প্রকৃতির নিয়মে চলে এই বিশ্ব, উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে
*প্রকৃতির নিয়মে এই বসুন্ধরায়*
*থাকতে চাই কি? এইটাই* *বিবেচনার সময় ......*
শুভ সুন্দর দেব চৌধুরী -
প্রকৃতি মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকার দিয়েছে সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে। কিন্তু আমরা কী করতে পারছি বা কি করছি? ধ্বংসের এক মুর্ত প্রতীক মানুষ এই অপবাদ নিয়ে বাাঁচব আর কতদিন।তাই আমরা প্রকৃতির নিয়মের রাজত্বের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে কি অনিয়মের শিকার হতে চাই?
অরণ্য Conservation অর্থাৎ বনজ সম্পদ রক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়ে পড়েছে আজকের দিনে ।সবুজ বিপ্লব হাতে নিতে হলে বৃক্ষশিশু গুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ।প্রকৃতির সংসারকে বাঁচতে ও বাড়াতে হলে বনবিভাগের পরিষেবা ও প্রকৃতিপ্রেমী জনগণের সহায়তার খুবই প্রয়োজন।এক একতাবদ্ধ হয়ে বিশ্ব পরিবেশ রক্ষার সহায়তায় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ শিশুদের লালিতপালিত করে বাড়িয়ে তুলতে সংরক্ষিত বেষ্টনী দিতে হবে। যাতে নিরাপত্তা ব্যেবস্থা মাধ্যমে বৃক্ষ শিশুদেরকে বাঁচতে ও বাড়াতে সুযোগ করে দেওয়া আর সবুজায়নের গাছের চারা থেকে সবুজ গাছের বাগান তৈরী করার সহায়তার হাত বাড়া প্রচেষ্টা নিতে হবে। সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করাতে লাগে সেবামূলক মনভাব তৈরী করতে হবে আমাদের মানবজাতির ও সমাজের জন্য । Afforestation শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে বনানীকরণ। বনানীকরণ বনেই করার দরকার। আর শহরে নগরে চাই সামাজিক বনানীকরণ। তবে আবার হারানো বন -জঙ্গলকে ফিরিয়ে সবুজায়নের মাধ্যমে মানব সভ্যতা ও পরবর্তী প্রজন্মকে সুস্থ রাখার জীবন সংগ্রামে জয়ি হব। তাই দরকার, পরিবেশপ্রেমী আমজনতাকে এগিয়ে আসার নিতান্তই প্রয়োজন।এই সেবা কাজে এগিয়ে আসার জন্য চাই সাংবাদ জগতের চতুর্থ স্তম্ভকে আর প্রকৃতিপ্রেমীকদের কলম। তবেই জাগরত হবে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন। আধুনিক যুগে এসে আমরা যেভাবে উদ্দমগতির দৌড়ে অবৈজ্ঞানিক ভাবে পরিবেশটাকে শান্তি আর স্বস্তি রাখার দিগে ভাবছি না। সুধু চাইছি আধুনিকরণের চাকচক্য ইত্যাদি।কিন্তুএতে,
অরণ্য ও প্রাকৃতিক জগতের পাহাড়-পর্বত টিলা-টক্কর,নদী-নালা,খাল-বিল আদিকে প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে কতটুকু থাকতে দিতে পারছি । এটা ভাবার সময় ছেড়ে যাচ্ছি কি? বতর্মান এমনটাই মনে ধরেছে,ফেলে আসা প্রাকৃতিক সঙ্কটেগুলো দেখে বা শুনে। আধুনিকরণের যুগে এমনটাই ভাবাতে চলছে কেন?এই পৃথিবীর সব কিছু কেন হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশটা এখন এমন ভাবে নষ্ট হচ্ছে, ফলে পশুপাখি, জীব-জন্তু,কীট্-পতঙ্গ সহ প্রকৃতির সৃষ্টির অনেক কিছুই হারানো দিগে হেটেই চলছে ! আদিকালের অরণ্যের বুনো বুনো পরিবেশটা সচরাচর হারিয়ে দিচ্ছি কি? অরণ্য ভালো থাকলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ততটা কঠিন হবেনা মনে করছে বিশ্বের পরিবেশ বৈজ্ঞানিকরা। পরিবেশ ও অরণ্যকে বাদ দিয়ে পৃথিবীর মানব সভ্যতা ও মানুষকুল, আর প্রাণীকুল সহ জীবকুল কতদিন বাঁচতে পাবে?না হয় প্রকৃতির সংসার গোছানো সময় এখনো আমাদের হাতে আর কতদিন থাকবে বৈই কি?আজ পযর্ন্ত দেখেছি বা শুনেছি, ভয়াবহ প্রাকৃতিক ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পাচ্ছে এই বসুন্ধরায়। বিশ্বে সংসারের কিছু দেশ আর মহাদেশে লেগে চলছে বিধ্বংসী যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ। চলছে আরও জৈবিক যুদ্ধের ছায়া যুদ্ধ। অন্য দিগে অবৈজ্ঞানিক বা ব্যেক্তিগত স্বার্থে ভূমিক্ষয় করে চলছে আধুনিক বিশাল বিশাল আধুনিক যন্ত্রপাতি আদি দিয়ে । কখনো ভাবি না ভূমিসংরক্ষণের কথা। কখনো ভাবি না যে পশুপাখিদের বাঁচতে পারবে না এমনটা ।