Header Ads

ত্রিপুরা তে ধলাই বাঙালি দের ঘরবাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদ আমরা বাঙালি র



 নয়া ঠাহর  আগরতলা
ত্রিপুরার ধলাইয়ের গণ্ডাছড়ার অগ্নিগর্ভ সন্ত্রাস, বাঙালী ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’ । গত ৭ই জুলাই এক আনন্দমেলা কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। সেখানে দুই গোষ্ঠীর দুই যুবকের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। ঘটনায় আহত যুবককে সঙ্গে সঙ্গেই আগরতলার জিবি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু শুক্রবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই খবর এলাকায় পৌঁছাতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট,বাজার। সংঘর্ষে এলাকা হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। 
      ‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব তপোময় বিশ্বাস জানান, নিজের মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও চোখের সামনে পুড়তে দেখতে হবে গণ্ডাছড়ার বাঙালীদের। জনজাতিরদের একটি অংশ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী সৃষ্টি করে ক্রমশ বাঙালীদের জীবন সম্পত্তির ওপর আক্রমণ করে বাঙালীদের উৎখাত করতে চাইছে। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার বাঙালী অত্যাচারের ব্যাপারে নির্বিকার, তাদের এই নীরব দর্শকের ভূমিকা বাঙালীদের ওপর চলা সন্ত্রাসবাদকেই সমর্থন জানায় বলেই আমরা মনে করছি। বহিরাগত রিয়াং শরণার্থীরা বাঙালীদের বাড়িঘরে, গবাদিপশু সহ দোকানপাটে, হামলা চালায়। আর তাদেরকেই জামাই আদর করে সব রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুনর্বাসন দেওয়া হয়! অথচ ৮০ সালের দাঙ্গায় খুন হওয়া হাজার হাজার বাঙালীদের পরিবার পরিজন সহ ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালীদের ভাগ্যে কিছুই জোটে না।কার্যত এই দৃশ্যই সন্ত্রাসবাদীদের মনে এই ভাবনা বদ্ধমূল করে যে বাঙালীদের খুন, ধর্ষণ, অত্যাচার করলে তাদের হয়ে বলবার কেউ নেই, এমনকি সরকারও নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি গত ৭ই জুলাই গণ্ডাছড়ায় আনন্দ মেলায় জুয়ার আসরে অংশ নেওয়া মদমত্ত কিছু যুবকের তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কিতে পরমেশ্বর রিয়াং নামে এক উপজাতি যুবক অসাবধানবশত অরক্ষিত একটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে গুরুতর ভাবে জখম হয়। পরে ১৩ই জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগরতলা জিবি হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। এই অছিলায় শুরু হয় বাঙালী নিধন যজ্ঞ। বাঙালী ঘরবাড়ি, জিনিস পত্র, গাড়ী ভাঙচুর সহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস পত্র লুটপাট করে, ভাঙচুর চালায় ও বাঙালী ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। প্রাণের ভয়ে অনেকে বাড়ি ঘর ফেলে বাস্তুহারা হতে বাধ্য হয়। এই অসহায় পরিবার গুলোর যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে সরকারী তরফে পূর্ণ সহযোগিতা করার দাবী রাখেন ‘আমরা বাঙালী’ র নেতা তপোময় বিশ্বাস। এছাড়াও তিনি বলেন, গণ্ডাছড়ার সাম্প্রতিক হিংসাত্মক ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে গণ্ডাছড়া মহাকুমা সহ এডিসির প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিএসআর ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে। সমস্ত ধরনের জনজাতি অংশের লোকেদের তোষণ নীতি ও বাঙালী বিদ্বেষী অপপ্রচার বন্ধ করে সকলের জন্য সমান অধিকার প্রদান করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।‘আমরা বাঙালী’ কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব উজ্জ্বল ঘোষ এক প্রেসবিবৃতে এই খবর পাঠান। 


       নিবেদক— 

          উজ্জ্বল ঘোষ
   কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব, আমরা বাঙালী 
   ২নং বল্লভ স্ট্রীট, কলকাতা-০৪

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.