Header Ads

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আজ দেহদান করার পর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিদায় জানানো হবে

অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল  রোড ,মুর্শিদাবাদ:   বুদ্ধ দেব  ভট্টাচার্য   একজন আপাত মস্তক সৎ  ভদ্র লোক। ৮০ বছর বয়সে কলকাতা পাম এভিনিউ দু কামরার ঘরে ৪০ বছর কাটালে গতকাল  চোখের কর্নিয়া ও আজ দেহ দান করার পর অন্তিম বিদায় সম্ভাষণ জানানো হবে। তাঁর ট্রেড মার্ক ছিল সততার প্রতীক সাদা ধুতি পাঞ্জাবি আর   আরাধ্য দেবতা ছিলেন  রবীন্দ্র নাথ। শুধুই কবি রবীন্দ্র নাথ। তাঁর আপন কাকা কবি সুকান্ত  ভট্টাচার্য কে  বার বার স্মরণ করতেন।  আজ ত্রিপুরার প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ,অসমের সুপ্রকাশ তালুকদার সহ ১২ জন পলিটব্যুরো সদস্য উপস্থিত থাকবেন। তাঁর শূন্য বিছানায় রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানো ছোট্ট রেডিও   পড়ে থাকলো। তিনি বার বার নৈতিকতা  মূল্যবোধ এর কথা বলতেন।বলতেন রাজনীতি টা বাড়ি গাড়ি করার  জন্যে নয়। তিনি বলতেন কৃষি আমাদের ভিত্তি আর শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। সিঙ্গুর নন্দিগ্রাম এ শিল্প হবে বেকার যুবকদের হাতে  নিয়োগ পত্র তুলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন  ।  আজ বিকালে নীলরতন সরকার হাসপতালে  তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী  মরণোত্তর  দেহ দান করা হবে।গতকাল চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ  করা হয় । ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্র তিরোধান তিথিতে রবীন্দ্র প্রেমিক চলে  গেলেন। শিল্পপতি  রতন টাটা কলকাতায় উপস্থিত থেকে   এক লাখ টাকার ছোট্ট মারুতি গাড়ি নির্মাণ কারখানা নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সিঙ্গুরে জমিও দেখা হয়। কিন্তু  তৃনমূল কংগ্রেস আন্দোলন শুরু করায় কারখানা আর বাস্তবায়িত হয়নি। নন্দীগ্রামে  জমি খুঁজতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার সন্মুখীন হয়। পুলিশকে গুলি চালাতে বাধ্য হন।৩৫ হাজার কোটি টাকার। ইস্পাত কারখানা হবে মেদিনীপুরে  এই আশা প্রকাশ করে ছিলেন। বুদ্ধ দেব  ঘটনার পিছনে আর এসে এস সমর্থন আছে বলে।সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন তৃণমূলের দু গোষ্ঠী ভাগাভাগি হয়ে লড়াই করছে।অভিযোগ করে ছিলেন ঘটনা র সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছিল  শয়ে শয়ে মানুষ মারা গেছে।শিশু রাও  মারা গেছে।   একাংশ সংবাদ পত্র এই হত্যা কান্ডে মিথ্যা খবর ছেপেছিল।  তখনকার রাজ্যপাল গান্ধী  কিছু না জেনে  বিবৃতি দিয়েছিলেন বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে খবর বুর্দ্ধ দেব বাবুর চোখের কর্নিয়া  অন্য একঅন্ধ ব্যক্তির চোখে প্রতিস্থাপন  করা হয়।অপারেশন সফল হয়েছে। রক্ত রাঙা গোলাপ ফুল  দিয়ে সাজানো কনভয় কলকাতার পথে বেরিয়ে বিধানসভায়  ,,45  মিনিট রাখা হয়। কনভয়ের পিছনে ১৫ বছরের পুরনো  সাদা এম্বাসেডর সঙ্গে যায়।এই এম্বাসেডর     চড় তেন। বামপন্থী নেতা প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও  মরনোত্তর দেহ দান করে গেছেন।আজ শিয়ালদহ থাকে মৌলালি পযর্ন্ত মানুষের ভিড়। লাল গোলাপ রজনীগন্ধা দিয়ে সাজানো। কনভয়ের  সামনে লেখা "বুদ্ধ দেব ভট্টাচার্য অমর  রহে"।অধিকাংশের হাতে ফুল । বুদ্ধ দেব বাবু ফুল  নিতে আপত্তি করতেন। সেই ফুলে ফুলে ভরা কনভয় শেষ যাত্রা করলেন।























কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.