"দেশপ্রেমী "ছাত্রসমাজের হিন্দু বিরোধী স্থিতি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?
অমল গুপ্ত , কান্দি জেল রোড ,কোলকাতা:: :বাংলদেশে এর তথাকথিত "দেশ প্রেমিক "ছাত্র সমাজের হাসিনা সরকারি আবাস থেকে মুরগি চুরি, ব্লাউজ শাড়ি দেখলাম।এবার দেখছি হিন্দুদের বাড়ি লুটপাট, ভাঙচুর,রাতভর ৩০,৪০ টি বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছে" দেশপ্রেমিক "ছাত্র সমাজ ।হিন্দুস্থানের সাহায্য ব্যতীত বাংলাদেশ স্বাধীন হত? ইন্দিরা গান্ধী থাকলে দেশ প্রেমিক ছাত্র সমাজ আজকের মত হিন্দু বিরোধী স্থিতি নেওয়ার সাহস দেখাতে পারতো?
বাংলাদেশে র স্বাধীনতা লড়াই যে যার সব চেয়ে বেশি অবদান সেই মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙে
দেশ প্রেমিক ছাত্র সমাজ প্রমাণ করে দিল এই সমাজ দুষ্কৃতী দের সমাজ। রবীন্দ্র নাথের কুষ্টিয়া বাড়ীর স্মৃতি ভূলে বাংলাদেশের প্রতি কবির অবদান ভুলে দুষ্কৃতী সমাজের পক্ষে পথে নেমেছে। সিরাজগঞ্জ, রায়গঞ্জের প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ভৌমিক ,ক্রিকেটার লিটন দাস কে হতা করে প্রমাণ করে দিল হিন্দু বিরোধী ছাত্র সমাজ বাংলাদেশের বিরোধী । ভারত বিরোধী। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে জিডিপি বাড়িয়ে অর্থনীতি কে মজবুত করে মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু নির্মাণ করে হাসিনা সরকার দেশ কে আত্মনির্ভরশীলতা দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার বহু ভুল ছিল।ছাত্র সমাজকে "রাজাকার "বলে তকমা সেঁটে দেওয়া ঠিক হয়নি।তাদের সঙ্গে আলোচনা বসতে দেরি করে ফেলেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ৯৭শতাংশ মেধার ভিত্তিতে চাকরী সংরক্ষণ রায় দেওয়ার পর পরিস্থিতি ঠান্ডা হচ্ছিল তখনই ভারত বিরোধী চক্র, আমেরিকা, চিন পন্থী ,পাকিস্থান পন্থী জামাত ইত্যাদি দুষ্ট চক্র মাঠে নেমে গেল। এরকম হওয়ার কথা ছিল না।হাসিনার ভুল কাজের মধ্যে অন্যতম নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস কে শাস্তি দেওয়া ছাত্র সমাজ তাকেই প্রধানমন্ত্রী পদে চাইছেন। ইউনুস পদ লোভী বন।দেশের ভাল চান। তাঁর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রাম অর্থনীতিকে মজবুত করতে ডা ইউনূসের অবদান আছে। আমি বাংলাদেশে গিয়ে তাঁর অবদানের কথা ভালভাবে জেনে ছিলাম।তিনি প্রধান মন্ত্রী পদে বসলে ভারত তথা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো হবে।হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকবে। শেখ হাসিনা অসম সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, ,অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মেঘ লয়ের।মুখ্যমন্ত্রী কর্ণাদ সাংমা প্রমুখ দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন।চট্টগ্রাম মঙ্গলু বন্দরের সঙ্গে অসমের যোগ সূত্র স্থাপন হয়েছিল। রেল যোগাযোগ লাইন হচ্ছিল।সব মার খেলো এবার সেই রেল লাইন ধরে ভারত বিরোধী চক্র ঢুকবে। হিন্দু বাঙালি বিরোধী অসমের জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী এবার কি ভূমিকা গ্রহণ করবে ? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশ মন্ত্রী জয়শঙ্কর গতকাল বলেছেন ভারত বাংলাদেশের ঘটনা ক্রমের দিকে লক্ষ্য রাখছে।হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার যদি সি এ এ কে লাগু করে তবে বাংলাদেশে অত্যাচারিত বাঙালি হিন্দুদের ভারতে আসার পথ সুগম হবে। অসম, উত্তর পূর্ব , পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সমাজ যাবে কোথায় ? ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও বাঙালি হিন্দুদের গুরুত্ত নেই। বাংলাদেশে মার খাচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, অসমে এমনকি পশ্চিমবঙ্গে ও বাঙালি হিন্দুরা ভাল নেই।
কোন মন্তব্য নেই