Header Ads

প্লাস্টিক সমস্যা ভয়াবহ দূষণ ছাড়াচ্ছে

পরিবেশ দূষণ বর্তমান বিশ্বের একটি ভয়াবহ সমস্যা। 
 মৌমিতা দাস :কান্দি
প্লাস্টিক দূষণের জন্য মূলত দুই ধরনের প্লাস্টিক দায়ী; মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ম্যাক্রোপ্লাস্টিক। প্লাস্টিক বর্জ্য উত্পত্তিস্হল থেকে বিভিন্ন উপায়ে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং অপচনশীল বৈশিষ্টে্যর কারণে পুনঃচক্রায়ন না হওয়া পর্যন্ত এটি পরিবেশে অবস্হান করে এবং প্রাণীর খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে। এছাড়াও প্লাস্টিকে বিদ্যমান বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ভূগর্ভস্হ  জল ও ভূপৃষ্ঠের সঙ্গে মিশে উদ্ভিদ ও প্রাণীকুলের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। গবেষণায় জানা যায় যে, জীবাণু বিয়োজ্য প্লাস্টিক ভাঙনের মাধ্যমে মিথেন গ্যাস উত্পন্ন হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে উনিশ শতকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের প্রচলন মানবজীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। বর্তমানে আমাদের নিত্যব্যবহার্য সরঞ্জামের বেশির ভাগই প্লাস্টিক। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গৃহস্হালীর আসবাবপত্র, খাদ্যদ্রব্য বিপণন থেকে শুরু করে সর্বত্রই প্লাস্টিকের উপস্হিতি লক্ষণীয়। দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বেশির ভাগই মাত্র একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া এসব প্লাস্টিকের সর্বশেষ গন্তব্য হয় নর্দমা,পুকুর, ড্রেন, নদী কিংবা সমুদ্র। এর ফলে পানি দূষণ ও জলাবদ্ধতার পাশাপাশি সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। নিঃসন্দেহে এটি জলজ প্রাণী ও সামুদ্রিক বাস্ত্ততন্ত্রের জন্য এক অশনিসংকেত। এছাড়াও সামুদ্রিক পাখি ও অন্যান্য প্রাণীরা খাদ্য হিসেবে প্লাস্টিক বর্জ্য গ্রহণ করার ফলে প্লাস্টিকে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদান তাদের দেহের টিসু্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিনষ্ট করে অবশেষে মৃতু্য ঘটায়। এছাড়াও প্লাস্টিক পদার্থে ব্যবহূত রাসায়নিক রঞ্জক কারসিনোজেন হিসেবে মানবদেহের এন্ডোক্রাইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের নিত্যব্যবহার্য প্লাস্টিক সামগ্রী সূর্যালোকের সংস্পর্শে এসে বিষাক্ত রাসায়নিক উপকরণ তৈরি করে, যা ব্রেস্ট ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ওজন বৃদ্ধি, গর্ভধারণে সমস্যা, লিভার ক্যানসারসহ নানা ধরনের জটিল রোগের সৃষ্টি করে। সারা বিশ্বে ব্যবহূত প্লাস্টিকের প্রায় ৫০ শতাংশই উত্পন্ন হয় এশিয়া মহাদেশে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.