দেশের বিখ্যাত কাজিরাংঙ্গা উদ্যানে ১১৪ টি পশু বন্যা তে ভেসে গেছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩১
অমল গুপ্ত , দেশের বিপন্ন প্রজাতি এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট গণ্ডার কে অভয় দিতে পারছে না কাজীরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ । এই উদ্যানে দু হাজারের বেশি গণ্ডার আছে। কয়েক হাজার হরিণ ১৫০ টি, বাঘ ,বুনো মহিষ সহ অজগর সাপ ও অন্যান্য প্রাণী আছে। প্রতি বছর বন্যায় ভেসে যায় এই উদ্যান। ৩৭নম্বর জাতীয় সড়ক বন্যায় ভেসে গেছে।জীবজন্তু গুলি প্রাণ ভয়ে নিজেদের বাঁচাতে এই জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে কর্বিয়ালং জেলার বুড়া পাহাড়ে পালিয়ে যায়।সেখানে চোরা শিকারীরা আধুনিক মারনাস্ত্র নিয়ে লুকিয়ে বসে থাকে।তাদের হাতে প্রাণ যায় নিরীহ জীব জন্তুগুলির। এপর্যন্ত ১১৪ টি জন্তু মারা গেছে । গন্ডারের শাবক ও ডুবে মারা গেছে। বন্যা মুক্ত কাজী রাঙা আদৌ সম্ভব কিনা সন্দেহ আছে তবে অরণ্য সাফারি জীপ গুলো তেল ডিজেল পেট্রোল তে না চালিয়ে ব্যাটারি ব্যবহার করলে কাজিরঙ্গা দূষণ কমবে। প্রতিদিন ৩০০জীপ জঙ্গল সাফারি তে যায়।কয়েক হাজার পর্যটক তেল কার্বন বিষ ছাড়াচ্ছে । এছাড়াও ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলে।৭০,৮০,ডেসিবেল শব্দ রাতের নিরবতা খান খান হয়ে যায় হাজার ১৫০০জীবজন্তু বিকট শব্দ রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেনা। কেঁপে কেঁপে ওঠে তাদের অস্তিত্ব আজ সংকটে পড়েছে। সঙ্গে কাজিরাঙার ও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন অসমে বন্যা হয়নি।বেশি বৃষ্টির জন্যে বন্যার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অসম অধিকাংশ ডুবে গেছে আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অসম কে উপহাস করছেন।অপমান করছেন। বিজেপি মিথ্যা আস্বাস ছাড়া কিছুই দেয় নি। বানভাসি জীবজন্তু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে আজ পর্যন্ত ১৩১ টি জন্তু জলে ডুবে মারা গেছে।আজ কর্তৃপক্ষ জানান জল কমলে মৃতের হার বাড়তে পারে। ৭০ টি বন শিবির জলমগ্ন হয়েছে। গণ্ডার বাঁচানোর জন্যে অতিরিক্ত ১০০ বনকর্মী কে মোতায়েন করা হয়েছে। ৮০টি হরিণ o অন্যান্য জন্তু উদ্ধার করা হয়েছে। ওদিকে ওরাং রাষ্ট্রীয় উদ্যানে একটি মৃত চিতা বাঘ উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। উদ্যান কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে। অসমের মন্ত্রী অতুল বরা মাতৃ হারা গণ্ডারদের খবর নেন। বহু গণ্ডার শাবক ভেসে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই