অসমে আবার ডিটেনশন ক্যাম্পে পুত্র ,পুত্র বধু শোকে আত্মঘাতী মা ছোটকি প্রজাপতি(৭০)
অমল গুপ্ত , গুয়াহাটি ,কোলকাতা: সব রাজ্যে পরিবর্তন হচ্ছে,কিন্তু অসমে বাঙালি হিন্দু সহ অন্য জন গোষ্ঠীর জীবন জীবিকার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।অসমের বাঙালি দের কাছে জনবিরোধী মানবতা বিরোধী ডিটেনশন ক্যাম্প এক অভিশাপ হয়ে দেখা গেছে। আগে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি রূপায়নের সময় কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি হয়েছ।প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকের নাম কাটা পড়েছে ,২৬ লাখ বাঙালি হিন্দুর আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ গরীব হিন্দু জনগোষ্ঠীর মানুষ রেশন কার্ড ,ব্যাংক একাউন্ট ঋণ , ইত্যাদি সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। এত বড় অপরাধ করেও রাজ্যে সরকার কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বিস্ময় কর ভাবে নীরব । নিরপরাধী বাঙালি হিন্দুদের আজও ন্যায় বিচার দেওয়া হচ্ছে না কেন? বিজেপি কংগ্রেস তৃনমূল আসু জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ ইত্যাদি সংগঠন চুপ কেন? অসমের মাড়োয়ারি সমাজ কে নজিরবিহীন ভাবে অপমান করা হচ্ছে। এই সমাজ অসমের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছে। তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ।এই মারোয়ারি সমাজ আর বাঙালি হিন্দুদের ভোটেই বিজেপি সরকার দিস পূর মসনদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অস্বীকার করতে পারবেন? আর রাজ্যের সীমান্ত পুলিশ আজও যাকে তাকে ধরে অর্থের বিনিময়ে ডি ভোটার বানিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্প ভরে দেওয়া হচ্ছে? ৭৫ বছর স্বাধীনতার অমৃত বছরে ৭০ বছরের মায়ের কান্না , পুত্রের শোক বৃদ্ধার আত্মঘাতী বন্ধ করতে পারলেন না ? দেশের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি কোনো খবর রাখেন না? ভারতের কোন রাজ্যে অসমের মত ডিটেনশন ক্যাম্প আছে কি? অসমের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী কি করছেন? আর কত মানুষ আত্মঘাতী হবে? উত্তরপ্রদেশের বালিয়া অঞ্চলে এসে।অসমের তিন সুকি য়া অঞ্চলে এসে ছিলেন ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতার ,,৭৫ বছর আগে। মূখ্যমন্ত্রী র সীমান্ত পুলিশ একবার ঘটনা স্থলে যাক ঘোষ না খেয়ে তদন্ত করে দেখুক ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছোট কি প্রজাপতি ছেলে দীনেশ ক ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে দেওয়ার শোক তাপে ভুগে আত্মাহুতি দিয়েছেন।এর দায় কে নেবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার না অসমে বিজেপি সরকার?
কোন মন্তব্য নেই