Header Ads

হিন্দু -মুসলিম ভাগাভাগির সংস্কৃতি বন্ধ করার আহবান মহম্মদ ইউনূসের

অমল গুপ্ত ,কোলকাতা :বাংলাদেশে  অত্যাচারিত হিন্দু জনগোষ্ঠী  তাদের মতাদর্শ ভুলে জীবন জীবিকার সুরক্ষায় যে ভাবে পথে নেমে   গর্জন করছে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে   সারা বিশ্ব  দেখছে আর হিন্দুদের দমিয়ে রাখা যাবে না। অথচ অসমের চুনোপুঁটি  এক বিধায়ক আর পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী হিন্দুদের সম্পর্কে আপত্তি কর মন্তব্য করছেন।  বাংলাদেশের  অত্যাচারিত হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের সমর্থনে একটি শব্দ খরচ করছে না  পশ্চিমবঙ্গের  নেতারা।,অসম- বঙ্গে এলে অত্যাচারিত হচ্ছে বাংলদেশে অত্যাচারিত হচ্ছে। যাবে কোথায়?  ১৯৭১ মুক্তি আন্দোলনে লাখ লাখ হিন্দু মহিলা পাক জেহাদীদের  হাতে ধর্ষিত হয়েছে।অত্যাচারিত হয়েছে। আজ জেগে উঠেছে  বেঁচে থাকার পথ খুঁজে পেয়েছে।সেই  মার  খাওয়া প্রতিবাদী হিন্দুদের অপমান করছে বিজেপি- তৃণমূলের একাংশ নেতা।  পশ্চিমবঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা নেই    শুধুই   জীবিকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষমতা সরকারের নেই। সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা হাইকোর্ট  আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ভেতরে নিরাপত্তার মধ্যে এক মহিলা ডাক্তার কে কয়েকজন দুষ্কৃতী ধর্ষণ করে  হত্যা করে পালায়।  এই ঘটনায় মর্মাহত কলকাতা হাইকোর্ট  সিবিআই তদন্তের যে রায় দিলেন তাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লজ্জা  ঢাকার স্থান থাকলো না। এই স্থান খুঁজতে হাজারে হাজারে বাংলাদেশী ভারত বাংলা সীমান্তে নদীর হলে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। আপনারা আর অপমানিত হবেন না  বাংলাদেশে একটু স্থানে ফিরে গিয়ে ফেলে আসা  অঙ্গনে  ভাঙ্গা চোরা টিনের ছাদে বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নিন।পশ্চিমবঙ্গে     যাবেন না।   স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিক্রান্ত  ফুটপাথে টিন বাঁশের অন্ধকার  ঘরে  বসবাস করছেন। আজও। পশ্চিমবঙ্গের বাম ডান সব সরকার আপনাদের জীবন জীবিকা  সুনিশ্চিত করতে  কিছুই করেনি।   কলকাতা আজ কাদের শহর খুঁজতে দূরবীক্ষণ যন্ত্র লাগবে না। তারা আপনাদের আটকাবে সম্মান  দেবে না অপমান করবে। বাংলদেশে  চিলতে জমিতে শান্তির আলো খুঁজে পাবেন।  আর অপমানিত হতে  পারে আসবেন না। ভারতের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আডবাণী, প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু ,প্রধান মন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী সংসদে  বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু বাঙালিদের  বোনাফাইড রিফিউজি বলে আখ্যা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা সুনিশ্চিত করার  লিখিত আস্বাস দিয়ে ছিলেন। তাদের নাগরিকত্ব দেবার জন্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।সেই সব  বিজেপি কংগ্রেস দলের প্রতিশ্রুতি কবেই   গঙ্গা নদীর জলে ভেসে গেছে। আজ স্বাধীনতার ৭৮বছরে বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুরা সেই জলে নেমে ভারতে  একটুকু জায়গা খুঁজছে।বড় লজ্জা বড় বড় পরিতাপের কথা। নেতাজি, ক্ষুদিরাম,  সূর্য্যাসেনরা কি এই স্বাধীনতার লক্ষ্যে প্রাণ আহুতি দিয়েছিলেন? আজ ১৪ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের  অর্ধ আকাশ মহিলারা  পথে নেমে রাত জেগে ধর্ষনের প্রতিবাদ করবে। যে মহিলাদের এই বঙ্গে জীবন জীবিকার  নিরাপত্তা নেই। যা বার বার প্রমাণিত।

































কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.