কেরালার ওয়েনাদ ,কেদারনাথ , ,সিকিম দার্জিলিং কালিম্পং দেশের সব পাহাড়ি অঞ্চল প্রকৃতি গ্রাস করেছে।
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড ,মুর্শিদাবাদ : দেশের পরিবেশ প্রকৃতি আজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।অসম , উত্তর পূর্ব ,অরুণাচল প্রদেশ কেরালা সহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে পরিকল্পনা অনুযায়ী জনপদ শহর অঞ্চল গড়ে উঠেনি। রাষ্ট্রীয় সব প্রকল্প, টানেল এ পরিবেশ প্রকৃতি কে সম্পুর্ণ উপেক্ষা করা হচ্ছে।জাতীয় পথ গুলির সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মিজোরাম এর মত দেশের শেষ প্রান্তের পাহাড়ি শহরে পৌঁছানোর জন্যে রেল বাহাদুরি করে বিশাল টানেল নির্মাণ করা হল।কাশ্মীরে দেশের সবথেকে সুউচ্চ পাহাড়ে রেল সেতু গড়ে তুলে বাহবা নিচ্ছে। দেশ জুড়ে ব্যাপক হারে পাহাড় ধংস ,সবুজ জঙ্গল উজাড় , অপরিকল্পিত ভাবে রাস্তা ঘাট ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে।খোদ কেন্দ্র সরকার পরিবেশ প্রকৃতি র বিরুদ্ধে ,নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সবুজ পাহাড় ধংস করে নির্মাণ কাজ চলছে। সব রাজ্যের সরকার জড়িত ।দেশের অধিকাংশ শহরে কোন প্ল্যান নেই , নেই কোনো পরিকল্পনা রাস্তা ঘাট নদনদী সব আবর্জনা আর প্লাস্টিক ভর্তি। প্লাস্টিক মুক্ত ,প্রদূষন মুক্ত ,স্বচ্ছ পরিস্কার সরকার গড়ার অঙ্গীকার কবেই যমুনার মত দূষিত কলঙ্কিত নদীতে ভেসে গেছে।হিন্দুদের পবিত্র নদী গঙ্গা আজ দেশের সবথেকে বেশি দূষিত নদী শুধু মরদেহ ভেসে চলে। ব্রহ্মপুত্র মত দেশের একমাত্র নদ দূষিত দূষিত জলে কলিফর্ম জীবাণু মিশে গেছে গঙ্গা নদীর মত।চর্ম রোগ , ক্যান্সার রোগের মত রোগ হতে পারে। সরকার নীরব প্রকৃতি পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। বাঙালি গর্ব কলকাতা নগরে নিয়মনীতি বালাই নেই।পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ চলছে।প্রায় ৫০০ বেআইনি ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ এসেছে।দেশের কোনো শহরে এত বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে না। ব্যাপক হারে নদীর বালি তোলা ,পাহাড়ের পাথর মাটি কাটা ,ব্যাপক হারে গাছ কাটা ।সব পুকুর ভরাট ,জলাশয় সব শুকিয়ে গেছে। দেশে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যাবস্থা নেই।ড্রেন, নদনদী সব প্লাস্টিক আবর্জনা ভরা।সব নদনদী দূষিত।পথে লাখ লাখ গাড়ি চলে।অধিকাংশ গাড়ি লাইসেন্স নেই পথে নেমে পেট্রোল ডিজেল গ্যাসের কার্বন বিষ ছড়ায়।কেরলের ধ্বসে নিহতের হার বেড়েই চলছে। ৩০০ ছুঁই ছুঁই। হাজার হাজার আহত।প্রকৃতির সংহার মুখ সব কে ছাপিয়ে গেছে। ব্যাপক হারে গাছ কাটা, পাহাড় ধংস , নদীর সব বালি তুলে নেওয়া ,পাহাড় কাটার মত ঘটনা বেড়েই গেছে ,প্রকৃতির এক ধর্য আছে। ধর্যের সব বাঁধ ভেঙে গেছে। প্রকৃতি প্রতিশোধ হবেই। ওয়েনড ,কেদারনাথ, দার্জিলিং, কাশ্মীর সিকিম হিমাচল প্রদেশ সর্বত্র পাহাড় ধস নদী ভাঙন মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি , সবই প্রকৃতির প্রতিশোধ। চলতেই থাকবে ।মানুষ যদি পরিবেশ প্রকৃতি নিয়ে সচেতন না হন। ব্যাপক হারে গাছ না লাগান।দূষণ নিয়ন্ত্রিত করা না যায়।প্লাস্টিক আবর্জনা মুক্ত পরিবেশ গড়া না যায় তবে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবেই নেবে। এই বিশ্বে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে বাংলাদেশে অবস্থা খুব খারাপ।সবই প্রকৃতি পরিবেশ নিধনের ফল।আকাশ বাতাস দূষিত। মানুষ বিশ্বাস নিতে পারছে না। স্বাস প্রশ্বাস থেমে গেল মৃত্যু অবধারিত।সেই দিকে যাচ্ছে নীতিহীন বিবেক হীন দেশ।
কোন মন্তব্য নেই