দেশের তীর্থ চূড়ামনী অসমের কামরূপ কামাখ্যা অম্বুবাচী মেলা লাখ লাখ ভক্তের চরণ স্পর্শ পবিত্র স্থল পরিণত
অমল গুপ্ত , গুয়াহাটি দেশের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব অসমের অমুবাচি মেলা লাখ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটেছে। নীলাচল সবুজ বৃষ্টি স্নাত পাহাড় অপরুপ সাজে সেজে উঠেছে। 22জুন মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়েছে 26জুন ভরে খুলবে। মা কামখ্য ঋতুমতী হন।চারদিন অসমের অন্যান্য মন্দির বন্ধ রাখা হয় । এই মেলার প্রতি বাঙালি হিন্দু বিধবাদের আকর্ষণ বেশি তারাই বেশী করে ভিড় জমায়। অতীতকাল থেকে এই ধর্মীয় ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন আছে ।বিন্দুমাত্র ফিকে হয়নি।অন্য বারের তুলনায় এবার কড়া কড়ি বেশী।নিয়ম কানুন কড়া বেড়াজাল ভেঙে মাকে দর্শন করা কঠিন কাজ। পবিত্র ধামে একাংশ পান্ডার ব্যবসায়িক মানসিকতা দেখে মানুষ ক্ষুদ্ধ। কড়া কড়ি শিথিল হতে লাগে। ভিভিআইপি আর গাড়ীর তাণ্ডব বন্ধ করা উচিত। দেশের অন্যতম পবিত্র জাগ্রত ধর্মস্থানে গিয়ে কামাখ্যা মা কে প্রণাম করার সবার অধিকার আছে।সেই অধিকার সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের । এদিকে মা কামাখ্যা দর্শনের পর অধিকাংশ ভক্ত গুয়াহাটি ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী উমানন্দ দ্বীপে গিয়ে মহাশক্তি শিব দর্শন করেন।দেশের মধ্যে খুদ্র তম নদী দ্বীপ উমানন্দা।প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে গাছ গাছাড়ার ভিড়ে শান্ত ঠান্ডা পরিবেশ মন প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।তবে এই দ্বীপে সাবধানে সতর্ক ভাবে যেতে হবে নৌকা লঞ্চ জলযান সাবধানে চড়তে হবে। কথিত আছে মা কামাখ্যা দর্শনের পর শক্তির উপাসক শিবের দর্শন করতেই হবে নতুবা । দর্শন পূর্ন হবে না। এই মন কামনা পূর্ণ হলে জীবন সার্থক হয়। ভক্ত প্রাণ মানুষ বড় কষ্ট স্বীকার করে দূরদূরান্ত থেকে এসে নীলাচল পাহাড়ে ভিড় জমায় মায়ের দর্শন। পাওয়া জন্যে ।মা যে সবার মা সবার দুঃখ দুর করে।।
কোন মন্তব্য নেই