Header Ads

প্যারিস এর সেই অভিশপ্ত রাত

পিনাক।  অভিশপ্ত সেই রাত,
১০০ গ্রামের সেই গল্প 
প্যারিসে সেদিন ওজন কমানোর জন্য কি করেছিলেন ভিনেশ ? সত্যিই কি তাঁর চেষ্টায় কোন ত্রুটি ছিল ? ফাইনালের আগের দিনের সেই রাত কেমন কেটেছিল ভিনেশের ? এক-এক গ্রাম, এক একটি মুহূর্ত, অভিশপ্ত সেই রাতের অজানা অনেক তথ্য নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন। 
রাত যত এগোচ্ছিল ততই আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছিল। কোনও একটা বড় ভুল হয়ে গেছে ততক্ষণে, এটা যেন টের পেয়ে গিয়েছিলেন সবাই। সপ্তাহব্যাপী ডিহাইড্রেশনের পর জল পেলে তা পুরোটা শুষে নেয় শরীর। তখন প্রস্রাব থেকেও জল বেরোয় না। সেদিন রাতে তাই আর ঘুমোতে যাননি ভিনেশ।
সারারাত জেগে ছিলেন তিনি। ট্রেডমিলে ( সাইক্লিং স্কিপিং এবং জগিং) টানা ৬ ঘন্টা কাটানোর পর তিন ঘন্টা সৌনা বাথ নেন। এরই মধ্যে প্রতি ঘন্টায় একবার করে হয় ওজন মাপা। শুরুর দিকে একটু একটু করে কমে আসছিল ওজন। কিন্তু যে গতিতে কমে আসার কথা সেভাবে কমছিল না। 
রাত যত গভীর হচ্ছিল আশঙ্কাও ততটাই বেড়ে আসছিল। ভোরবেলা শেষবারের মতো আরো একবার ওজন মাপা হয়। মেশিনের গন্ডগোল হতে পারে এটা ভেবে বদলে দেওয়া হয় পুরনো মেশিন। শেষ ভরসা ছিল এটা। কিন্তু বদলে দেওয়া নতুন মেশিনও যখন সেই একই রিডিং দিল তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় সবকিছু। 
শুরুর দিকে একবার শরীর থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত বের করে দেবেন বলে ঠিক করে ফেলেছিলেন  ভিনেশ। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তবে তাঁর চুল ছেঁটে দেওয়া হয়। কস্টিউম থেকে কাপড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এভাবেই রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেদিনের সেই রাত কাটে ভিনেশের।
এটা মনে রাখতে হবে, ট্রেডমিলের দীর্ঘ এই ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে একঢোক জল পান করেননি ভিনেশ। গলা শুকিয়ে আসছিল তাঁর। মনে হচ্ছিল যেন প্রাণ বেরিয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল ভিনেশ নিজের জায়গায় অনড় ছিলেন। শুধু জল নয় অন্য কোন খাবারও খাননি তিনি।
ওজন কমানোর এই প্রক্রিয়া যেমন অনেকটাই বা প্রায় বেশিরভাগটাই বিজ্ঞান, ঠিক তেমনি এর সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকে অনুমান এবং অতি অবশ্যই নিয়তি। বিজ্ঞান বা অনুমান সেদিন সঙ্গ দিলেও নিয়তি শেষবেলায় সঙ্গ ছেড়ে দেয় ভিনেশের। 
দুদিন আগেই উত্তর কোরিয়ার এক অ্যাথলিট ওজন মাপতে গিয়ে দেখেন মেশিনের কাঁটা তার সঙ্গ দিচ্ছে না। ব্যাস মুখে হাত ঢুকিয়ে বমি করে ফেলেন তিনি । ঘটনাটা মনে পড়তেই কাউকে কিছু না বলে ভিনেশও বমি করতে চান । কিন্তু পেটে কিছু থাকলে তো সেটা বেরোবে ?
নতুন মেশিনের কাটাও যখন ৫০.১ কিলো দেখালো তখন সূর্য উঁকি মারছে প্যারিসের পূব আকাশে। নতুন সূর্য নতুন আশার আলো নিয়ে আসে। কিন্তু বুধবারের সেই সূর্য একরাশ নিরাশা নিয়ে এসেছিল ভিনেশের দরজায়। তবে সেই সূর্যকে সাক্ষী রেখেই ভিনেশ প্রমাণ করে দিলেন ১০০ গ্রাম বা কোনো প্রতিপক্ষই তাঁকে হারাতে পারেনি। 
তাঁর প্রতিপক্ষ তিনি নিজেই। তিনি হারেননি। হারিয়েছেন তিনি। তার সব প্রতিপক্ষকে ঠিক সেভাবেই আছড়ে ফেলে দিয়েছেন, ঠিক যেভাবে কুস্তির আখড়ায় ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের। অভিশপ্ত সেই রাতের প্রতিটা মুহূর্ত এই বয়ানকেই তুলে ধরছে। 
#VineshPhogat 
#paris2024olympicgames 
#100gms&venish exit
All reactions:
8
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Facebook
Log in or sign up for Facebook to connect with friends, family and people you know.
or

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.