২৬,,জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন
অমল গুপ্ত , বিশ্বে মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন উদযাপন। সারা বিশ্বে ২৬জুন বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। ত্রিপুরার বিশিষ্ট সাংবাদিক জয়ন্ত ভট্টাচার্য আগরতলা কেন্দ্রের দূর দর্শন এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ১১ জুলাই বিস্তারিত জানান মাদকের ভয়ানক বিপদ সম্পর্কে। সারা বিশ্বে ৩০০কোটি ডলার মাদকের ব্যবসা চলেছে ।ত্রিপুরা তে হাজার কোটি টাকার গাঁজার ব্যবসা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ বিশ্ব বিদ্যালয় এক শ্রেনীর ছাত্র দের মধ্যে মাদকের চল আছে। মদ ,হেরোইন , গাঁজা , কোকেন ,ট্যাবলেট ,ইনজেকশন মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করান হয়।দেহের রক্ত ঝরার সঙ্গে এই মারাত্বক হেরোইন দেহে প্রবেশ করানো হয়। রক্তের সঙ্গে মিশে গেলে মারাত্বক নেশা হয়। ৮থেকে ৮০ সবাই এই নেশা করে দেশের ভবিষ্যত ধংস করে দিচ্ছ। পর পর তিনদিন এই নেশার ইনজেকশন নিলে এই মাদক গ্রহন করা ব্যক্তি পাগলের মত ব্যবহার করে সামনে যা পাবে ধংস করে বাড়ীর পত্নী সন্তান কাউকে পাত্তা দেয় না। দেশের একমাত্র রাজ্যে মণিপুরের মহিলা সমাজ এই নেশা বন্ধে পথে নেমে আন্দোলন করছে। অসম, পশ্চিমবঙ্গ ,ত্রিপুরা সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যের যুব সমাজ এই নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।। বিজেপি মাদক বিরোধী, প্রদূষণ বিরোধী প্লাস্টিক বিরোধী আন্দোলন সার্বিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অসমের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকার রাজ্যে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে কয়েকশো কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের -বাংলাদেশ সীমান্ত বর্তি অঞ্চলে মাদকের ব্যাপক প্রচলন বর্ডার পুলিশ অভিযান চালিয়েও এই মাদক নির্মূল করতে পারছে না। অসমের মত ত্রিপুরা , বঙ্গে ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালাচ্ছে না। উত্তর পূর্বাচলের ত্রিপুরা ,মনিপুর ,নাগাল্যান্ড, মিজোরাম পশ্চিমবঙ্গ - বাংলাদেশ সীমান্ত পথে মায়ানমার থেকে মাদক চোরা পথে ঢুকছে।মায়ানমার জনগোষ্ঠীর অংশ রোহিঙ্গা উপজাতি গোষ্ঠী এই মাদক চোরাচালনে প্রধান ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ এ এই জনগোষ্ঠীকে সংস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আছে। অসম, বঙ্গ ত্রিপুরা ইত্যাদি উত্তর পূর্বের রাজ্যে বিদ্যালয়ে কলেজের ছাত্র এমনকি সিনিয়র ছাত্রী রাও এই মাদক গ্রহন করছে বলে অভিযোগ আছে। বিদ্যালয় কলেজের একাংশ ছাত্র পান বিড়ি সিগারেট দোকান এ এই মাদক পেপারে পুরিয়া করে গোপনে বিক্রি হয মানুষ গড়ার কারিগর ছাত্র সমাজ এই মাদক গ্রহন করে দেশ কে ধ্বংস করছে।তাদের পথ দেখানোর মানুষ নেই।দুর্নীতিপরায়ণ অসাধু রাজনীতিবিদদের কাছে শিক্ষার কিছু নেই। দেশের যুব জুনপ্রজন্ম অবক্ষয় এর শেষ সিঁড়িতে পৌঁছিয়ে গেছে। তাদের সং শোধনের পথে আনতে একজন বিবেকানন্দ বা নেতাজি র প্রয়োজন। কোথায় পাওয়া যাবে। বাঙালি দের জাতীয়তা বোধ, দেশ ভক্ত আজ তলানিতে।সার্বিক অবক্ষয় গ্রাস করেছে। বাঙালি দের মেরুদন্ড আজ বড়ই দুর্বল প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।নির্বাচনে যতই হিংসা হোক মানিয়ে নিচ্ছে। সারা বিশ্ববাসী দেখছে বাঙালি দের অধঃ পতন।
কোন মন্তব্য নেই