মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে অনুকরণ করে বুলডোজার নীতি শুরু করলেন।
অমল গুপ্ত, নয়া ঠাহর ,গুয়াহাটি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ অপরাধীদের বিরুদ্ধে বুল ডজার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। বিরোধীদের ঘর বাড়ি গুড়িয়ে দেন। এর পর অসমের মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সেই নীতি গ্রহণ করেন।পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে ফুট পথ বলে কিছুই নেই।হাটবাজার দোকান পাট সব ফুট পথ অবস্থিত।কোলকাতা শহরে ৫০০ বেশী বেআইনি বাড়ি কলকাতা পুরসভা জড়িয়ে। আছে।স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আঙুল তুলেছেন। সমস্ত কলকাতা বেধকল ফুট পথ মুক্ত করতে মুখ্য মন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।সেইমত আজ কলকাতা পথে প্রথম বুল ডজর নামতেই হাহাকার শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৫০০মত পুকুর ভরাট করেভবন নির্মাণ হওয়ার অভিযোগ। আছে যে কোনো ব্যক্তি বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে লোকাল দালাল দের অর্থ দিয়ে পারমিশন আদায় করতে হয়। বাইরের কোন শিল্পপতি বঙ্গে শিল্প। গড়তে ভয় প্রায় ।। সিঙ্গুরে মারুতি কোম্পানী গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ।সেই। টাটা অসম কে ২৭ হাজার কোটি টাকা টাকা বরাদ্দ।করল। বঙ্গে হাসপাতাল গুলির অবস্থা করুন।
হাসপতালে গুলোতে চিকিৎসা। পাওয়া যায়না। অসম ১৪ টি ক্যান্সার হাসপাতাল। চালু করছে । অর্ধেক টাকা টাটা দিচ্ছে।। গুয়াহাটি কে মেডিক্যাল হাব করেছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সবদিক থেকে কলকাতার বদনাম। হয়ে গেছে স্বাস্থ্য শিক্ষার অবস্থা খুবই খারাপ। বঙ্গের থেকে অনেক ছোট রাজ্য অসম এগিয়ে যাচ্ছে।। দেশের বিশিষ্ট শিল্প পতি রতন টাটা কে তাঁর অবদান স্বীকৃতির জন্যে অসম সরকার সর্বচ্চো পুরস্কার প্রদান করেছে রতন টাটা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে সবদিকে সাহার্য্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সিঙ্গুরে মারুতি গাড়ি নির্মাণ বাধা না দিতেন।তবে আজ সিঙ্গুর ব্যাপক শিল্প গড়ে উঠত ।মারুতি কারখানা কে কেন্দ্রে করে অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠত। বুলডোজার চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল কারখানা।আজ সেখানে ঘুঘু চড়ছে।সেই রতন টাটা গুজরাটে মারুতি কারখানা খুলে ব্যবসা শুরু করেছে ন অপর দিকে অসমের মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ঢালাও সাহার্য্যর হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ত্রিপুরা সহ দক্ষিণ অসমের একাংশ ক্যান্সার রোগের প্রকোপ দেখা যায়।এই অঞ্চলে রতন টাটা হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা করে একটি দুটি নয় ১৪ টি ক্যান্সার হাসপতালে তৈরি করছেন।যা ভু ভারতে নেই। ১৩ ১৪টি জেলাতে মেডিক্যাল কলেজ গড়ছেন। অনগ্রসর বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলাতেও কলেজ গড়া হচ্ছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিরাট উন্নতি করেছে অসম।গুয়াহাটি শহর উপকন্ঠে এইমস নির্মাণ হয়ে গেল। একটির পর একটি বাইরের কোম্পানী অসমে আসছে জমি কিনে কারখানা গড়তে চাইছে ।এই রাজ্যে কাট মানি কমিশন নেই। কোনো শিল্পপতি কারখানা গড়তে চাইলে সরকার সার্বিক ভাবে এগিয়ে আসে।বঙ্গে ব্রিটেনিয়া র মত বিখ্যাত বিস্কুট কোম্পানির বন্ধ করে দেওয়ার খবর এলো। পশ্চিমবঙ্গ জ্যোতি বাবুর রাজত্বে আর বর্তমান তৃনমূল রাজত্বে কয়েক হাজার বাইরের কোম্পানী চলে গেছে। দেশে কবেই লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে অশান্তি আজও চলছে। বন্ধ হবার নাম নেই। বঙ্গে পাট শিল্প দেশের মধ্যে এক নম্বর থাকতে পারত ।কিন্তু নোংরা রাজনীতি সর্বনাশ ঘটে গেছে।বাম জমানা তে জ্যোতি বাবুদের ইউনিয়ন পাল্টা ইউনিয়নের রাজনীতি আজ তৃনমূল রাজত্বে কাট মানি কমিশন রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিবেশ দেশ বাংলাদেশ পোষাক কারখানা আজ বিশ্ব কে পথ দেখাচ্ছে। জাতীয় গড় আয় ভারতের থেকেও বেশি ভাবতেও কষ্ট হয়। মুষ্টিমেয় বাঙালি হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন টি আজও ধোঁয়াশা। কিন্তু বঙ্গের স্থায়ী নাগরিক মুসলিম সমাজ দিনের পর দিন লালগোলা বেলডাঙ্গ ইত্যাদি রেল স্টেশন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। সারা বিশ্ব দেখলো নিজেদের সম্পত্তি কি ভাবে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সরকার হাত গুটিয়ে থাকলো। তৃনমূল দলে এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুংকার দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার ৭০শতাংশ মুসলিম ৩০ শতাংশ হিন্দু কে ভাগীরথী জলে দুঘন্টা তে ডুবিয়ে দেওয়া হবে। জেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি তে আঘাত আনলো।তৃনমূল দল বিধায়ক কে শাস্তির বদলে প্রসংশা করা হল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী গুয়াহাটি শহর কে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রধান কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলছেন। মেডিক্যাল হাব, স্পোর্টস হাব গড়ছেন। সমাজে অপরাধ
প্রবণতা হ্রাস করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছেন ১৩, ১৪বছরের শিশু বিবাহ করার অপরাধে একহাজার স্বামীকে গ্রেফতার করেছিল অসম সরকার। বঙ্গে অনেক বেশি ঘটনা সত্ত্বেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সৎসাহস মমতা সরকারের নেই। বঙ্গের যুব প্রজন্ম কে মদ মাদক গ্রেস করেছে। অসমে ধর্ষনের ঘটনা অনেক কমে গেছে। অপরাধীদের বিরূদ্ধে বুল ডোজার চালানো ছাড়াও গুলি ছোঁড়ার অধিকার পুলিশ কে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গে ভাবাই যায়না । বঙ্গের পুলিশের বদনাম বেশি। রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ অনেক অনেক বেশি। ভাল পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে গেছেন। মদ গাঁজা মাদক বঙ্গে রমরমিয়ে চলছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আবার মাদকের বিরূদ্ধে লড়াই জারি রাখেন। চন্দ্র পুরে৫০কোটি টাকার ড্রাগস ধংস করে দেয়। সরকার আজ পর্যন্ত দু হাজার কোটি টাকার। নিষিদ্ধ ড্রাগস ধরেছে। পশ্চিমবঙ্গ ভারত সীমান্তে ব্যাপক হারে চোরাপাচার নিষিদ্ধ ড্রাগস কারবার। কোনো পদক্ষেপ নেই। অসম এ প্রতিদিন ড্রাগস ধরা পড়ছে। সঙ্গে কড়া শাস্তি ও।
কোন মন্তব্য নেই