Header Ads

বদরপুর সার্কেল অফিস ঘুঘুর বাসা দুর্নীতির আঁতুড় ঘর

*বদরপুর সার্কেল অফিসে ঘুঘুর বাসা,প্রতিটা কাজেই লাগে ঘুষ,চরম হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ!*


 *মুখ্যমন্ত্রী র দূর্নীতিমুক্ত অসমের বিপরীত ছবি বদরপুরে, বৃদ্ধাঙ্গুল মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা র নির্দেশ কে*

সানি রায়, শিলচর: বদরপুর সার্কেল অফিসে দূর্নীতির চরম শিকড়। সার্কেল অফিসারের নির্দেশে অফিসে নামজারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে গেলে অভিযুক্তকারী লাঠ মণ্ডল বিশু রঞ্জন দে এবং গৌতম দেব বাবুর বাহিনীর অতিরিক্ত লুন্ঠনে অতিষ্ট জনগণ। নামজারী - ডি-মার্কেশন করতে হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগবে বলে সরাসরি দাবি বদরপুর সার্কেল অফিসের ঘুসখোর দের।যারা টাকা দেবে না তাঁরা ২ বছর ঘুরে ও পাবে না নিজের জমির নামজারি র কাগজ। এই হলো বদরপুর সার্কেল অফিসের হকিকত হাল! এদিকে বেশ কদিন আগে গৌতম দেব এবং বিশু রঞ্জন দে র ঘুস নেওয়ার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিষয় নিয়ে এবং সাধারণ মানুষের হয়রানির শিকার সম্পর্কে সার্কেল অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ক্রোধান্বিত ভাবে কথা বলেন, জানেন নি তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার তরিকা, বদরপুর সার্কেল অফিসে একপ্রকারের চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সার্কেল অফিসার তাঁর কর্মচারীদের চূড়ান্ত দূর্নীতির ব্যাপারে নীরব দর্শক এর ভূমিকা পালন করার পিছনে কি রহস্য এনিয়ে উঠেছে বহু প্রশ্ন!
 এদিকে,জমি মালিক সুবোধ দাস তাঁর অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলায় পরদিন ঢেকে নিয়ে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করেন দূর্নীতিবাজ গৌতম বাবু ও বিশু বাবুর দল! অনুপস্থিত ছিল সার্কেল অফিসার। অভিযোগকারী সুবোধ দাসকে ঘেরাও করে শর্ত দেওয়া হলো সমাজ কর্মী মুন্নী ছেত্রী এবং সংবাদ পরিবেশনকারীদের উপর করতে হবে মিথ্যা মামলা, পরিবেশিত নিউজ ডিলিট করাতে হবে নইলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে জেলে দেওয়া হবে সুবোধ দাসকে, এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল বদরপুর সার্কেল অফিসের ঘুসখোর দূর্নীতিবাজরা!
 সবমিলিয়ে বদরপুর সার্কেল অফিসের চরম দূর্নীতি এবং চূড়ান্ত অরাজকতা প্রতিরোধে ব্যর্থ সার্কেল অফিসারের বদলি সহ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবী বদরপুরের জনগণ। তৎসঙ্গে অভিযোগকারী সুবোধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ পুলিশ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.