অসমের 28টি জেলা বন্যায় ভেসেছে ,আজও বন্যাকে জাতীয় সমস্যা বলে ঘোষণা করা হল না
অমল গুপ্ত ,4 জুলাই অসমের জাতীয় সম্পদের এক বিশাল পরিমাণ অংশ প্রতিবছরের বন্যা গ্রাস করছে।কোটি কোটি টাকার কৃষি জমি, রাস্তা ঘাট সেতু ,ঘর বাড়ি গবাদি পশু , মানুষের জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। যা জাতীয় আয়ের বিশাল অংশ। কিন্তু দেশের নেতাদের এই সম্পদ ক্ষতি সম্পর্কে ধারনা নেই কি বিশাল সম্পদ থেকে অসম তথা উত্তর পূর্বাঞ্চল বঞ্চিত হল। প্রায় 40বছর অসমে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে এই সব জটিল সমস্যা সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে ছি।অনুভব করেছি। বহু গ্রাম জনপদ সফর করেছি
কিন্ত প্রকৃতি কে নদীর জলধারাকে বেঁধে নদীর স্রোত কে উপেক্ষা করে নদীর তলদেশ মাটি না কেটে খনন না করে আবার বাঁধ নির্মাণ কি যুক্তি সম্মত । নদী গুলি তীরে গাছ গুলি শিকড় মাটি ধরে রাখে মাটি বালি হালকা হতে দেয় না মাটি ধসে পড়ে না।পাথর বালি মাটি গুটি পরস্পর জড়িয়ে থাকে লাগাতার গাছ কাটার ফলে সব হালকা হয়ে ঝরে পড়ে নদীতে , গভীরতা হ্রাস পায়। নদী খাল বিল ভরাট হয়ে গেলে অল্প বৃষ্টিতে বন্যায় ভেসে জয় চারদিক। অসমের ব্যাপক হারে সবুজ পাহাড় গাছ গাছালি ধংস হচ্ছে। কাজিরাঙ্গা, মানাস, পাবিতরা, ওরাং সব জাতীয় উদ্যান গুলি তে গাছের সংখ্যা ভয়ানক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ছোটখাট গঞ্জ এ পরিনত হয়েছে।উজানের অরণ্য সম্পদ ডিহিং পাটকায় তো অসমের একাংশ রাজ নীতিবিদের বেআইনি আয়ের উৎস । বেআইনি ওপেন কাস্ট কয়লা খনি লাখ লাখ মানুষ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কয়লা তুলে পাচার করছে। সরকার নীরব দর্শক বহু দিন না বহুকাল থেকেই চলে আসছে। অরুণাচল সীমান্ত বর্তি টিনসুকিয়া, দিব্রুগ্রর জেলার ব্যাপক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলার কেউ নেই। অসমের জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। বিগত কংগ্রেস বর্তমান বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের অবাস্তব সব পরিকল্পনা দেশের নদীগুলি খনন না করে ভরাট করে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে। সব গাছ ধংস। দেশে
পবিত্র নদী গঙ্গা যমুনা বরাক ব্রহ্মপুত্র সব দূষিত।নদীতে পরিণত হয়েছে। বিজেপি দেশের পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছে। তথাকথিত নীতি অ্য়োগ গঠন করেছে। শুধু গঙ্গা যমুনা নদী সংস্কার দুষণ মুক্ত করতে কংগ্রেস বিজেপি ২০ ,৩০হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। সবটাই দূর্নীতি। আজ বিজেপি নেতারা পুকুর খনন করে বন্যা প্রতিরোধের কথা বলছে। গাছ লাগানোর গাছ রোপনের কথা বলছে না। দেশে মাথা পিছু গাছের সংখ্যা ২৮ আর জার্মানে কানাডা তে মাথা পিছু গাছ দু হাজারের বেশী। কেন্দ্রীয় সরকার ,রাজ্যে সরকারগুলো নানা প্রকল্প সেতু রাজপথ এর পাশের সব গাছ কেটে ফেলেছে। গাছ লাগানোর নাটক করা হয়। আজকের যুব সমাজ মোবাইল ,সেক্স ,মদ বিরিয়ানি মাংসে ডুবে আছে দেশের কথা দশের কথা আদৌ চিন্তা করেনা। গাছ নেই, সবুজ ছায়া নেই, অক্সিজেন নেই, জল নেই শুধু কার্বন আর গাড়ি ঘোড়া ধোঁয়া বিষ। উষ্ণতা বেড়েই চলছে। জল বায়ু পরিবর্তন ফলে বৃষ্টি ,বন্যা, খরা ভূমিকম্প , বিদ্যুৎ চমক ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপ্লবের সৃষ্টি যা মানুষের নিয়ন্ত্রণে বাইরের। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে ভয়ংকরভাবে জল স্তর হ্রাস পাচ্ছে। ভু গর্ভ র জল শুকিয়ে য যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের ৫০,,টি শহর র মাটির নীচে জল ভান্ডার শুকিয়ে গেছে। চেন্নাই ব্যাঙ্গালুরু অন্যতম। দেশে মাত্র ৮শতাংশ বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয়। সিহিং পাট কাই গভীর বনাঞ্চলে হলং নামে এক লম্বা গাছ আছে যেখানে অসমের জাতীয় পাখি সাদা ডানার বুনো হাঁস দের প্রধান আস্থানা ওই গাছ গুলি। প্রকৃতি কে সবুজ করতে বৃষ্টি টানতে বেঁচে থাকার জরুরি কিন্তু গাছ গুলি কেটে ফেলা হচ্ছে। বলার কেউ নেই। সরকার আছে বনবিভাগ নেই। অসমের আসু আজ আবার অসমের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। সেই দাবী বিজেপি মানবে বলে মনে হয়না । বিজেপি পুকুর খনন করে বন্যা মোকাবিলা করতে চাই। যা কোনোদিন সম্ভব নয়। নম বরাক, নম ব্রহ্মপুত্র নামে তামাসা হল। দেশবাসী তামাসা দেখলো ।একটি বাঁধ ও নির্মান করা হয়েছে কি? বাঁধের ধারে রাস্তা কোথায় নির্মাণ করা হল?
কোন মন্তব্য নেই