Header Ads

ঘরে এলো কন্যা আত্মহারা পরিবার

কন্যা এলো ঘরে আত্মহারা পরিবার

কন্যাসন্তান জন্মের পর মা ও  সদ্যেজাতকে নিয়ে আনন্দ মাতল দুই পরিবার।
   সাগরদিঘি হরিহরপাড়ার পরে এ বার সুতিতে। এই ঘটনায় উৎসাহিত বোধ করছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনাকে তাদের সম্মিলিত প্রচারের সাফল্য বলেই দেখছে তারা। 
   এক সপ্তাহের মধ্যে এমন তিনটি ঘটনা সামনে এল মুর্শিদাবাদে। বৃহস্পতিবার সুতি ২ ব্লকের মহেশাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আজানগর বেলতলা গ্রামে নবজাতক কন্যা ও মা লিমা খাতুনকে বাপের বাড়িতে পৌঁছে দিলেন তাঁর স্বামী তরিকুল ইসলাম ওরফে শামিম। সঙ্গে ছিলেন লিমার বাবা মোহাম্মদ বাসিরুদ্দিন।
   স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই  ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে মা ও মেয়েকে দেখতে ভিড় করেন কৌতূহলী মানুষ। খুশি ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ি লোকজন।
   এই আয়োজনে খুশি ব্লক স্বাস্থ্য ও অধিকারিক সামিম সম্রাটও। তিনি বলেন মুর্শিদাবাদ এগোচ্ছে। সচেতনতা বাড়ছে। একের পর এক এমন ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে সব কন্যাসন্তান নিয়ে আমাদের প্রচার সাফল্য পাচ্ছে। এই সাফল্য যত বাড়বে মুর্শিদাবাদে বাল্যবিবাহের ঘটনাও কমবে। শিক্ষা থেকেই এই সচেতনতা বাড়েছে।
    এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীরাও খুব খুশি। তাঁদের মতে এমন ঘটনা যত প্রচারের আলোয় আসবে তত বেশি উপকৃত হবে সমাজ। তরিকুল রেলের কর্মী। তাঁরা  চার ভাই। বাকিদের সকলের পুত্রসন্তান রয়েছে। তাঁদের বংশে এই প্রজন্মে প্রথম মেয়ে হল। বছর দেড়েক আগে সুতি থানার অন্তর্গত আজাদনগর বেলতলা গ্রামের তরুণী লিমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় সুতি-১ ব্লকের সাদিকপুর  পঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর গ্রামের যুবক তরিকুল ইসলাম ওরফে সামিমের।
  মঙ্গলবার রাতে প্রসব বেদনা ওঠায় মহেশাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় লিমাকে।বুধবারই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় তিনি। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে।
   মহেশাইল হাসপাতাল থেকে ফুল দিয়ে গাড়ি সাজিয়ে মা ও নবজাতকের স্বাগত জানাতে এলাহি আয়োজন করে দুই পরিবারই। পরিবারের এমন উদ্যোগ দেখে কার্যত হাসপাতাল চত্বরে হইহই বর  পড়ে যায়।
   লিমার বাবা মহম্মদ বাসিরউদ্দিনও  বলেন ছেলে ও মেয়ের মধ্যে কোনও তফাত নেই। সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে মেয়েরাও। মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে। আমি মেয়ে ও জামাইয়ের এই আয়োজনে খুব খুশি। আসলে দুজনেই শিক্ষিত। শিক্ষায় এনেছে চেতনা। দুই পরিবারই খুব খুশি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.