বিশ্ব কাঁপানো আর জি কর ধর্ষণ, খুন কান্ড এ দোষী কে গ্রেফতার করতে ৭০ জন পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্ত ডাক্তার রা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা: দেশের ৭০ জন পদ্ম পুরস্কার পাওয়া সিনিয়র ডাক্তার একজোট হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারক পত্র পাঠিয়ে বিশেষ তদন্তের দাবি জানান। ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে আইন করার দাবি জানান। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ১৪ আগস্ট ভোর রাতে এক জুনিয়র ডাক্তারকে হত্যা ও খুনের অভিযোগের পর সারা বাংলা তথা সমগ্র বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। পশ্চিম বঙ্গ তথা সমস্ত বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আমেরিকা, ব্রিটেন,কানাডা ,নেপাল বাংলাদেশ ইত্যাদি রাষ্ট্র প্রতিবাদ করেছে। এই বছরে এমন বুক কাঁপানো ধর্ষণ আর খুনের ঘটনা নজির নেই।দেশের সর্বচ্চো আদালত সুপ্রিম স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ১৮আগস্ট এইঘটনা তদন্তের নির্দেশ নিয়ে ২০ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছেন। কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ,সরকারি হাসপাতাল নিরাপত্তার ঘেরা টপে ১৪আগস্ট রাত দুটো নাগাদ ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করার পর ১৬,১৭জন দুষ্কৃতী সঙ্গে একজন সহকর্মী মহিলা মিলে নিষ্ঠুর ভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সূত্র ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এবং পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সূত্র অনুযায়ী ডাক্তারের দেহে ১১৩ টি কামড় এর রক্ত চিহ্ন ছিল।ধর্ষনের সময় হাড়গোড় ভেঙে যায়।দুই পা ফাঁক করে টেনে ধরে ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল বলে সূত্রগুলি অভিযোগ করেছে। তার দেহ থেকে ১৫০ গ্রাম বীর্য পাওয়া গেছে। এই পরিমাণ বীর্য পেয়ে দাবী করা হচ্ছে ধর্ষণ এর সঙ্গে ১২-,১৫ জন দুষ্কৃতী জড়িয়ে আছে। প্রতি জনের ক্ষেত্রে ৫গ্রাম বীর্য ব্যবহার হয়। ৫,গ্রাম ইন্টু ১৫জন জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ১০০ বছরের ইতিহাসে বাঙাল ঘটি এক সঙ্গে হাত ধরে" উই ওয়ান্ট জাস্টিস " দাবী করে। ইস্টবেঙ্গল , মোহন বাগান সব মিলে গেছে এবং মহামেডান ক্লাব ও সামিল হয়েছে। রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ অভিযোগ করেন রাজ্যে মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না।সরকার সক্রিয় নয়।কাজ করছে না। পশ্চিমবঙ্গের ১০০ শতাংশ মানুষ ভিডিও সার্চ করে ধর্ষণ ঘটনা জানতে চেয়েছে।১৪,১৫,১৬,১৮আগস্ট এই সার্চ করেছে।অসমের ৬৭শতাংশ উত্তরপ্রদেশের ৭শতাংশ মানুষ ভিডিও সার্চ করেছে। কলকাতা তে হাজার হাজার প্রতিবাদী মিছিল আটকাতে প্রশাসন ১৪০ ধারা জারি করেছে। ১৬ আগস্ট থেকে চলছে।তৃনমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখার রায় ঘটনার তদন্তে কিছু।প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন তুলেছেন আর জি কর এর সেমিনার হলের সংলগ্ন বাথ রুম প্রমাণ লোপাটের জন্যে ভেঙে ফেলা হল কেন। হাপাতালের সুপার সন্দীপ ঘোষ কে সিবিআই জেরা করে। তৃনমূল দলের প্রাক্তন মুখপাত্র শান্তনু সেন অভিযোগ করেন কলকাতা আর জি কলেজ রসাতলে গেছে।এই কলেজে টাকার বিনিময়ে ডাক্তারদের পাশ করানো হয়।প্রশ্ন পত্র ফাঁস করা হয়।।এই কলেজের সুপার সন্দীপ ঘোষ সব দুর্নীতির মদত দেয়। তিনি বলেন কলকাতার এই মেডিক্যাল কলেজ রাজ্যের সবচেয়ে পিছনের সারিতে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল ছাত্র সিনিয়রদের মধ্যে ব্যাপক হারে মাদক ও মদ চলে ।উত্তর পূর্বাঞ্চল এর সাত রাজ্যে মেডিক্যাল ছাত্রদের মধ্যে মাদক জনপ্রিয় নেশা চিকেন নেক পর্যন্ত অর্থাৎ কোকরাঝ র পশ্চিম বঙ্গ সীমান্ত পর্যন্ত অঞ্চল গুলি মেডিক্যাল ছাত্র সমাজ আর পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ এর মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র।সমাজের মধ্যে ব্যাপক হারে মাদক ছড়িয়েছে। মদের থেকেও ক্ষতিকারক ড্রাগ । কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গ র যে কোনো উৎসবে অসমের মত মদ লাগবেই। কলকাতার যুব প্রজন্ম অসমের যুব প্রজন্ম র মত মদ মাদক ছাড়া চলে না। আজকাল উত্তর পূর্বাঞ্চল বঙ্গ কোনো। ভাল ডাক্তার পাশ করে বেরোচ্ছে না। সব ভেজাল ডাক্তার।
কোন মন্তব্য নেই