ভুমিক্ষয়ের ফলে পাহাড়ের মাটি, পাথর,নুড়ি আদি সবুজ গাছের শিকর পাহাড় -টিলাা,টক্করের মাটি ধরে রাখার সহায়ক।পাহাড়ে জল তার প্রাকৃতিক নিয়মে তাদের মত নদী-নালা,ছড়া,ঝর্ণার জল সমতলে নেমে নদ-নদীর মধ্যে দিয়ে সাগর,মহাসাগর, খালবিল, উপনদীতে জল স্বাভাবিক ভাবেই সংরক্ষিত থেকে । আর যদি পাহাড়, টিলাটক্কররে সবুজ গাছ-পালা শেষ করে অবৈধভাবে বা অবৈজ্ঞানিক ভাবে ভুমিক্ষয় করা হয়,তবে বন্যায় সমতলের মানুষ ভুক্তভোগী হতে হবেই। পাহাড়ের মাটি নুড়ি,পাথর নেমে এসে নদী নালা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলেই অতিবন্যা, পাহাড় -পর্বতের সবুজ সৌন্দর্য্য নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে । বাাঁচবে না পশু-পক্ষী,বাঁচবে না কীট্ পতঙ্গের বংশ। সবকে নিয়ে এই পৃথিবীতে বাঁচতে শিখতে হবে। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা প্রাকৃতিক জগতের সঙ্গে মিলেমিশে আর নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে প্রাকৃতিক জগতের সাথে চলতে দেখা গেছে। ইতিহাস তাই বলে। আজ আধুনিক যুগে এসে প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষ ও অন্যান্য জীবকুল সকলেই প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতির রাজ্যে বাঁচে থাকার অধিকার প্রতিটি প্রাণীর আছে সমভাবে। প্রত্যেকের বাঁচা বাড়ার ও জীবনের অধিকার সমান।তবে অন্য জীবদের সাথে মনুষ্যের মর্মান্তিক পার্থক্য রহে গেছে। মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার অনুভূতি আছে সত্য।বিদ্যা বুদ্ধি জন্য মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী হয়ে আছে। তাই মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসে আছে। আর এই অহংকারকে বকলধাবায় নিয়ে প্রকৃতির সাথে যথেচ্ছাচার করে চলছি। দাম্ভিকতায় আজকের মানুষ উন্মত্ত।কেনই বা আমাদের মধ্যে এই উন্মত্ততা?
আমাদের ভাবতে হচ্ছে, এই শ্রেষ্টত্বের অগ্নি পরিক্ষায় আজ কি পরাজিত হচ্ছি ?হিংসা,নিষ্টুরতা,দ্বেষ,ধ্বংসলীলায় আজ আমরা অনেকটা এগিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে চলছি বুদ্ধির বলে। আবার,মানুষই মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছি ।মানুষ যে শুধু মানুষকেই নিধন করছে তা নয়। বিশ্বব্রহ্মান্ডের কাউকেই ছাড়ছে না।একমাত্র মানুষই বিশ্বপ্রকৃতির নিয়মকে,প্রকৃতির মমতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণে লিপ্ত। শষ্যশ্যামলা এই পৃথিবীকে সংহার করছি আমরা মানুষই। স্বার্থপরের মত নিজেদের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠা করছি আইন-কানুন,তৈরী করছি সমাজ ব্যেবস্থাও।
আমরা প্রতিনিয়তই এই বিশ্বপ্রকৃতির সংসারে নূতন নূতন ঘটনার আমনা সামনা করে চলছি। অনেক মানুষ আর অনেক পশু-পক্ষী,কীট্-প্রতঙ্গ,ঘর-বাড়ি,ক্ষেত-কামার,রাস্তা-ঘাট,শহর-নগরের অনেক বেদনাবিধুর হৃদয়ের এক বিন্দু অশ্রু নির্মম চরিত্রে কোন রেখাপাত করতে না পারলেও সমবেদনা পৃর্ণ হৃদয়ে ভুমিকম্প অপেক্ষা প্রবলতর আন্দোলননের সৃষ্টি করি। বিগত দিনে আমাদের চোখে সাক্ষী করে দেখিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি। আর দেখাচ্ছে গরমে তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান গতিতে বেড়ে চলছে। জলের স্তর কমে যাচ্ছে।বহু রাজ্যে জলের অভাবে মরুভুমির মত রূপ নিচ্ছে।
আমরা জানি জীবনের অধিকার সমান। প্রকৃতির স্বাথে প্রতিটি জীবের এক অদৃশ্যশক্তি স্বয়ংক্রিয় অবস্থায় জীবনকে পরিচালনি করে,যাকে আমরা বলি জীবনীশক্তি। সেই জীবনীশক্তি অতি সূক্ষ্ম যা প্রতিটি জীবের মধ্যে সমানভাবে ক্রিয়া করে। প্রভেদ শুধু স্থূলদেহে মানুষ প্রকৃতির এক রহস্যময় সৃষ্টি।
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে "গাছ লাগাই,প্রাণ বাঁচাই, এই হয় যেন,বাঁচা বাড়ার আন্দোলন।
কোন মন্তব্য নেই