নেপালে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে ছিলাম
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা ,গতবছর নেপালে পর্যটক দের বিখ্যাত পাহাড়ি শহর পোখরা তে ছিলাম।অন্নপূর্ণা বরফ সাদা পাহাড় ঘেরা কিলোমিটার ব্যাপি সবুজ ঘেরা লেক ,সবুজ পাহাড় ঘেরা শহর পোখরা তে বসে শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উৎসব দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। ভাবতে পারিনি শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিতে সারা পোখরা মানুষ সামিল হবে। শুধু শোভা বেরোবে। শ্রী কৃষ্ণের ছবিতে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাতভর কৃষ্ণ বন্দনা ,নাম সংকৃত্তন , মণ্ডপ বেঁধে অনুষ্ঠান মুগ্ধ করেছিল। অলিগলি রাজপথ সর্বত্র কৃষ্ণ নাম।তাদের জাতীয় উৎসব। নেপালে ৮০ শতাংশ হিন্দু জনগোষ্ঠির বাস ,মাত্র ৫শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী , ৬শতাংশ বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ বাকিটা খ্রিষ্টান জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য বলে জানা গেল। ওই রাষ্ট্র দুর্গা পুজো জাতীয় উৎসবে পড়ে।গরু জাতীয় পশু। দুর্গা পুজোতে প্রতিটি বাড়িতে মূর্তি বা ছবিতে দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। যান বাহন দাকান পাট সর্বত্র সাইন বোর্ড সব স্থানে হিন্দু দেবদেবীর নামে নাম রাখা হয়েছে। মা দুর্গা এক্সপ্রেস ,মা মনসা ট্রাভেল , শিব প্যালেস , পার্বতী ট্রাভেল ইত্যাদি। পোখরা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চারপাশে অন্নপূর্ণা পাহাড় চূড়ায় অন্নপূর্ণা রিসোর্ট ,১০০ শতাংশ বিদেশি পর্যটক দের রিসোর্ট পাঁচ দিন ছিলাম।জার্মান ,আমেরিকা এমন কি সৌদি আরবের যুবতীদের থাকতে দেখলাম।ভারতের সংস্কৃতি যোগ ব্যয়াম ধ্যান শিক্ষা আর ভারতকে ভারত বর্ষকে জানার জন্যে পর্যটকদের আগমন।কিছুটা অবাক হলাম ভারতকে জানার আধ্যাতিক জগৎ কে জানার চেষ্টা করছেন বিদেশীরা। সাধারণ নিরামিষ খাবার ,সবার স্বাস্থ্য উজ্জ্বল চেহারা। নেপালের ৯০ শতাংশ ছেলেমেয়ে বিদেশে পাড়ি জমান।পোখরা কাঠমান্ডু শহরে সর্বত্র জাপান ,জার্মান কানাডা ভাষা শিক্ষার প্রশিক্ষণ সেন্টার।এই সব ইনস্টিটিউট বিদেশি ভাষা শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। নেপালে বেকার নেই।জল সম্পদ, বিদ্যুৎ উৎপাদন বড় শিল্প। বিশ্বের বিশাল সংখ্যক বিদেশি পর্যটক নেপাল সফরে আসে।নেপালে জাতীয় আয়ের সিংহ ভাগ বিদেশে কর্মরত নেপালিদের কাছ থেকে আসে ভারতে একশো টাকা নেপালের ১৬০ টাকা পাওয়া যায়। গুয়াহাটি থেকে এন জে পি সেখান থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পোখরা পাহাড়ি শহর। এত ভালো পরিস্কার শহর ভারতে দেখিনি।ব্যাঙ্গালুরু হায়দরাবাদ চেন্নাই সব মেগা সিটি দেখলাম।পোখরা তুলনা নেই। ডাস্টবিন প্লাস্টিক আবর্জনা চোখে পরেনি।নেপালিদের আতিথয়তা জগৎ জোড়া খ্যাতি। রাজাহীন শহরে রাজার মত সম্মান পাওয়া যায়। তাই তো আবার যাবার ইচ্ছে ,যে কথাটি জানানো হয় নি।নেপালের সঙ্গে ভারতের ৫০বছরের বন্ধুত্ব পূর্ণ চুক্তি অনুযায়ী কোনো পাসপোর্ট ভিসার প্রয়োজন নেই।ভারতের ভোটার কার্ড আধার কার্ড সঙ্গে থাকলেই হল।
কোন মন্তব্য নেই