Header Ads

হোজাই জনপ্রিয় ডাক্তার অর্ধেন্দু কুমার দে মৃত্যু তিথি উদযাপিত

২৭ সে জুলাই ডাঃ অর্ধেন্দু কুমার দে মহাশয়ের মৃত্যু দিবস। হাতি মার্কা  ও বোতল মার্কা কংগ্রেসের  দুই জন মার্গারিটা বরদলৈ পন্থী তথা কথিত নেতার প্রবল বিরোধিতা সত্বেও  ডাঃ দে'র অনুরাগীদের উদ্যোগে এবার তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী হোজাইর ননী গোপাল গেষ্ট হাউজে শতাধিক দে অনুরাগীর  অংশ গ্রহণে পূর্ণ মর্যাদায় অনুষ্টিত হয়।  ডাঃ দে রামকৃষ্ণ অনুরাগী ছিলেন। তাই,অনুষ্ঠানে হোজাইর রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সম্মানীয় ভক্ত বৃন্দের সমবেত প্রার্থনা ও কথামৃত পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
      আপাদ মস্তক স্বার্থে মুড়া, মীরজাফরের নব সংস্করণ, রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের এক তথা কথিত ভক্তের মিরজাফারী সত্বেও রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম সঙ্ঘের সম্মানীয় ভক্ত বৃন্দ অনুষ্ঠানটি সুচারু রূপে পরিচালিত করে প্রয়াত ডাঃ অর্ধেন্দু কুমার দের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পর্বটি ছিল অসাধারণ। এই ব্যক্তিও মার্গারিটা বরদলৈর একান্ত অনুগামী। 
       রামকৃষ্ণ মিশন সর্বদা পর নিন্দা, পর চর্চা ও ব্যক্তি স্বার্থ থেকে শত যোজন দূরে থাকে ও পর হিতে নিজেকে উজাড় করে দেয়।  পুতি গন্ধ ময় সমাজকে কুলস মুক্ত করে সুগন্ধী ছড়াতে স্বামীজীরা সর্ব ত্যাগী হয়ে সম্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন -তাঁরা নমস্য, অনুকরণীয়। শস্যের ভিতরও ভুত থাকে। তাই সেবাশ্রম সঙ্ঘের মধ্যেও উল্লিখিত ধরণের দুরাচারীর প্রাদুর্ভাব মাঝে মাঝেই দেখা  যায়। কথায় আছে সৎসঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এমন অনেকই আছেন সৎসঙ্গে থেকেও মলিন মুক্ত হতে পারেন নি বা চেষ্টাও করেন নি। অর্থাৎ কয়লা ধু'লে ময়লা যায় না। এমন এক দুটি কয়লা হোজাই সেবাশ্রম সঙ্ঘেও আছেন। শুধু মাত্র নিজেকে অভিজাত প্রতিপন্ন করতেই সেই ধরণের ব্যক্তি মুখুস পড়ে রামকৃষ্ণ পদাশ্রয়ী হয়ে নিজেকে সমাজ সেবক সাজিয়ে সমাজের চোখে ধুলো দিচ্ছেন । ঠাকুর তাঁদের অসৎ আত্মাকে শুদ্ধ করে পর হিতে উৎসর্গিত করুন এই আমার প্রার্থনা। সেবাশ্রম সঙ্ঘের সম্মানীয় ভক্ত বৃন্দ এই ধরণের কয়লার স্পর্শে যাতে মলিন না হন সেইও প্রার্থনাও থাকলো।
                  রামকৃষ সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রার্থনার পর অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ফয়জুল হক মহাশয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা চক্রের সূচনা করেন শ্রী বিজয় চক্রবর্তী। মুখ্য বক্তা ছিলেন হোজাইর সম্মানীয় বিষয়ক শ্রী রামকৃষ্ণ ঘোষ মহাশয়। নির্দিষ্ট বক্তা ছিলেন ডাঃ দের ঘনিষ্ঠ,দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠ এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ শ্রী প্রমোদ রঞ্জন দাস ও ডাঃ দের মানস কন্যা হোজাই কন্যা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষা শ্রী মতী উমা ভৌমিক। স্মৃতি রোমন্থন করেন লামডিংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক মাননীয় স্বপন কুমার কর ও শ্রীমতী ঝিল্লি চৌধুরী। ডাঃ দের গুণাবলী সংক্ষেপে তুলে ধরেন এন, জি ফাউন্ডেশনের প্রধান শ্রী মতী অঙ্কিত ঘোষ। ডাঃ দে রচিত কবিতা আবৃত্তি করেন শ্রী মতী পাপরি সেন।
   ডাঃ দের শেষ ইচ্ছা ছিল তাঁর অনুরাগী কর্মীদের সাথে সিঙ্গারা জিলিপি খাবেন, কিন্তু জীবিত অবস্থায় তাঁর সেই আশা পূর্ণ হয় নি। আজকের অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজক কমিটি তাঁর সেই আশা পূর্ণ করেন।
          ইতি 
বিজয় চক্রবর্তী।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.