Header Ads

মৃত্য কোনো যুক্তি মানেনা

*|| মৃত্যু কোনো যুক্তি মানে না ||*

গত ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ব্যাঙ্গালোরের জনপ্রিয়  অভিনেতা, সঙ্গীত শিল্পী এবং টেলিভিশন প্রেজেন্টার পুনীথ রাজকুমার মাত্র ৪৬ বছর বয়সে মারা যাবার পর প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডা. দেবী শেঠি ( Dr. Devi Shetty) একটি সবিস্তার বিবৃতি দিয়েছিলেন। পছন্দ হয়েছে খুব - তাই তাঁর বিবৃতির একটি বাংলা ভাবানুবাদ দেখে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।      

 ডঃ  দেবী  শেঠী লি‌খে‌ছেন: গত কয়েক বছরে আমার ৮/৯ জন প্রিয় পরিচিত জন এবং কিছু সেলিব্রেটিকে চিরতরে হারিয়েছি। তারা চল্লিশের ঘরে ছিলেন এবং 'শারীরিকভাবে ফিট' থাকার অতিরিক্ত চেষ্টার কারণে তারা মারা গেছেন। 

দুর্ভাগ্য হলো - তারা শুধু দেখতেই ছিলেন সুঠাম, সিক্স প্যাক বা এরকম।  পুনীথও সে তালিকায় যুক্ত হলেন।
জীবনে যা কিছু হোক-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মধ্যপন্হা।

"জিরো ফিগার' বা একশোর বাড়াবাড়ি কোনোটাই ঠিক না।

প্রতিদিন মাঝারি পরিমান ব্যায়াম দরকার-২০ মিনিট মত। সবকিছুই খেতে হবে, কোনো বিষাক্ততা অপসারণের দরকার নেই (no detoxification), কোনো কিটো মটো ডায়েট দরকার নেই, আপনার পূর্বসূরীরা যা খেতেন, সব খান, আপনার শহরে পাওয়া যায় এমন সব স্থানীয় এবং মৌসুমি খাবার - তবে অল্প পরিমানে। বিদেশি কিউই ফল, ক্যাল বা জলপাই তেলের দরকার নেই। ৭ ঘন্টার নিবিড় ঘুম চাই, শরীরের চাহিদা পূরণ প্রয়োজন তবে সেটা স্টেরয়েড বা ক্ষমতাবর্ধক ড্রাগের মাধ্যমে হওয়া চলবে না। 
 
বেড়ে ওঠার সময় যা খেয়েছেন, সবই খান, তবে অল্প পরিমাণে; বিশ / তিরিশ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন আর একটু হাঁটুন নিয়মমত আর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বাদ দিন। 

আপনারা কি বুঝতে পারছেন ? কিছুই না, শুধু মধ্যপন্হা। 

দিনে কিছু সময়ের নীরব ধ্যান যোগ করুন রুটিনে। 

 একটা  খুব জরুরি বিষয় হলো - শরীরের ভাষা শোনা, বোঝা এবং শরীরকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। বুঝতে হবে, নিজের শরীর, নিজের দায়িত্ব। 

৪০ এর পর বেশ কিছু শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তন শুরু হয়, ৫০ এর পর আরো বেশি, ৬০ এর পর শরীর শিথিল হতে থাকে, ৭০ এর পর বন্ধ হতে থাকে, ৮০ এর পর প্রতিটি বছর হলো বোনাস। তাই ৬০ মানে নতুন করে ৪০ বা বয়স হলো শুধুই একটি সংখ্যা - এসব কথা বলা বন্ধ করুন। এগুলো ঠিক কথা নয়। ৪০ বা ৫০ পরবর্তী সময়ে আপনার স্বাস্থ্য অটুট থাকলে কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন, কিন্ত কাজের গতি একটু কমান যাতে হৃৎপিন্ডের গতি বহাল থাকে। 

দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন - অবসরের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক কারণ আছে। একসময় আপনার শরীর আর মন যে চাপ বইতে পারতো এখন আর ততটা পারবে না। বাহ্যত চমৎকার আছেন, ধন্যবাদ আপনার 'জিন' কে (genes), কিন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের (organs) অভ্যন্তরীণ ক্ষয় তো হচ্ছেই।

|| ফুটনোট ১ || 
সারকথা হলো ৬টি নির্দেশনা: 
▪️২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম
▪️নিয়মিত নিয়ম মত হাঁটা
▪️সাত ঘন্টা নিবিড় ঘুম 
▪️কিছু সময় একাকী ধ্যান 
▪️সব খাবারই খাওয়া - কম পরিমানে 
▪️শরীরের কথা শোনা ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।

Be happy internally and not externally.
______________
মূল রচনাঃ  Prof. Dr. Devi Shethi

সবাই  ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.