বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন কে সেই দেশ বিরোধী কু চক্র গ্রাস করেছে
অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড ,কান্দি, মুর্শিদাবাদ পশ্চিমবঙ্গ: বাংলাদেশ অর্থনীতিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছ। জি ডি পি হার বেশি ইত্যাদি নিয়ে গর্ব করতাম।আজ বাংলাদেশে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে পাকিস্থান জিন্দাবাদ শ্লোগান দিতে শুনলাম। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভারতের মাটিতে জন্ম তার গান কবিতা এখন আন্দোলন কারীদের মুখে মুখে। গর্ব হচ্ছে আমাদের গান কবিতা বাংলাদেশীদের অস্ত্র , আন্দোলনের মাধ্যম ,আন্দোলনের ভাষা। এই বাংলা ভাষা রক্ষায় ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ছাত্র রা পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন। এই বাংলা ভাষার দাবিতে ভারতের অসম রাজ্যের বরাক উপত্যকার শিলচর শহরে ১৯৬১ সালে ১১ জন শহীদ হয়েছিলেন। এই বাংলা ভাষা কবিগুরু রবীন্দ্র নাথের বাংলা ভাষা কাজী নজরুলের বাঙলা ভাষা অক্ষত থাকবে তো?আবার পাকিস্থানের উর্দ ভাষা কায়েম হবে না তো? ভয় হচ্ছে সেখানেই।যেভাবে আমেরিকা সহ বিদেশি কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছি।তাতে ভয় হচ্ছে বড্ড। আমার মিষ্টি মধুর অভিজ্ঞতা সালটা ২০০২ সাল মনে হয়। আমি ত্রিপুরার বাংলা সংবাদপত্র দৈনিক সংবাদ এ কাজ করতাম ।সেই পেপারে বিখ্যাত কলাম লেখক সৌরভ হাসান এর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।তার আমন্ত্রণে পত্নী সান্তনা গুপ্ত কে নিয়ে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলাম।সেই প্রথম পাপোর্ট প্রথম বিদেশ। আখড়া সীমান্ত থেকে ৪৫টাকা বাংলাদেশ রুপি দিয়ে রিক্সা করে স্টেশন গেলাম।একটি সংরক্ষণ আসন পেলাম।সবুজ রঙের ট্রেন রবীন্দ্র সঙ্গীত হচ্ছে।এক বয়স্ক মুসলিম ভদ্র লোক জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কি ইন্ডিয়া থেকে এসেছেন। বললেন আপনারা আমাদের অতিথি ,আমাদের বসতে দিয়ে কাপ প্লেটে চা দিলেন।ওখানে সাদা কাপ প্লেটে সবাইকে চা দেওয়া হয়।কথা বার্তায় বললাম DAKHA যাবো কিছুই চিনি না।। একজন যাত্রী আশ্বাস দিলেন তিনিও যাবেন।পত্রিকা অফিস তার জানা আছে। টিটো করে গেলাম।অফিসে গিয়ে দেখলাম এক বিশাল টেবিল ভর্তি মুড়ি সবাই তুলে তুলে খাচ্ছে। আমিও ইতস্তত করে খেলাম।বাংলা দেশের বিশিস্ট সাংবাদিক সৌরভ হাসান এসে আমাদের এক হোটেলে পৌঁছিয়ে দিলেন। তার সঙ্গে দেখা
বিশ্বেবিদ্যালয় ঘুরলাম।বিশাল চত্বর সবুজ গাছ গাছাড়াই ভরা।তিনি পত্নী সান্তনা কে মুক্তি যুদ্ধের এক চিত্র আলবাম দিলেন। সাভার গেলাম বাংলা ভাষা শহীদদের প্রণাম করলাম। সাংবাদিক বন্ধু এক মিউজিয়াম নিয়ে গেলেন।সেখানে মুক্তি যুদ্ধে নিহত শহীদ দের নর মুণ্ডু রাখা আছে। সেখানে ভারতের বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম প্রফুল্ল চাকী দের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর চিত্র দেখতে পেলাম। খুশি হলাম। চট্টগ্রাম রথের মেলায় গেলাম। সেখানে রাতের আলো আঁধারিতে দুই যুবক এক স্থানীয় সংবাদ পত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন বাংলাদেশ ছেড়ে যাবার পর পড়বেন। গুয়াহাটি ফিরে এসে ডি দেখলাম প্রায় হাজার খানিক মেয়ের নাম ঠিকানা তাদের নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। স্বভাবতই মনটা খারাপ হয়ে গেল।আজও বাংলাদেশের হিন্দুরা নিরাপদ নয়। দুর্গা পুজো এলেই হিন্দু বাঙালি ভয়ে আতঙ্কে থাকেন।কখন যে মা দুর্গার মাথা কাটা পড়বে। নর মুণ্ডু নয় মা দূর্গার মুণ্ডু।
কোন মন্তব্য নেই