগ। সেই কারণেই ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পেরোতে হচ্ছে বলে তাঁরা জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার 80বছর বয়সী এক বৃদ্ধ কবি কে হত্যার চেষ্টা করে দুষ্কৃতী । ক্ষতবিক্ষত শরীর চিকিৎসা চলছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.