রাষ্ট্রীয় উদ্যান কাজিরঙা 70 শতাংশ বন্যায় ডুবে ওরাং উদ্যান ও জলের তলায়
অমল গুপ্ত ,3জুলাই ,গুয়াহাটি,, দেশের বিরল প্রজাতি এক খড়গ বিশিষ্ট গণ্ডার থাকা কাজিরাঙ্গার 70শতাংশ ব্রহ্মপুত্র বন্যায় ভেসে গেছে। 37নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করতে গিয়ে বহু প্রাণী জলে ডুবে মারা যায়।।30টি প্রাণী কে বনবিভাগ উদ্ধার করেছে। একটি গণ্ডার শাবক মারা গেছে বলে মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকের জানিয়েছেন। গতকাল মুখ্য মন্ত্রী গোলাঘাট জেলার বন্যা দুর্গত অঞ্চল নৌকায় সাফর করেন কাজিরাঙ্গর পাশ দিয়ে যান। অপর ওরাং উদ্যান ও 80 শতাংশ বন্যায় ডুবেছে। রাজ্যের বরাক ব্রহ্মপুত্র 28জেলার 12লাখের বেশি মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত , ব্রহ্মপুত্র জল স্তর বেড়েই চলেছে। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্র বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।বরাক নদী ও বিপদ সীমার অতিক্রম করেছে। বরাক অঞ্চল এ লাগাতার বৃষ্টি চলছে। লমডিঙ ,শিলচর পাহাড় লাইনের অধিকাংশ এলাকা বন্যায় ভেসে গেছে।ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ। রাজ্যে কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করেছে জলসম্পদ মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকাঁ বাঁধে ভাঙন রোধের জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে জরুরি কাজের পরিদর্শন করেন পীযূষ হাজারিক । দেশের মধ্যে একমাত্র অসমের কাজী রাঙা তে দুহাজারের বেশি গণ্ডার আছে ।ওরাং উদ্যানে একশোর বেশী গণ্ডার আছে। বন্যায় প্রতিবছর বিপদের মূখে পরে।বেশ কিছু বুনো হরিণ শুয়োর বুনো মহিষ সহ অন্য প্রাণীর মারা জয়। 800,,বর্গ কিলোমিটারে জুড়ে কাজী রাঙা প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র বন্যার জলে ভাসে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।তবে উদ্যানের বনকর্মীরা এবার অনেক সতর্ক । উদ্যানকে বাঁচাতে স্থায়ী সমাধানের পথ বার করতে হবে।নতুবা ভবিষ্যত অসমের গৌরব বিলীন হয়ে যাবে। অসমের বন্যা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ 50টি বড় পুকুর খনন করে বন্যা প্রতিরোধের এক অবাস্তব পরিকল্পনা জানিয়েছেন। কোনো নদী কে আটকে পুকুর খনন করে বন্যা প্রতিরোধ করা যায়না। প্রকৃতির নিয়মে নদী আপন গতিতে ছুটে চলে।।পুকুর খাল বিল সব ভাসিয়ে দেয়। হাজার বাধা মেনে চলে না। অসম এ আজ পর্য্ন্ত বন্যা প্রতিরোধে কোন বিজ্ঞান সম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হল না। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এক অবাস্তব পরিকল্পনা জানিয়ে গেলেন। বন্যায় উদ্যানের 178টি বন শিবির ডুবে গেছে। জল বেড়েই চলেছে।
কোন মন্তব্য নেই