Header Ads

বন্দে ভারত বিলাসী ট্রেন নিয়ে মাতামাতি সাধারণ ট্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ চিন্তা করে না তাই বার বার দুর্ঘটনা

সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: সকালে হাসিমুখে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। বিকেলে যখন বাড়ি ফিরলেন তখনও যেন মুখে একচিলতে হাসি লেগে। পার্থক্য বলতে, স্রেফ প্রাণটুকুই নেই।



 সোমবার ট্রেন দুর্ঘটনা  শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বলাকা মোড়ের বাসিন্দা আশিস দে (৫২)-র জীবন কেড়েছে। হাসিখুশি, মিশুকে স্বভাবের মানুষটিকে হারিয়ে এলাকা তো বটেই গোটা শিলিগুড়ি শোকে স্তব্ধ।

আশিস গার্ড হিসেবে রেলে কর্মরত ছিলেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের পাশাপাশি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসেও তাঁর ডিউটি পড়ত। এদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে তাঁর ডিউটি পড়েছিল। নির্ধারিত সময়ের একটু আগেই আশিস এনজেপি জংশনের উদ্দেশে রওনা হন। যাওয়ার পথে রাস্তায় চেনাপরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। সবাইকে দেখে হেসেছিলেন। খানিক বাদে দুর্ঘটনার খবর এলাকায় এসে পৌঁছাতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনায় জখমদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, সেই খবর জানামাত্র আশিসের দিদি রিংকি সরকার তড়িঘড়ি সেখানে যান। রেলের আধিকারিকরাও ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আশিস নেই শুনে রিঙ্কি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, ‘ভাইকে এভাবে হারাতে হবে সেটা ভাবতেও পারছি না। বাড়িতে বৃদ্ধ মা রয়েছেন। তিনি কিছুই জানেন না। এই বয়সে পুত্রশোক পেলে মা সহ্য করতে পারবেন না।’

বাবার মৃত্যুর পর আশিস তাঁর চাকরিটা পেয়েছিলেন। আশিসরা শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগর এলাকার বাসিন্দা। পরবর্তীতে তিনি বলাকা ক্লাবের সামনে একটি ফ্ল্যাট কিনে সেখানে বসবাস শুরু করেন। স্থানীয় ক্লাবগুলিতে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। মৃতের আত্মীয় রাজু সাহার বক্তব্য, ‘আশিস খুবই মিশুকে মানুষ ছিলেন। সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে খেলাধুলো, পুজোর আয়োজন সবকিছুতেই তাঁকে প্রথমে পাওয়া যেত। এমন একটা মানুষকে এভাবে হারাতে হবে তা কল্পনাও করতে পারছি না।’

উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে  ময়নাতদন্তের পর আশিসের মৃতদেহ বলাকা মোড়ের ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়। আশিসকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সেখানে ভিড় জমে যায়। আশিসের স্ত্রী দীপিকা ও মেয়ে স্নিগ্ধা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছেন।(  সংগৃহিত স্টোরি) সৌজন্যে মৌমিতা দাস  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.