Header Ads

ডনবক্স স্কুল কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করুক দাবী বি ডি এফের


নয়া ঠাহর শিলচর
ভুল স্বীকার করে অনুশোচনা সূচক বিবৃতি দিক ডনবক্সো স্কুল কর্তৃপক্ষ - ইউনিট টেস্ট বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে কতৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিল বিডিএফ।

সম্প্রতি শিলচরের ডনবক্সো স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা ইউনিট টেস্টের ইংরেজি প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৃহৎ সংখ্যক মানুষ। এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর সদস্যরা।

এদিন ডনবক্সো স্কুলের অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ উভয়েই বরাকের বাইরে থাকায় তাঁদের প্রতিনিধি হিসেবে 'বক্সোটেক' এর কার্যালয়ের আধিকারিক ক্ষীরো গোপাল শর্মা এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। কতৃপক্ষের সাথে আলোচনার সময় এদিন তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয় যেহেতু তৃতীয় শ্রেণী থেকেই বাংলা বিষয় শুরু হয় তাই ছাত্র ছাত্রীদের যাতে বুঝতে অসুবিধা না হয় তাই এই প্রথম প্রশ্নপত্র নাকি ইংরেজিতে করা হয়ে থাকে, যদিও এই যুক্তি মেনে নেননি বিডিএফ সদস্যরা। তাঁরা বলেন যে বাংলা বা যে কোন ভাষার প্রশ্নপত্র সেই ভাষাতেই হওয়াই বিজ্ঞানসম্মত এবং সেটাই সাধারণতঃ হয়ে থাকে।অথবা এক্ষেত্রে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ব্যাবহার করা যেত। যদি পরীক্ষার্থীদের বুঝতে অসুবিধা হয় তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের দায়িত্ব তা তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া।‌ এবং যদি কোন ছাত্র বাংলা বর্ণমালা পড়তে নাই পারে তবে সে এই প্রশ্নপত্রের উত্তর দেবে কি করে তাও পরিস্কার নয়, এবং সেই ক্ষেত্রে এই ধরনের পরীক্ষা নেওয়াই অর্থহীন। বিডিএফ সদস্যরা এদিন বলেন যে এটি যে পদ্ধতিগত ভুল তা স্বীকার করে বিবৃতি দিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবং একই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারেও যত্নবান থাকতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা দাবি জানান তারা।

পরে মিডিয়ার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে এদিন কথা বলতে গিয়ে আরো কিছু বিষয় সামনে এসেছে। তিনি বলেন তাঁরা বলেছেন যে অধিকাংশ বাঙালি অভিভাবকেরা বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ছেলে মেয়েদের বাংলা পড়ানোর বদলে ঐচ্ছিক ইংরেজি পড়াতে আগ্রহী থাকেন। এবং অভিভাবকদের অনেকেই বাংলা লিখতে বা পড়তে পারেন না। হৃষীকেশ বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী এর সম্পুর্ন বিপরীতে  মাড়োয়ারি, বিহারী,নেপালি ইত্যাদি অবাঙালি গোষ্ঠীর অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলে মেয়েদের বাংলা বিষয় পড়াতে আগ্রহী থাকেন। এই প্রসঙ্গে কেরালার একটি পরিবারের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষ তুলে ধরেছেন,যার অভিভাবক সেনাবিভাগে চাকরি সুত্রে শিলচরে বদলি হয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে তাদের ছেলেকে বাংলা বিষয় পড়াচ্ছেন,কারণ তাঁরা চাইছেন যে তাঁদের সন্তান একটি নতুন ভাষা শিখুক। 

হৃষীকেশ বলেন যে ভাষা শহীদের এই শহরের এমন চিত্র পরিতাপের বিষয় কারণ মাতৃভাষা বিহনে কোন ভাষা শিক্ষাই যথাযথ ভাবে হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন এই ব্যাপারে তাঁদেরও দায়িত্ব রয়েছে। এবং একইভাবে অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন কেন নতুন শিক্ষানীতিতেও মাতৃভাষা শিক্ষাকে এতো প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তা সবার বোঝা জরুরী।

এদিনের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জয়দীপ ভট্টাচার্য, হারাধন দত্ত,পিকলু দাস,মনোজ রায় প্রমুখ।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে দেবায়ন দেব এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.