গাছ মাটি রক্ষা করে , গাছের শিকড় বালি ,মাটি ,পাথর হালকা হতে দেয়না পাহাড় ধস নামেনা
অমল গুপ্ত ,অসম আবার বন্যার কবলে ।কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা পাত্র নিয়ে রাজ্যে সরকারের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। এর আগেও কংগ্রেস বিজেপি সরকার সেই একই সমস্যা । বন্যার পর রিলিফ টিম আসে মিথ্যা আশ্বাস দেয়। তথাকথিত প্যাকেজের নামে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয় । বন্যা হলে রাজনীতিবিদ দের লুটপাটের রাস্তা খুলে যায়। পরে সব ভুলে যায় আগামী বন্যার জন্যে প্রতীক্ষা শুরু।অসম ২৮টি জেলা বন্যা দূর্গত ৫০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে হাসির খবর কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ অসমে ৫০টি বড় পুকুর খনন করে অতিরিক্ত বন্যার জল সেই পুকরে ফেলে বন্যা সমস্যা সমাধান করতে চান। দেশের নদনদী কে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রের নেই। নদী সহজাত ভাবে আপন গতিতে বয়ে চলে ।কোনো বাধা মানেনা। যত বড় শক্তি হোক না কেন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রের নেই।অসম নদী মাতৃক রাজ্য লাখ লাখ জলাশয় নদ নদী পুকুর আছে কোনদিন সংস্কার হয়না। সব নদী ভরাট হয়ে গেছে।অল্প বৃষ্টি হলেই সব প্রান্তর ভেসে যায়। উত্তর পূর্বাঞ্চল বড় শহর গুয়াহাটি কে নিয়ে গর্ব করে সরকার।যে শহরে সব চেয়ে বড় নর্দম ভারলু যা সংস্কার করা হয়না। ভরলু আবর্জনা দুগান্ধ দূষণ সঙ্গে নিয়ে গুয়াহাটি নগরবাসী বাস করে। দেশের রাজধানী নয়া দিল্লি কলঙ্ক যমুনা নদীর দূষণ কার্বন বিষ সবকে টেক্কা দেয়। বিজেপি কোটি কোটি টাকা নদী সংস্কারের জন্যে ব্যয় করে। সবটাই দূর্নীতি। ২৯কিলোমিটারে ব্যাপি পবিত্র গঙ্গা সবটাই দূষণ বিষ গ্রাস করেছে। আবার গুয়াহাটি নগর এ প্রসঙ্গ বলছি গুয়াহাটি মহানগর ড্রেন ফুট পথ নেই। কলকাতার মত সব ফুট পথ বেদখল হয়ে গেছে। গুয়াহাটি শহরেও একই অবস্থা সব দখল। ফুট পথে বাজার দোকান বসে।রাস্তার জল বেরোনো বড় ড্রেন নেই। ভোরলু র আবর্জনা দূষণ প্রভাব চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদ কে। বরাক উপত্যকার সব পাহাড় টিলা দখল একমাত্র শিলচর শহর রাস্তা ঘাট ফুট পথ নেই। নর্দমা নেই । ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা মত সব নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা পাথর সংগ্রহ চলছেই। শিলচরে এক প্রাক্তন মন্ত্রী মালিকানা পাথর গাড়ি চলে বন্ধ করাযাবেনা। দুই উপত্যকা জঙ্গল নিধন অব্যাহত। পাহাড় প্রকৃতি ধংস অব্যাহত। কাজিরাঙ আবার ডুবছে ৭০শতাংশ ডুবে গেছে। গণ্ডার বাঘ হরিণ মহিষ ও বন্য জন্তু প্রাণ বাঁচাতে কারবি পাহাড়ে ছুটে যায়। ৩৭ নম্বর রাস্তায় গাড়ি চাপা পড়ছেই। প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। ব্রহ্মপুত্র তে বন্যা হবে ভাসবে। প্রতিরোধ নেই। গুয়াহাটি জ্যোতিনগরে ড্রেনে ডুবে যাওয়া শিশু অবিনাশ সরকার কে খুঁজতে গিয়ে ড্রেন গুলি লাখ লাখ প্লাস্টিক টুকরো পাওয়া গেছে।সব ড্রেন জ্যাম করে দিয়েছে।গুয়াহাটি বাসী ন্যূনতম নিয়ম মানেনা সবাই প্লাস্টিক নিজেদের বাড়ীর পাশেই ড্রেনে ফেলে দেয়। গুয়াহাটি বাসীর লজ্জা বোধ নেই নিজের বাড়ির চত্বর নোংরা করে রাখে। বিজেপি সরকার প্লাস্টিক মুক্ত দূষণ মুক্ত সরকার গড়ার অস্বাস কোনো মূল্য নেই।গুয়াহাটি শিলচর জরহাট এই সব বড় শহরের পথ ঘাট ড্রেন সব প্লাস্টিক ভরে গেছে।আবর্জনা ভরা শহর।নাগরিকদের লজ্জা বোধ নেই।নিজের শহরকে আবর্জনা ভরা দেখতে ভালবাসে।অসম বানভাসি রাজ্যে লাখ লাখ মানুষ জীবন সম্পত্তি ক্ষতি সাধন হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার স্থায়ী ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে না। তথাকথিত পাকেজ এর নামে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করে পরে সব ভুলে যায়। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চায় রাজ্য ও সময়মত দিতে পারেনা বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্গতি অবসান ঘটে না। পরের খবর ৭জুলাই গুয়াহাটি রাজগর অঞ্চলে ড্রেন থেকে এক শিশু মরদেহ পাওয়া গেছে পোস্ট মর্টেম করার জন্যে জিএম সি পাঠানো হয়েছে। এখন মরদেহ সনাক্ত করা হয়নি।
মূখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে। পরে জানা গেছে মরদেহ অবিনাশ সরকারের। আর এক মরদেহ পাওয়া যায়। এস ডি আর এফ উদ্ধার অভিযান চালায়। বাবার স্কুটার থেকে পড়ে গিয়েছিল ৮বছরে অবিনাশ। গুয়াহাটি তিন দিন ধরে পরিষ্কার করে কয়েক লাখ টুকরো প্লাস্টিক পাওয়া গেছে।প্রমাণ করছে গুয়াহাটি নগর বাসী নোংরা আবর্জনা পরিবেশ থাকতে ভালবাসে। কিন্তু দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি চাই চাই । সঙ্গে অবশ্যই মদ।
কোন মন্তব্য নেই