নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বারের জন্যে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি ,অসম ।দেশের তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী শপথ গ্রহণ করেন। অমিত শাহ ,রাজনাথ সিং ,নীতিন গারকারী ,, আসমের সর্বানন্দ সোনোয়াল , জয়শঙ্কর প্রমুখ কেবিনেট শপথ গ্রহণ করেন। বিজেপি একক ভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। অন্য দলের সাহার্য্য নিয়ে বিজেপি জোট সরকার গঠন করে। চন্দ্র বাবু নাইডু , আর নীতীশ কুমার প্রধান সহকারী দল কে নিয়ে জোট সরকার গঠিত হল। এই মন্ত্রী সভায় অসমের সর্বানন্দ সনওয়াল ছাড়াও আহম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি পবিত্র মার্গেরিটা কে কেন্দ্রে মন্ত্রী সুযোগ করে দিলেন মূখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর কেন্দ্রে কেবিনেট মন্ত্রী করা হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় আর বাঙালি দের স্থান হচ্ছে না। বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বহরমপুর থেকে হেরে গেলেও তার উপর কংগ্রেস হাই কমান্ড আস্থা রাখছে।তাকেই সভাপতি পদে রাখা হবে।অধীর বাংলার বাঙালি হিন্দুদের আবেগ ছিল তার জায়গায় মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সুদূর গুজরাট থেকে বাঙলা ভাষা সংস্কৃতি না জানা এক ক্রিকেট খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠান কে কে জিতিয়ে এনে পশ্চিম বঙের বাঙালি রাজনীতিতে কুঠার মারলেন। অধীর গতকাল এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন মমতা বাংলার ইতিহাসে বাঙালি ভাষা সংস্কৃতি আবেগ কে শেষ করে দিলেন।সাম্প্রদায়িক বিভাজন টেনে তৃনমূল বিধায়ক হুমায়ন কবির আপত্তির মন্তব্য করেও পার পেয়ে গেলেন। মমতা চুপ থাকলেন। কবীর বলেন মুর্শিদাবাদ জেলায় 70শতাংশ মুসলিম 30শতাংশ হিন্দু প্রয়োজনে 30শতাংশ হিন্দুকে ভাগীরথী জলে ডুবিয়ে দেওয়া হবে এত বড় সম্প্রয়াদিক মন্তব্য করলেন। মমতা একবারও আপত্তি করলেন না। পশ্চিমবঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জিতে এলেও তার বিরূদ্ধে নানা আপত্তিকর অভিযোগ থানায় দিয়ে মনোবল ভেঙে দেওয়া হল। এক বিশিষ্ট আইন জীবি অভিজিৎ কে অপমান করছেন তৃনমূল। মোদী সরকার ক্ষমতায় এল পাঁচ বছর স্থায়ী হবে কি কিনা ।মোদী প্রচার অভিযানে ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি ।মানেননি।প্রতি পদে মুসলিমদের অপমান করেছেন মোদী।। হিন্দু মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে মুসলিমরা মঙ্গল সূত্র কেড়ে নেবে। এই ধরনের অপমান দেশের 30কোটি মুসলিম কে আঘাত করেছে। মুসলিম দের মধ্যে ভারত বিরোধী বিজেপি বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশের মসজিদ গুলিকে বিজেপি বিরোধী প্রচারেব্যবহার করা হয়েছে । মুসলিম জন নেতারা ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মসজিদ কে ব্যবহার করেছে যার ফলে দেশের ধর্ম ।নীতি আঘাত পড়েছে। মোদী সরকারের উচিত হবে আগামী পাঁচ বছর ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলা কোন ভাবেই মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আঘাত না করা। হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মেনে চলতেই হবে । উভয় জনগোষ্ঠী ভারতের নাগরিক ।সবার মৌলিক অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। নতুবা দেশ চলবে না।। রেকর্ড বলছে গত লোকসভা নির্বচনে দেশের কয়েকটি কয়েকটি রাজ্যের মুসলিম ভোটার 70 ,80শতাংশ হারে ভোট দিয়েছে অপরদিকে হিন্দু ভোটার 30-35শতাংশ ভোট দিয়েছে।হিন্দু ভোটার দের অনিহা ধর্ম নিরপেক্ষ আঘাত পড়েছে। মুসলিম দের উৎসাহ বাড়ছে।
কোন মন্তব্য নেই