নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতাল
নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে হাসপাতাল
মৌমিতা দাস ,কান্দি
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমা হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে কোথাও নিরাপত্তা রক্ষী নেই, তো কোথাও আবার সামান্য গেটের ব্যবস্থাও নেই। দিনে আলোতে ছয় জন আর রাতে মাত্র চার জন নিরাপত্তা রক্ষীর উপর নির্ভর হয় হাসপাতালের রোগী থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমনই অবস্থা কান্দি মহকুমা হাসপাতালের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্স বলেন দিনের আলোতে কোনও ভাবে বিষয়গুলি মানিয়ে নিলেও রাতের অন্ধকারে অনেক কিছুই প্রথমে আমাদের মতো নার্স দিদিদের হস্তক্ষেপ করতে হয়।
ভয় লাগলেও সেটা রোগীদের স্বার্থে সেই কাজটা আমাদের করতে হয়।
কান্দি মহকুমা হাসপাতালে আটটি ওয়ার্ডে। সেখানে প্রায় চারশো শয্যার ব্যবস্থা আছে। ওই মহকুমার কান্দি বড়ঞা, ভরতপুর ১ ও ২ খড়গ্ৰাম মোট পাঁচটি ব্লকের বাসিন্দারা ছাড়াও কান্দি পুরসভার ও পড়শি জেলা বীরভূমের ময়ুরেশ্বর ও পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্ৰাম ব্লকের একটা বৃহত্তর অংশের বাসিন্দারা ওই হাসপাতালের চিকিৎসার উপর নির্ভর করেন। এলাকার মধ্যে এটি একটি বড় হাসপাতাল।
কান্দি মহকুমায় নার্সিংহোমের তেমন চল নেই। সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি নার্সিং হোম হলেও এলাকার বাসিন্দারা কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে দিন গুজরান করেন তাই নার্সিংহোমের চিকিৎসা করানোর মতো তেমন সাধ্যে কুলিয়ে উঠতে পারেন না এলাকার বৃহত্তর অংশের মানুষ। ফলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার উপর নির্ভর করতে হয় বাসিন্দাদের।
কোন মন্তব্য নেই